• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

বুয়েটের ৯ শিক্ষার্থী হল থেকে আজীবন বহিস্কার

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০১৯  

র‍্যাগিংয়ে জড়িত থাকার অপরাধে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ৯ ছাত্রকে হল থেকে আজীবন বহিষ্কারসহ একাডেমিক কার্যক্রমে ৪ থেকে ৭ টার্ম পর্যন্ত বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া ২১ শিক্ষার্থীকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে বুয়েটের উপাচার্য কার‍্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদফতরের পরিচালক এবং বোর্ড অব রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিনের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান এসব তথ্য জানান। আজীবন বহিষ্কার হওয়া ছাত্ররা বুয়েটের আহসানউল্লাহ ও সোহরাওয়ার্দী আবাসিক হলের থাকতেন। ৯ ছাত্রকে হল থেকে আজীবন বহিষ্কার ছাড়াও আহসানউল্লাহ হলের চার ছাত্রকে সতর্ক করাসহ সোহরাওয়ার্দী হলের ১৭ শিক্ষার্থীকে হল থেকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার ও ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে মিজানুর রহমান বলেন, আহসানউল্লাহ ও সোহরাওয়ার্দী হলের র‍্যাগিংয়ের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন তারা হাতে পেয়েছেন। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী ওই দুই হলে র‍্যাগিংয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিতুমীর হলের র‍্যাগিংয়ের ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য আরেকটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী রোববার পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। তারা প্রতিবেদন জমা দিলে ওই হলের র‍্যাগিংয়ের ঘটনায়ও ব্যবস্থা নেয়া হবে। গত ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরে বাংলা হলে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। ওই ঘটনার পর থেকে বুয়েটে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করছেন শিক্ষার্থীরা। আবরার হত্যার বিচারসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনের একপর‍্যায়ে ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরতে প্রশাসনকে শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি পূরণের শর্ত দেন। সেই তিন শর্তের দ্বিতীয়টি হলো বুয়েটের আহসানউল্লাহ, সোহরাওয়ার্দী ও তিতুমীর হলে আগে ঘটে যাওয়া র‍্যাগিংয়ের ঘটনাগুলোতে জড়িতদের বিচার ও শাস্তি।

যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে

আহসানউল্লাহ হলের ৬ শিক্ষার্থীকে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিভিন্ন মেয়াদে (৪ থেকে ৭ টার্ম) বহিষ্কার ও হল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলেন- সব্যসাচী দাস, সৌমিত্র লাহিড়ী, প্লাবন চৌধুরী, নাহিদ আহমেদ, অর্ণব চৌধুরী ও ফরহাদ হোসেন।

একই হলের ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা চার শিক্ষার্থী হলেন- মো. তাসনিম ফারহান, লোকমান হোসেন, শাফকাত বিন জাফর ও তানজির রশিদ আবির।

সোহরাওয়ার্দী হলের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিভিন্ন মেয়াদে (৪ থেকে ৭ টার্ম) বহিষ্কার ও হল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা তিন শিক্ষার্থী হলেন- মো. মোবাশ্বের হোসেন, এ এস এম মাহাদী হাসান ও আকিব হাসান রাফিন।

এছাড়া একই হলের বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার ও ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা ১৭ শিক্ষার্থী হলেন- মো. রাইয়ান তাহসিন, মেহেদী হাসান, তৈয়ব হোসেন, এ এফ এম মাহফুজুল কবির, কাজী গোলাম কিবরিয়া, সাকিব হাসান, মো. সাজ্জাদুর রহমান, সাকিব শাহরিয়া, শেখ আসিফুর রহমান, মো. বখতিয়ার মাহবুব, সৈয়দ শাহরিয়ার আলম, মো. তৌফিক হাসান, মো. কুতুবুজ্জামান, ফেরদৌস হাসান, মো. আল-আমিন, তাহাজিবুল ইসলাম ও মোহাম্মদ তাহমিদুল ইসলাম।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা