• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

বার্ধক্যের কারণে চুল সাদা হলে গুনাহ মাফ হয়

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

যৌবন-উদ্দীপ্ত ও চির সবুজ-সজীব থাকতে চায় প্রতিটি মানুষ। কিন্তু কোনোভাবেই তা ধরে রাখা সম্ভব হয় না। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাটা পড়ে যৌবনে। ক্রমে বয়সের ভার উঁকিঝুঁকি দেয়। ঘনকালো চুলের রং ধীরে ধীরে বদলাতে থাকে। এক-দুইটি করে চুলগুলো সাদা হতে থাকে।

বার্ধক্য মুমিনের জন্য বিচলিত হওয়ার কিছু নয়। কারণ বার্ধক্য পরকাল সম্পর্কে মুমিনকে স্মরণ করিয়ে দেয়। ফলে মুমিন আখেরাতের প্রস্তুতিতে ব্রতী হবে। বার্ধক্যের সাদা চুলের কারণে আল্লাহর কাছে সওয়াবের আশা রাখবে। মহান আল্লাহ তাআলা মুমিনের প্রতিটি কাজে, তাকে সওয়াব ও পুণ্য দেন।

হাদিসে এসেছে, “রাসুলুল্লাহ (সা.) বার্ধক্যের সাদা চুল উপড়ে ফেলতে নিষেধ করেছেন এবং বলেছেন, এটা হলো ‘মুমিনের নুর’।” (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ৬৯৩৭)

কেয়ামতের দিন এই সাদা চুল-দাড়ি মুমিনের জন্য নুর হবে। যেদিন নূরের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। সে অর্থে নুর বলা হয়েছে। আমর ইবনে আবাসা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুসলিম অবস্থায় যার কোনো চুল বা দাড়ি পাকবে, কেয়ামতের দিন তা ওই ব্যক্তির জন্য নুর-আলো হবে।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৬৩৪)

রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘যখন কোনো মুসলিমের চুল বা দাড়ি পাকে, তখন আল্লাহ এর বিনিময়ে একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করেন, একটি গুনাহ মাফ করা হয় এবং একটি নেকি লেখা হয়।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ৬৯৩৭; আবু দাউদ, হাদিস: ৪২০২)

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা