• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের পৃষ্ঠপোষক জিয়া

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে ১৫ আগস্টসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোতে ৩২ নম্বর বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ লোকে লোকারণ্য থাকে কিন্তু দল যখন বিরোধী দলে থাকে তখন থাকে শুধু কর্মীরা। এর কারণটি স্পষ্ট যে, মুখে বঙ্গবন্ধুর কথা বললেও আওয়ামী লীগ বাদে অন্যান্য দলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক উত্থানকে আগেও মেনে নিতে পারেনি এবং এখনো না। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যারাই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছে তাদের সকলের অবস্থান ছিলো বঙ্গবন্ধু বিরোধী। ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টায় জিয়াউর রহমানের সাথে অন্যান্য ছোটবড় রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের ভূমিকাও কম সমালোচিত নয়। একশ্রেণির ভাড়াটে বুদ্ধিজীবীরা জিয়াউর রহমানকে বঙ্গবন্ধুর সমান্তরালে আনার জন্য হেন অপচেষ্টা নেই যা করতে বাদ রেখেছেন।

কিন্তু তাদের সেই উদ্দেশ্য আগেও সফল হয়নি এবং ভবিষ্যতেও হবে না। আজকের শিক্ষিত প্রজন্ম যখন দেশের কথা জানবে, দেশের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস জানবে, বাঙালি জাতীয়তাবাদের কথা জানবে তখন অবশ্যম্ভাবীভাবে প্রধান রাজনৈতিক চরিত্র হিসেবে উঠে আসবে টুঙ্গিপাড়ার দামাল সন্তান খোকার কথা, শেখ মুজিবুর রহমানের কথা, বঙ্গবন্ধুর কথা, জাতির পিতার কথা। সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত একটি রাষ্ট্রে জাতীয় সরকারের দাবি তুলে মূলত মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক চরিত্রকে সামরিকায়ন করার একটা অপচেষ্টা ছিলো। সম্ভবত/বোধকরি তা সামাল দিতে গিয়েই সামরিক বাহিনীর ইতিহাসে বিতর্কিত প্রধান সেনাপতি ও উপ-প্রধান সেনাপতি নামে দুইটি পদ সৃষ্টি করা হয়। পাকিস্তান ফেরত সেনাবাহিনীর বিপুল সংখ্যক অফিসার এবং মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের মধ্যে শুরু হয় স্বার্থের দ্বন্দ্ব। এরই ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ষড়যন্ত্রের রুট খুঁজে পায়।

বঙ্গবন্ধু সরকার জিয়াকে রাষ্ট্রদূত করে বিদেশে পাঠাতে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলো কিন্তু অজানা তদবিরের কারনে তা মাঝপথেই থেমে যায়! সময় এসেছে বিষয়টি নিয়ে তথ্যানুসন্ধান করা যে, কারা কারা সেই প্রচেষ্টায় বাধ সেধেছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের সাথে জড়িতদের জিয়া যেমন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সমাজে -রাজনীতিতে এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত করে গিয়েছেন ঠিক একই ধারা মেইনন্টেইন করে গিয়েছেন বেগম জিয়া ইনক্লুডিং এরশাদ। তাইতো, ভাঙা কলের রেকর্ডের মতো বেগম জিয়া জামায়াতিদের পাশে বসিয়ে একসময় ঘোষণা দেন, ‘ভবিষ্যতে ক্ষমতায় আসলে তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবেন’ (বি:দ্র: বিএনপি জামায়াতের অনেক নেতা বলেন, অনেক পাকিস্তানি সৈন্যকেও বিচার বহির্ভূত হত্যা করা হয়েছে যা যুদ্ধাপরাধ বটে)! বেগম জিয়া আজ নিজেই স্বীয় অপকর্মের দায়ভার নিয়ে কারাগারের (অবশ্য এখন তিনি সেই হাসপাতালের কারাগারে আছেন, যে হাসপাতালটি জাতির পিতার নামে উৎসর্গীকৃত!) অন্ধকার প্রকোষ্ঠে জীবন-মৃত্যুর হিসাব মেলাতে ব্যস্ত! হা হা হা পাপের শাস্তি পাপী এই পৃথিবীতেই ভোগ করে যায়! বেগম জিয়ার দৃষ্টিতে সেই যুদ্ধাপরাধী কারা তা কিন্তু সমাজের আয়না কথিত বুদ্ধিজীবীরা একবারও জানতে চান না! তারা একবারও বলেন না যে, রাষ্ট্রকে কলঙ্কমুক্ত করতে জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের এবং খুনিদের বিচার করা। উল্টো সেসব বুদ্ধিজীবী খালেদা জিয়াকে ‘গণতন্ত্রের আম্মাজান’ খেতাবে ভূষিত করে ভবিষ্যৎ রাজনীতিকে আরও কলুষিত করে যাচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিশ্চয়ই সেসব বুদ্ধিজীবীদের সিম্বলিক বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। ফেসবুক থেকে

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা