• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

পাবনায় বুলবুল কলেজের অধ্যক্ষসহ ২৫ শিক্ষকের অপসারণ দাবি

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২০ আগস্ট ২০১৯  

পাবনায় সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথাযথভাবে পালন না করার অভিযোগে অধ্যক্ষসহ ২৫ শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আজ দুপুরে সরকারি বুলবুল কলেজ চত্বর থেকে সচেতন ছাত্রসমাজের ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

পরে পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শিবলী সাদিক, বুলবুল কলেজের সাবেক ছাত্রনেতা শেখ শাকিরুল ইসলাম রনি, সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসেন, বুলবুল কলেজের ছাত্রনেতা মিজানুর রহমান সবুজ, ময়না খাতুন, শরিফুল ইসলাম স্বাধীনসহ অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীবৃন্দ বক্তব্য দেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৫ আগস্ট ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী। এই জাতীয় শোক দিবসে সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি পালন করেছে।

কিন্ত এদিন পাবনার অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজে অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল কুদ্দুসসহ ২৫ শিক্ষক সেই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেননি।

প্রতিষ্ঠানের প্রধান হয়ে অধ্যক্ষ জাতীয় শোক দিবসে অনুপস্থিত হয়ে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে শুধু প্রশ্নবিদ্ধ করেননি, তিনি জাতির পিতাকে অপমান করেছেন।

বক্তারা আরও বলেন, কলেজের ৪২ শিক্ষকের মধ্যে সেদিন মাত্র ১১ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। তারা শুধু মাত্র লোক দেখানো পুষ্পার্ঘ অর্পণ আর ফটোসেশন করে চলে গেছেন।

বিষয়টি অধ্যায়ণরত সাধারণ শিক্ষার্থী, কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী, ছাত্রনেতাসহ পাবনার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে বিষয়টি নিয়ে সারা দেশের সাধারণ মানুষ ধিক্কার জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানসহ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।

মানববন্ধন থেকে অবিবিলম্বে কলেজের অধ্যক্ষসহ অবমাননাকারী সব শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

পরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।

জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ স্মারকলিপি গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা