• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

ফিরে দেখা ১১ বছরে কৃষি ও খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতায় সরকারের সফলতা

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯  

বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। রুপকল্প ২০২১ এবং একশবছরের ডেল্টা প্লানকে সামনে রেখে দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। উন্নয়নের মহান রুপকার, গণতন্ত্রেও মানসকন্যা শেখ হাসিনার দূরদর্শী চিন্তাধারা যুগোপযোগী বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে দেশ থেকে দূর হয়েছে ক্ষুধা-দারিদ্র্য-বেকারত্ব। শিক্ষা, কৃষি, শিল্প, ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ, নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাসহ দেশের প্রতিটি সেক্টরে হয়েছে অভূতপূর্ব উন্নয়ন। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন নিয়ে আমাদের ধারাবাহিক পরিবেশনা উন্নয়নের ১১ বছর।

কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। খাদ্য শস্য উৎপাদন, টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, কর্মসংস্থান রপ্তানি বাণিজ্যে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মোট দেশজ উৎপাদন তথা জিডিপিতে কৃষিখাতের অবদান ১৪.১১ শতাংশ। বর্তমান সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কৃষি খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করে কৃষির উন্নয়ন কৃষকের কল্যাণকে সর্বোচ্চ বিবেচনায় নিয়ে রূপকল্প ২০২১ এবং রূপকল্প ২০৪১ এর আলোকে জাতীয় কৃষিনীতি, ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট, ডেল্টাপ্লান: ২১০০ এবং অন্যান্য পরিকল্পনা দলিলের আলোকে সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃষিক্ষেত্রে সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে খোরপোষের কৃষি আজ বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরিত হয়েছে। ফলে দেশে কর্মসংস্থান সম্প্রসারিত হয়েছে। খাদ্যশস্য উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের স্থান দশম। অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এক দুই ফসলি জমি অঞ্চল বিশেষে প্রায় চার ফসলি জমিতে পরিণত করা হয়েছে এবং দেশে বর্তমানে ফসলের নিবিড়তা ১৯৪% ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দানাদার খাদ্যশস্যের লক্ষ্যমাত্রা ছিল শত দশমিক ১৪ লাখ মেট্রিক টন, উৎপাদন হয়েছে শত ১৩ দশমিক ২৪৯ লাখ মে. টন যার ফলে দেশ আজ দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কৃষিক্ষেত্রে অসামান্য সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার নিয়মিত প্রদানের মাধ্যমে কৃষি কৃষি সংশ্লিষ্টদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। দক্ষিণ অঞ্চলে ভাসমান বেডে চাষাবাদ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সবজি উৎপাদন করা হচ্ছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া এবং বিভিন্ন ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র প্রান্তিক কৃষকদের কৃষি প্রণোদনা পুনর্বাসন বাবদ ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। উৎপাদনমুখী কৃষিবান্ধব সরকার নানাবিধ সহযোগিতা প্রদানের লক্ষ্যে মোট কোটি লাখ ১৩ হাজার ৪৭৭ জন কৃষককে কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড প্রদান করেছে। শেখ হাসিনার সরকার কৃষককে মাত্র ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলার সুযোগ করে দেওয়ায় কোটি লাখ ১৯ হাজার ৫৪৮টি ব্যাংক হিসাব খোলা সম্ভব হয়েছে, যেখানে বর্তমান স্থিতি প্রায় শত ৮২ কোটি টাকা। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংশোধিত বাজেট ছিল হাজার শত ২৪ দশমিক ৫৭ কোটি টাকা, যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার শত দশমিক ৮৪ কোটি টাকায় অর্থাৎ ৩০% বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছর হতে ২০১৭-১৮ কৃষি মন্ত্রণালয় বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে মোট ২০৪টি প্রকল্পের কার্যক্রম গ্রহণ করে। ২০৪টি প্রকল্প বাবদ মোট বরাদ্দ ছিল ১২ হাজার শত ৯৮ দশমিক ৯৩ কোট টাকা। ইতোমধ্যে ১৫৩টি প্রকল্প সমাপ্ত হয়েছে। বর্তমানে ৫১টি প্রকল্প চলমান আছে।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা