• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

ফিরে দেখা আ’লীগ সরকারের সফলতা : একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৩ জানুয়ারি ২০২০  

বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। রুপকল্প ২০২১ এবং একশ’ বছরের ডেল্টা প্লানকে সামনে রেখে দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। উন্নয়নের মহান রুপকার, গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনার দূরদর্শী চিন্তাধারা ও যুগোপযোগী বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে দেশ থেকে দূর হয়েছে ক্ষুধা-দারিদ্র্য-বেকারত্ব। শিক্ষা, কৃষি, শিল্প, ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ, নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাসহ দেশের প্রতিটি সেক্টরে হয়েছে অভূতপূর্ব উন্নয়ন। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন নিয়ে আমাদের ধারাবাহিক পরিবেশনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখি অসংখ্য উদ্যেগের একটি হচ্ছে ‘‘একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প’’। প্রকল্পটি প্রায় এক হাজার ২০০ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০১৪ জুন মাস মেয়াদে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালের নভেম্বর মাসে একনেক কর্তৃক অনুমোদিত হয়। পরবর্তী পর্যায়ে প্রকল্পের মেয়াদকাল এক বছর কমিয়ে প্রাক্কলিত ব্যয় এক হাজার ৪৯৩ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয় । প্রথম সংশোধিত প্রকল্পটির কার্যক্রম দেশের মোট এক হাজার ৯৩২টি ইউনিয়নে চলমান আছে। এখন তা আবার সংশোধন করে এর কার্যক্রম দেশের সব ইউনিয়নে (চার হাজার ৫০৩টি ইউনিয়ন) বিস্তৃত করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় সংশোধনীতে প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ১৬৩ কোটি টাকা এবং মেয়াদ বেড়েছে জুন ২০১৬ পর্যন্ত। 

একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক জরিপের ভিত্তিতে গ্রামের দরিদ্র মানুষের জন্য গ্রাম উন্নয়ন সংগঠন সৃষ্টি করে সুফল ভোগীদের দক্ষতাবৃদ্ধিমূলক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, ঋণ, অনুদান ও কারিগরি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে দরিদ্রদের মধ্যে দুগ্ধবতী গাভি, মৎস্য, হাঁস-মুরগি ও ফসলের বীজ বিতরণ অব্যাহত আছে। প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হচ্ছে গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র মানুষের জন্য তহবিল সৃজন এবং ঐ তহবিল পারিবারিক খামারে বিনিয়োগ পূর্বক স্থায়ীভাবে আয় সৃজনের মাধ্যমে টেকসই দারিদ্র্য বিমোচন । জাতীয় দারিদ্র্যের হার ২০২০ সালের মধ্যে ১০ ভাগে নামিয়ে আনায় অবদান রাখা।

প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হচ্ছে গ্রামাঞ্চলের প্রতিটি বাড়িকে কৃষিভিত্তিক উৎপাদনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তোলা, প্রতিটি গ্রামে ৬০ জন দরিদ্র/অতিদরিদ্র/ভিক্ষুক কে নিয়ে গ্রাম উন্নয়ন সংগঠন (ভিডিও) তৈরী যার ৪০ জন মহিলা এবং ২০ জন পুরুষ সদস্য থাকবে। সদস্যদের ক্ষুদ্র সঞ্চয় ও সরকার হতে সঞ্চয়ের বিপরীতে সমপরিমান অর্থ অনুদান প্রদানের মাধ্যমে গ্রাম সংগঠন এর জন্য তহবিল সৃজন। গ্রাম সংগঠনকে আয়বর্ধক কাজে বিনিয়োগের জন্য ঘুর্ণায়মান তহবিল অনুদান হিসেবে প্রদান। গ্রাম সংগঠনের নির্বাচিত সদস্যদের কৃষিভিত্তিক আয়বর্ধক কাজে দক্ষতা উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান, সদস্যদের উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ডিজিটাল তথ্য ব্যবস্থাপনা ও আর্থিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ডাটা সেন্টার স্থাপন ও বায়োমেট্রিক অথেনটিকেশনের মাধ্যমে সদস্যদের উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে অনলাইন ব্যাংকিং ও বাজারজাতকরণ সেবা প্রদান, প্রতি ইউনিয়নে সদস্যদের জন্য বহুমূখী পাঠদানকেন্দ্র হিসেবে পল্লী পাঠশালা স্থাপন। দারিদ্র্যসীমা হতে উত্তরণকৃত সদস্যদের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ঋণ প্রদান।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা