• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

বটিয়াঘাটায় সংবাদ সম্মেলন

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

 বটিয়াঘাটা প্রেসক্লাবে রবিবার বিকাল ৩ টায় মিথ্যা মামলায় হয়রানি ও ভয় দেখিয়ে অর্থ বাণিজ্যের হাত থেকে রেহাই পেতে লিখিত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে উপজেলার তালবুনিয়া বিরাট গ্রামের মৃতঃ কাওসার আলীর পুত্র মোঃ একরাম শেখ। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে জানান, তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ঐ একই এলাকার আলহাজ্ব আবুল বাসার এর স্ত্রী তাহসিনা বেগম স্থানীয় থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে থানার এস আই সাকিব, এএসআই জাহিদ ও কনষ্টেবল মিজান ও তাদের দালাল বিরাট গ্রামের আশরাফুল আমাদের বাড়ীতে এসে মামলা দায়ের হয়ে যাচ্ছে বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। তারা মামলা ঠেকাতে হলে ওসি (তদন্ত) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ কে ম্যানেজ করতে ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। সে কথা বলে মোস্তফার কাছে সাকিব’র মোবাইলে ফোন দিয়ে কথা বললে মোস্তফা আমাকে বলে সাকিব কত টাকার কথা বলেছে। উত্তরে আমি তখন সাকিব স্যার ৫০ হাজার টাকার কথা বলেছে বলে প্রতি উত্তরে জানাই। তখন তদন্ত ওসি মোস্তফা স্যার আমাকে বলে সাকিবতো কমই চাইছে, আমিতো ১ লক্ষ টাকার কথা বলে দিয়েছি। এসময় সাাকিব আমাদের বাড়ীতে বসে টাকার চাপ দিতে থাকে। এ সময় এএসআই জাহিদ ও মিজান পুলিশ গালিগালাজ সহ ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। তারা বারংবার ওসি (তদন্ত) মোস্তফা স্যারের সাথে কথা বলতে থাকে, রাজি হয় না স্যার। তখন আমি জানতাম না যে, মোস্তফা স্যার আসলে ওসি স্যার না, ওসি তদন্ত স্যার। তখন আমরা ভয় পেয়ে বাড়ির সকলের কাছ থেকে জোগাড় করে ১৮ হাজার টাকা একত্র করে তাদের হাতে তুলে দিয়ে দাবীকৃত বাকী টাকার জন্য ১ দিনের সময় নেই। পরের দিন টাকা দিতে না পারায় সাকিব, জাহিদ, মোস্তফা বিরাট ঘাটের নদীর কুলে আমার ভাইকে ডেকে নিয়ে খুব গালিগালাজ করে সাকিব ও মোস্তফা এবং মামলা নিয়ে নেই বলে চলে যায়। তাৎক্ষনিক ভাবে আমি বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি সাকিবকে ফোন করে মামলা না নেওয়ার জন্য বলেন এবং উভয় পক্ষকে নিয়ে বসাবসি করে সমাধানের অনুরোধ জানান। উপজেলা চেয়াম্যানকে বিষয়টি অবগত করে ফেরার পথে থানার অদুরে পৌঁছামাত্র এসআই সাকিব আমাদের দেখেই বাপের কাছে গেছ বলে তোদের বাপ কেমনে বাঁচায় বলে গালিগালাজ শুরু করে। এরপর আমরা বাড়ী চলে আসি। তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ঐদিন সন্ধ্যার একটু আগে আমার মেঝ ছেলে ইমদাদুলকে বিরাট খেয়াঘাট চায়ের দোকান থেকে ধরে নিয়ে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে ওসি মোঃ রবিউল কবীরকে অবগত করলে তিনি সাকিবকে প্রাথমিক অনুসন্ধানের জন্য পাঠিয়েছেন বলে জানান। বর্তমানে সাকিব ও মোস্তফা দালাল মারফত আমার মেঝ পুত্র ইমদাদুল, ভাইপো মামুন শেখ ও আমার ভাই এখতিয়ার শেখকে পেনডিং মামলায় চালান দেয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে বাকী টাকা দাবী করছে। তিনি এব্যাপারে পুলিশ সুপার, রেঞ্জ ডিআইজি, পুলিশের মহা পরিদর্শক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা