• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

পোশাক কর্মজীবী নারীরা নিতান্ত প্রয়োজনে বদলায়

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

শাড়ি পরলে আমাকে দুর্দান্ত দেখায় ছোট থেকে বড়, নানা বয়স, নানা সম্পর্কের মানুষ এমন কেউ নেই যে কথাটা আমাকে বলেনি। শাড়ি আমার খুব প্রিয় পোশাক। বাঙালি নারী কে আছে এমন, যে সেই নাবালিকা থেকেই মায়ের শাড়ি পেঁচিয়ে নারী হওয়ার চেষ্টা করেনি! আমি অনুষ্ঠান ছাড়া শাড়ি পরা ছেড়ে দিয়েছি আজ ১৪ বছর। হিসাব করে দেখেছি আমি যখন এসএসসি পরীক্ষা দিই তখন আমার বয়স ১৪ বছর ১০ মাস। আর প্রথম মাস্টারির চাকরিতে ঢুকেছি ২৫ বছর ১০ মাস বছর বয়সে। ৫ ফুট ১ ইঞ্চি উচ্চতার আমাকে বয়সে দেখায় আরও কম। আমার ছাত্ররা প্রায় আমার সমান। আমাকে তো ‘ম্যাডাম ম্যাডাম’ লাগতে হবে! আমার নিত্য শাড়ি যাপনের শুরু। ঘুমানোর আগে ম্যাচিং ব্লাউজ-জুতো-ব্যাগ-কানের দুল গুছানো। আর ঘুম থেকে ওঠে ঘন্টাব্যাপী প্রস্তুতি। টেবিলে নাস্তা প্রস্তুত, এই আবরণে নিজেকে সাজানো ছাড়া কলেজ যাবার আগে আর কোনো কাজ নেই। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখতাম, বাহ! এইতো বেশ তো নিজেকে ‘ম্যাডাম ম্যাডাম’ লাগছে!

মোটামুটি ২০০৬ সালের আগে পর্যন্ত এই অভ্যাস বহাল ছিলো। কিন্তু ২০০৬-এ আমার ৩২ সপ্তাহের যমজ সন্তান দুটো জন্ম নেয়ার পর সব অভ্যাস ভেঙেচুরে ঝুরঝুরিয়ে পড়লো। সাত সকালে ওঠে বাচ্চাদের খাইয়ে কোনোরকমে সালোয়ার কামিজ গলিয়ে কলেজে দৌড়। একগ্লাস জল খেয়ে বের হবার মতো সময় থাকে না হাতে,আর শাড়ি পরা! সেই থেকে চলছে,সব সামলে দ্রুত বাসা থেকে বের হওয়ার তাড়ায় নিত্য শাড়ি পরার অভ্যাস নির্বাসন দিতে বাধ্য হয়েছি আমি। পোশাক আমাদের মতো কর্মজীবী নারীদের নিতান্ত প্রয়োজনে বদলায়। মোটেই নিজেকে উপস্থাপনের প্রয়োজনে নয়। এই সত্য কোনো পুরুষ কি কোনোদিন আদৌ উপলব্ধি করতে পারে? ফেসবুক থেকে

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা