• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

বঙ্গবন্ধুর শূন্যতা পূরণ কখনো সম্ভব নয়

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১ আগস্ট ২০১৯  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের দ্রষ্টা ও স্রষ্টা। তার জন্ম বাংলাদেশের জন্য ছিলো মহা আশীর্বাদ। এক নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর মধ্যে জন্ম ও বেড়ে উঠা মানুষটি একদিন দুনিয়া কাঁপানো, আলোচিত, আলোর মানুষ হবেন, দুঃখী মানুষের কল্যাণে নিজেকে সর্বস্ব দিয়ে নিবেদন করবেন, কে ভেবেছিলো? হয়তো কেউ ভাবেনি। আবার অনেকেই ভেবেছিলেন। শেখ মুজিবুর রহমান যখন টুঙ্গিপাড়ার খোকা ছিলেন। খোকা ছাত্রদের অধিকার আদায়ে মুখ্যমন্ত্রীর পথ রোধ করতে পারেন, ন্যায্য দাবি আদায়ে অনড় থাকতে পারেন। তখনই বোঝা গিয়েছিলো এই খোকা কোনো সাধারণ খোকা নয়। তা যে কতোটা সত্য তা তো পরবর্তীতে ইতিহাসের পরতে পরতে রয়েছে। টুঙ্গিপাড়ার খোকা হলেন আমাদের জাতির জনক।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জন্য জীবনভর লড়াই-সংগ্রাম করে গেছেন। জনগণের কল্যাণে কখনো কারও সঙ্গে অন্যায় আপোস করেননি। তিনি আমাদের অনেক কিছু দিয়ে গেছেন, অনেক কিছু করারও ছিলো। কিন্তু কিছু জঘন্য মানুষ জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বর্তমান উন্নয়ন-অগ্রগতি আমাদের বহু আগেই অর্জন সম্ভব হতো। বঙ্গবন্ধুর শূন্যতা পূরণ কখনো সম্ভব নয়। হাজার বছর পর যদি কেউ আসেন সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু এখন তার অভাব পূরণ করার নয়। বঙ্গবন্ধুর মতো আরেকজন নেতা পাওয়ার প্রত্যাশা মানুষ করে। কিন্তু তা যে এতো সহজ নয়, সেটাও তারা জানে।

শেখ হাসিনা এখন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যাচ্ছেন। জাতির জনকের স্বপ্ন, তার ভবিষ্যৎ, তার ভিশন-মিশন, সমাজ সম্পর্কে ধারণা, মানুষের কল্যাণ চিন্তা-ভাবনা, জনসম্পৃক্ততা জনকের প্রায় সবগুলো গুণই জননেত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে রয়েছে। কিন্তু সম্পূর্ণতা কেবল বঙ্গবন্ধুর কাছেই সম্ভব। তবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের জন্য শেখ হাসিনাই এখন অদ্বিতীয়।

নেলসন ম্যান্ডেলাকে আমরা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তুলনা করতে পারি। তিনি সাতাশ বছর জেল খেটেছিলেন নাগরিক অধিকার, স্বাধীনতা, বৈষম্যের বিরুদ্ধে জেল খেটে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে দায়িত্ব পেয়েছিলেন। ফিদেল কাস্ত্রের সঙ্গেও তুলনা করা যায় আমাদের জনককে। কারণ তিনি একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মহাশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তুলনা করতে পারি খুব কম সংখ্যক মানুষকেই। বঙ্গবন্ধু আপন মহিমায় ভাস্বর। তিনি আমাদের জাতি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মানুষের কল্যাণে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু ট্র্যাজেডি হলো যে মানুষের জন্য তিনি এতো কিছু করলেন, তাদের মধ্য থেকেই কিছু জঘন্য ব্যক্তি নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যা করে তাকে। এই জঘন্য হতাকা- আমাদের অনেক পিছিয়ে দেয়। রাষ্ট্রও ভুল পথে পরিচালিত হয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে বাংলাদেশকে সঠিক পথে পরিচালনার চেষ্টা করছেন। যতো আবর্জনা আছে দূর করার প্রাণান্তকর চেষ্টা তার মধ্যে রয়েছে।

লেখক: অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা