পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ মাদক কারবারি নিহত

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতরা মাদক কারবারি ছিলেন। সোমবার ভোরে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ঝিমংখালী মিনাবাজার চিংড়ি প্রজেক্ট বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় বন্দুকযুদ্ধ হয় বলে জানান টেকনাফ থানার পরিদর্শক (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ।

নিহতরা হলেন, টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন পল্লান পড়ার সুলতান আহমেদের ছেলে মাহমুদ উল্লাহ (২৬) এবং হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ঝিমংখালী এলাকার জাফর আলমের ছেলে মোহাম্মদ মিজান (২৪)। 

ওসি প্রদীপ কুমার বলেন, রোববার সকালে সোনালী ব্যাংকের টাকা পাহারা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশ সদস্যদের নিতে থানায় একটি মাইক্রোবাস আসে। এ সময় মাইক্রোবাসের চালক মাহমুদ উল্লাহর গতিবিধি পুলিশের কাছে সন্দেহজনক মনে হয়।

তিনি বলেন, পরে পুলিশ চালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৫ হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়। আটক চালকের স্বীকারোক্তিমতে সোমবার ভোর রাতে মিনাবাজার চিংড়ি প্রজেক্ট বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় মজুদ রাখা ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়।

তিনি জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে অতর্কিত গুলি ছুড়ে আটক চালককে সহযোগীরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। পুলিশ সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়ে। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে দুইজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। এতে পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে পাওয়া যায় ১৫ হাজার ইয়াবা, দুটি দেশীয় তৈরি বন্দুক ও কিছু গুলি।

ওসি বলেন, ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রদীপ কুমার জানান, ইয়াবা বহনকারী মাইক্রোবাসটি অভিযান শেষে থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে টেকনাফ পৌরসভা এলাকায় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে হঠাৎ ইঞ্জিন থেকে আগুন লেগে যায়। এতে গাড়িটি পুড়ে যায়। পরে  ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি প্রদীপ কুমার।