• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

পাওনা পরিশোধের দাবিতে পাট ব্যবসায়ীদের বিজেএমসি ঘেরাও

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০১৯  

বিজেএমসির কাছে সাধারণ পাট ব্যবসায়ীদের যে পাওনা রয়েছে তা পরিশোধের দাবিতে রাজধানীর মতিঝিলে বিজেএমসির প্রধান কার্যালয় ঘেরাও করেছে সাধারণ পাট ব্যবসায়ী সমিতি এবং বাংলদেশ ক্ষুদ্র পাট বাবসায়ী সমিতি।

আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে ঘেরাও কর্মসূচি পালনকালে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ পাট ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক খোন্দকার আলমগীর কবিরের সভাপতিত্বে সমাবেশে পাট ব্যবসায়ীদের দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট লেখক কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মো. আব্দুল আজিজ, মো. হারুন অর রশিদ, টিপু সুলতান, মো. শামীম মোরল, শরিফুল ইসলাম, নাদেম দত্ত ও মো. আব্দুল মালেক ভূইয়া। সারাদেশ থেকে প্রায় এক হাজার সাধারণ পাট ব্যবসায়ী এবং পাটচাষি ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নেন।

সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, 'ব্যসায়ীদের এই দাবি ন্যায়সঙ্গত এবং যৌক্তিক। এতো বড় বিশাল জাতীয় বাজেটে উল্লেখিত বকেয়া টাকা নামে মাত্র টাকা, সংশ্লিষ্ট সংস্থা তথা সরকারের উচিৎ শিগগিরই পাট ব্যবসায়ীদের উল্লেখিত বকেয়া পাওনা পরিশোধ করা। আমি ব্যক্তিগতভাবে সংশ্লিষ্টদের কাছে পাওনা পরিশোধের অনুরোধ জানাচ্ছি।'

সমাবেশে বক্তারা জানান, গত ২০১৬-২০১৭ অর্থবছর থেকে এ পর্যন্ত বিজেএমসির কাছে প্রায় ৫ হাজার পাট ব্যবসায়ী ও পাট চাষির ৪৫২ কোটি ৯২ লাখ পাওনা রয়েছে। বিজেএমসির বিভিন্ন পাট ক্রয় কেন্দ্রে ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ী ও পাট চাষিদের পাট সরবারাহ বাবদ এ পরিমাণ অর্থ পাওনা টাকা পরিশোধের দাবি জানিয়ে বারবার বিজেএমসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যেগাযোগ করেও সাড়া মেলেনি। পাওনা টাকা আদায়ের দাবিতে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে বিগত দিনেও সংবাদ সম্মেলন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পেশ এবং বিজেএমসির প্রধান কার্যালয় ঘেরাওসহ আন্দোলনের বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করা হয়েছে। এরপরও সাধারণ পাট ব্যবসায়ীদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ না করায় তারা পরিবার পরিজনসহ মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। এ অবস্থায় আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সমস্ত পাওনা টাকা পরিশোধ করার দাবি জানিয়েছেন তারা। এই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ করা না হলে বিজেএমসির আওতাধীন মিলঘাটসহ দেশের সব পাট ক্রয় কেন্দ্রে পাট সরবারহ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন পাট ব্যবসায়ীরা।

বক্তারা তাদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধে বিজেএমসিকে বাধ্য করার জন্য প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সমাবেশ শেষে বিজেএমসির প্রধান কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা