• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

পোল্ট্রি উন্নয়ন বোর্ড গঠনের দাবি খামারি-ব্যবসায়ীদের

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০১৯  

আগাম কর, আমদানি করা কাঁচামাল পরীক্ষায় জটিলতা, নেই দীর্ঘমেয়াদী কর্ম-পরিকল্পনা। এমন বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত দেশের পোল্ট্রি খাত। সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘পোল্ট্রি উন্নয়ন বোর্ড’ গঠনের দাবি ব্যবসায়ীদের। ব্যবসায়ী ও খামারিদের স্বার্থ সংরক্ষণ এবং টেকসই উন্নয়ন ধরে রাখতে বোর্ড গঠন, সময়ের দাবি বলছেন গবেষকরা। তবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বলছে, সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ চলছে। 

প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণে বলা যায় নীরব বিপ্লব ঘটিয়েছে পোল্ট্রি খাত। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ খাতে উৎপাদিত হয়েছে ৭৫ লাখ টন মাংস, এক হাজার ৭১১ কোটি ডিম। প্রান্তিক পর্যায়ে উদ্যোক্তা বেড়ে যাওয়ায় খামারের সংখ্যা ও কর্মসংস্থান যেমন বেড়েছে, তেমনি বৃদ্ধি পেয়েছে উপার্জন। যদিও এই উন্নয়নের পেছনে রয়েছে যুব সমাজের বিশেষ ভূমিকা। তবে প্রায়ই পোল্ট্রি ফিডের দাম বেড়ে যাওয়া, মাংসের বাজারে ধস, ভাইরাসের আক্রমণে সঠিক সময়ে সরকারের সহায়তা না পাওয়ায় হতাশা আর আতঙ্কের মধ্যে থাকেন ব্যবসায়ি ও খামারি। 

এছাড়াও তাৎক্ষণিক বিষয়ের সমাধানেও একাধিক দপ্তরে ঘুরতে হয় দিনের পর দিন। এজন্য একই ছাতার নিচে সেবা পেতে পোল্ট্রি উন্নয়ন বোর্ড করার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

স্পেকট্রা হেক্সা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আহসানুজ্জামান বলেন, একটা মাল আসার টেস্ট করে বের হতে প্রায় ১৫-২০ দিন বা এক-দেড় মাস লাগছে। তাতে করে আমাদের অনেক ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে এবং টাকাটা কিন্তু বিদেশ চলে যাচ্ছে। ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অব বাংলাদেশের সভাপতি এহতেশাম বি. শাহজাহান বলেন, সরকারের যে ডিপার্টমেন্টগুলো ইনভলভড, তাদের মধ্যে কো-অর্ডিনেশনটা পাচ্ছি না বলে বিভিন্ন রকম হয়রানির শিকার হচ্ছি। আমাদের একটা পোল্ট্রি উন্নয়ন বোর্ড থাকা উচিত। বোর্ড থাকলে এই বোর্ডের যারা স্টেকহোল্ডার যারা আছে সরকারি-বেসরকারি-আধাসরকারি থাকলে এই সেক্টর একটা ডিরেকশন পাবে।

শুধু প্রোটিনের চাহিদা পূরণ নয়, প্রয়োজন স্বাস্থ্যকরভাবে উৎপাদন, বাজারজাত ও সরকারের সহয়তা। এজন্য পোল্ট্রি শিল্পের আলাদা বোর্ড গঠন দাবি যৌক্তিক মনে করেন গবেষকরা। বিআইএসএসর গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবির বলেন, এই সেক্টরে যে প্ল্যানিং ডেভেলপমেন্টের অভাব আছে, এই জায়গা থেকে বোর্ড গঠনের দাবি যৌক্তিক বলেই মনে করি। তবে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব বলছেন, এ খাতের উন্নয়নে ব্যবসায়ী ও সরকার যৌথ উদ্যোগে কাজ করছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রইছউল আলম মণ্ডল বলেন, আমাদের পল্ট্রি সেক্টরটা খুব সুসংগঠিত। যেহেতু এখানে বিনিয়োগ বেশি তাই, এখানে বার্ডস বেশি তাই এটা খুব শক্তিশালী। 

বর্তমানে দেশের পোল্ট্রি শিল্পে নিয়োজিত প্রায় ৪০ লাখ খামারি প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে বিশেষ অবদান রাখছেন আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা