বাড়ছে পোশাকের ক্রয়াদেশ
আজকের খুলনা
প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০২০
বড় কারখানাগুলোর ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কাজের সক্ষমতা বেড়েছে সুরক্ষাসামগ্রী নিয়ে তৈরি হয়েছে রপ্তানির নতুন সম্ভাবনা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান পোশাক খুচরা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ডের আউটলেটগুলো পুনরায় চালু হওয়ায় সীমিত আকারে হলেও দেশের পোশাক কারখানাগুলোতে কাজের ক্রয়াদেশ বাড়তে শুরু করেছে। ফলে কয়েক মাস আগের চেয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন তৈরি পোশাকের উদ্যোক্তা ও শ্রমিকরা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে মার্চে সাধারণ ছুটি শুরুর পর ব্যবসা-বাণিজ্য যে গভীর খাদে পড়েছিল, সেখান থেকে কিছুটা উত্তরণ ঘটেছে। জুন মাসে এসে কোনো কোনো খাতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধিও হয়েছে।
চীন থেকে শুরু হয়ে গত জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বেশিরভাগ পশ্চিমা দেশ অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিল। দেশগুলোর খুচরা বিক্রয়কেন্দ্রগুলোও ছিল বন্ধ। এর প্রভাবে বাংলাদেশের রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানাগুলো ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিতাদেশের কবলে পড়ে। আবার দেশের অভ্যন্তরে করোনা ঠেকাতে কারখানা বন্ধ রাখতে হয় প্রায় এক মাস। এ পরিস্থিতি কাটিয়ে গত ২৬ এপ্রিল থেকে কারখানা সচল হতে শুরু করে। কারখানা মালিকরা বলছেন, বাতিল বা স্থগিত হওয়া ক্রয়াদেশগুলোর কিছু ফিরে এসেছে। আবার নতুন ক্রয়াদেশও পেতে শুরু করেছে কারখানাগুলো। কিন্তু তা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক কম। ক্রেতারা ধীরে ধীরে ক্রয়াদেশ নিয়ে ফিরে আসায় তাদের বেশিরভাগ কারখানার কাজের সক্ষমতা ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
পোশাক সরবরাহকারীরা আরও জানিয়েছেন, নতুন করে কাজের আদেশের পরিমাণ কম করে হলেও বাড়ছে। ইতোমধ্যে প্রস্তুতকৃত পণ্যগুলো পুনরায় দাবি করছেন বা পুরানো ওয়ার্ক অর্ডার কার্যকর করছেন ক্রেতারা। যদিও নতুন কাজের আদেশের প্রবাহ এখনো প্রত্যাশিত পর্যায়ে নেই; তারপরও উদ্যোক্তরা তারা আশা করছেন, চলতি বছরের শেষের দিকে করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি আরও উন্নতি হলে ক্রয়াদেশ প্রত্যাশিত পর্যায়ে বাড়বে।
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, বড় ইউনিটগুলো কাজের অর্ডার বড় আকারে পেলেও দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি পোশাক কারখানাগুলো এখনো সেভাবে পাচ্ছে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ থেকে পোশাক ক্রয়কারী অন্যতম বৃহৎ ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের এক শীর্ষ নির্বাহী যায়যায়দিনকে বলেন, তারা অনেক অর্ডার পেস্নস করছেন। লকডাউন থেকে সচল হওয়ার পর তাদের সব সরবরাহকারী নতুন ক্রয়াদেশ পেয়েছেন।
ইউরোপভিত্তিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানটির কান্ট্রি ম্যানেজার আরও বলেন, ভোক্তা আচরণে তারা বড় ধরনের পরিবর্তন দেখছেন। মানুষের অগ্রাধিকার বদলেছে। এদিকে, লকডাউনে স্টোর বন্ধ থাকায় মজুদ পণ্য নিয়েও তাদের কাজ করতে হচ্ছে। এ মুহূর্তে তারা পরিকল্পনা নিয়ে ব্যস্ত, অনেক কাজ প্রক্রিয়াধীন।
ক্রয়াদেশ পরিস্থিতি নিয়ে পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ বলছে, বিশ্বব্যাপী দেশগুলো অবরুদ্ধ বা লকডাউন পরিস্থিতি থেকে পুনরায় সচল হওয়া নিয়ে লড়াই করছে। কারণ কোভিডের উলেস্নখযোগ্য ঢেউ অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে দমিয়ে রাখছে। এটা তাদের জন্য খারাপ সতর্কবার্তা। কারণ পোশাক শিল্প পশ্চিমা বাজারের চাহিদার ওপর নির্ভরশীল।
তবে বিজিএমইএ সূত্র বলছে, তাদের হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে কারখানাগুলোর গড় সক্ষমতার ৫৫ শতাংশের মতো ক্রয়াদেশ আছে, যা বছর শেষে বাড়তে পারে। ২০২০-এর ডিসেম্বরের মধ্যে সক্ষমতার ৭০ শতাংশ ক্রয়াদেশ হতে পারে। এ ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে দীর্ঘমেয়াদি ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবসম্মত না-ও হতে পারে। এর পরও তারা ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে নিয়মিত রপ্তানির ৮০ শতাংশ হবে- এমনটাই আশা করছে।
পোশাক শিল্পের প্রতিনিধিরা বলছেন, একটি নির্দিষ্ট কারখানা বিবেচনায় নিলে দেখতে হবে ওই কারখানা কোন ক্রেতার কাজ করছে। যারা ওয়ালমার্টের মতো বিক্রয়কেন্দ্রভিত্তিক ক্রেতার সঙ্গে কাজ করছে তারা কিছু ক্রয়াদেশ পাচ্ছে, কারণ ওই ধরনের বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে গ্রোসারি কেনাকাটার পাশাপাশি ভোক্তারা কিছু কিনছে। হয়তোবা তারা টি-শার্ট কিনছে কিন্তু শার্ট কিনছে না। আবার ডেনিম বিক্রি হচ্ছে বলে ক্রয়াদেশ থাকলেও ফরমাল ট্রাউজারের অর্ডার নেই, কারণ বিক্রি নেই। যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষ তার স্বাভাবিক চলাচলে বাইরে না বের হবে ততক্ষণ পর্যন্ত বিক্রি বাড়বে না- এমন তথ্য উলেস্নখ করে শিল্প মালিকরা বলছেন, বিক্রি না হলে তো অর্ডার পেস্নস হবে না।
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, নতুন অর্ডার পেস্নসমেন্টের অবস্থা ভালো না বলে শুনেছেন তিনি। সবাই খারাপ বলছে। কেউ বলে কিছু আছে, কেউ বলে নেই। বেশিরভাগ কারখানার কাছে শুনতে পাচ্ছেন, কারও সক্ষমতার ৫০ শতাংশ আছে, কারও আছে ৬০ শতাংশ। নিটের কিছু অর্ডার আছে। রিটেইল শপগুলো চালু হলেও লোক নেই। কোনো কারখানাই শতভাগ সক্ষমতা ব্যবহারে নেই। ক্রেতারা যারা বলছে ক্রয়াদেশ দিচ্ছে তাদের যদি জিজ্ঞাসা করা হয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কী পরিমাণ ক্রয়াদেশ দিচ্ছেন? তাহলে তারা আর কোনো উত্তর দেবে না। কারণ তারা এমনিতেই বাংলাদেশে ৫০ শতাংশ ক্রয়াদেশ কম পেস্নস করছে। অনেক কারখানায় কোনো অর্ডারই পেস্নস করেনি। ক্রেতা যদি বলে অন্যদের তুলনায় আমি কিছু তো দিচ্ছি, সেটা সম্পূর্ণ ভিন্ন ঘটনা।
এদিকে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে দেশের গার্মেন্ট কারখানাগুলোয় বাতিল হয় একের পর এক ক্রয়াদেশ। এরই মধ্যে অর্ডার না থাকায় কাজ হারিয়েছেন বহু শ্রমিক। পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নেতারা বলছেন, করোনার কারণে পোশাক খাতের প্রায় ৩২ লাখ ডলারের ক্রয়াদেশ বাতিল হয়েছে। আর এ অবস্থায় কিছু পোশাক কারখানা পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকু্যইপমেন্ট (পিপিই) ও ফেসিয়াল মাস্কের অর্ডার পাচ্ছে। বর্তমানে ঢাকা ও তার আশপাশে সাভার ও গাজীপুরের ৩৩টি কারখানায় তৈরি হচ্ছে এসব সুরক্ষাসামগ্রী। বিশ্ববাজারে মাস্ক ও পিপিইর চাহিদা তুঙ্গে থাকায় পোশাক মালিকরাও আশা করছেন চলতি বছরে দেশে এ সুরক্ষা সামগ্রীগুলোর আরও অর্ডার আসবে। ফলে এ পণ্যগুলো নিয়ে তৈরি হয়েছে রপ্তানির নতুন সম্ভাবনা।
রপ্তানি উন্নয়ন বু্যরোর তথ্যমতে, গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত মোট ১১.৫৮ মিলিয়ন ডলার অর্থমূল্যের মাস্ক, গস্নাভস ও পিপিই রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ গত মাসেও এ পণ্যগুলো বিপুল পরিমাণ রপ্তানি করা হয়। পণ্যগুলো রপ্তানির সঙ্গে জড়িত ৩৩টি প্রতিষ্ঠান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেডিকেল উপকরণ তৈরি করে ফের আশাবাদী হয়ে উঠেছে অনেক পোশাক কারখানা। বর্তমানে মেডিকেল সুরক্ষা উপকরণ উৎপাদনের কাজে জড়িত কারখানাগুলোর অর্ডার পাওয়ার সংখ্যাও ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনার কারণে যেসব কারখানার অর্ডার বাতিল হয়েছিল তারা এখন এ ধরনের পণ্য তৈরি করে তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে বাংলাদেশের শ্রমিকদের হাতে তৈরি পিপিই।
পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর ভাইস প্রেসিডেন্ট আরশাদ জামাল বলেন, বেশ কিছু দেশীয় কারখানা পিপিই ও মাস্ক তৈরি করছে। ধারণা করছি বছরজুড়ে এ ধরনের পণ্যের আরও অর্ডার আসবে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল পরিমাণ মেডিকেল গাউন, গস্নাভস-জাতীয় সুরক্ষা উপকরণ রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ।
- প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক
- মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান
- গ্যাস খাতে বড় সংস্কার করবে পেট্রোবাংলা
- বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিতে চায় কিরগিজস্তান
- চলবে ১২০ দিন
নোয়াখালীর নতুন গ্যাস কূপে খনন কাজ শুরু - যমুনায় বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর ৪.৮ কিমি এখন দৃশ্যমান
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- ঢাকায় কাতারের আমির
অগ্রাধিকার পাচ্ছে বাণিজ্য বিনিয়োগ ও ভূরাজনীতি - বেনজীরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক
- দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন
- প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরে সই হবে ৫ চুক্তি ও সমঝোতা
- খুলনায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়
- বগুড়ায় সিনেমা হলে টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি
- থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, সই হবে ৫ চুক্তি-সমঝোতা
- যে বার্তা নিয়ে ঢাকা আসছেন চীনের বড় দুই প্রতিনিধিদল
- গরমে অসুস্থ রোগীর চিকিৎসায় স্ট্যান্ডবাই কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল
- যুদ্ধ নয়, ব্যয় করুন জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায়: প্রধানমন্ত্রী
- জনসভার বিষয়ে বিএনপিকে ২৮ অক্টোবরের কথা মনে করিয়ে দিলেন
- এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
- চালের বিকল্প হিসেবে গম আমদানি করছে সরকার
- বসছে ভেন্ডিং মেশিন
স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট - দুবাই বন্দরে পৌঁছাল এমভি আব্দুল্লাহ, নাবিকদের উচ্ছ্বাস
- বোরোর বাম্পার ফলনে হাওড়ে উৎসবের আমেজ
- শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ
- কাতারের আমির ঢাকা আসছেন আজ, সই হচ্ছে ছয় চুক্তি পাঁচ স্মারক
- উন্মুক্ত হতে পারে কুয়েতের শ্রমবাজার
- প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ
- হজযাত্রীদের টিকা নিতে লাগবে স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট
- দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী
- প্রচণ্ড গরমে লাইভ সংবাদে জ্ঞান হারালেন পাঠক
- আমি আসলাম আর আপনি চলে যাচ্ছেন: নাসিরকে পরীমনি
- আজ থেকে শুরু ফিরতি ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি
- পায়ুপথে পেটের ভেতর ২৫ ইঞ্চি কুঁচিয়া মাছ, জ্যান্ত উদ্ধার
- ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই একে একে মৃত্যুর কোলে ৪
- ৫০ বছর পর মা-মেয়ের মিলন
- চলন্ত মেট্রোতে দুই তরুণীর রং মাখামাখি, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি
- দেশের জনগন সন্ত্রাস দমন ওআইনশৃঙ্খলার উন্নাতি হওয়ায় সুফল ভোগ করছেন
- কেসিসির ৩৭ কর্মচারী চাকরিচ্যুত
- শিকলে বেঁধে ২৫ দিন ধরে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ
- ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত কতটুকু পানি পান করবেন
- ডুমুরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- ইতিকাফের জন্য যেসব শর্ত মানতে হবে
- ভালো শিক্ষার্থী হলেই হবে না, আদর্শবান মানুষ হতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
- ‘অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার সুস্থ আছেন, তার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে’
- অনলাইনে ঝুঁকছেন ক্রেতারা
- খুলনায় বাসে তল্লাশি, ১২ স্বর্ণের বারসহ যুবক আটক
- হার্টের ২৩ ধরনের রিংয়ের দাম কমলো
- রাসুল (সা.) রোজা অবস্থায় যেসব কাজ পরিহার করতে বলেছেন
- বিশ্বের সব দেশেই পরকীয়ার অস্তিত্ব আছে...
- তাপদাহ নিয়ে যা জানালেন হিট অফিসার