পাঁপড় শুকানোর কাজে ব্যস্ত গ্রামবাসী
আজকের খুলনা
প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর ২০১৯
হেমন্তের ঝকঝকে রোদ পড়ছে চোখে মুখে। রোদের তীব্রতা থেকে রেহাই পেতে গৃহবধূরা শাড়ির আঁচল দিয়ে ঘোমটা টানছেন। আর পুরুষরা মাথায় দিচ্ছেন গামছা। কাপড় বা চট বিছিয়ে রোদে পাঁপড় শুকানোর কাজে ব্যস্ত থাকার সময় রোদ থেকে বাঁচতে তাদের এ চেষ্টা।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের খুলনার ফুলতলা উপজেলার দক্ষিণডিহির শ্বশুরালয়ের প্রবেশদ্বারের ডান পাশের মাঠে গিয়ে এমন দৃশ্যের দেখা গেছে।
বিশাল এ মাঠে অসংখ্য পরিবার পাঁপড় শুকাচ্ছে। রুটির মতো গোলাকৃতির হাজার হাজার পাঁপড়ে মাঠটি ঢাকা পড়েছে। হঠাৎ দেখলে মনে হবে যেন পাঁপড়ের মাঠ! শুধু এ মাঠই নয় এই গ্রামের পথ ধরে চললে চোখে পড়বে কাপড় বা চট বিছিয়ে রোদে শুকানো হচ্ছে হাতে তৈরি পাঁপড়।
দক্ষিণডিহি ছাড়াও এ উপজেলার নাওদাড়ি ও তত্তিপুর গ্রামের মানুষ পাঁপড় তৈরির সঙ্গে জড়িত। তিন গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই রাত-দিন পাঁপড় তৈরি যজ্ঞ চলে। এর সঙ্গে যুক্ত পরিবারের প্রায় প্রতিটি সদস্য। ফলে গ্রাম তিনটি পরিচিতি পাঁপড় গ্রাম নামে। অনেকে পৈত্রিক পেশা হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।ফুলতলার এই পল্লিতে ডালসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়ে কাঁচা পাঁপড় তৈরি করে শুকিয়ে বাজারজাত করা হয়। খুলনা ও ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকারি ক্রেতারা এখানকার পাঁপড় কিনে নিয়ে খুচরা বিক্রি করে থাকেন। খুচরা ক্রেতারা কিনে নিয়ে তা দোকানে, রাস্তার ধারে বা উৎসব উপলক্ষে মেলা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের স্টলের কাছে বসে তেলে ভেজে তা বিক্রি করেন।
উৎপাদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত দক্ষিণডিহি গ্রামের পাঁপড় তৈরির কারিগররা জানান, পাঁপড় হচ্ছে পাতলা, কুড়মুড়ে, থালাকৃতির খাবার যা সারাদেশে জনপ্রিয়। এটা সাধারণত মাষকলাই ডাল থেকে তৈরি করা হয়। মসুর, ছোলা, চাল থেকে তৈরি আটা দিয়ে পাপড় তৈরি করা যায়।
তারা বলেন, কাঁচা পাঁপড় পাতলা রুটির মতো গোল আকৃতি করে প্রথমে রোদে শুকিয়ে রাখা হয়। রোদে শুকানো এই পাঁপড় প্রয়োজন অনুযায়ী গরম তেলে ভাজলেই খাওয়ার উপযুক্ত হয়। তেলে ভেজে, বিট লবণ বা সস লাগিয়েও খাওয়া যায় এই পাঁপড় ভাজা।
পাঁপড় শুকানো অবস্থায় কথা হয় পাঁপড় কারিগর গোলাম রব্বানীর সঙ্গে।তিনি বলেন, মাষকলাই, খেসারি ডাল থেকে তৈরি করা হয় পাঁপড়। এর সঙ্গে মেশাতে হয় চালের গুঁড়া, লবণ, কালিজিরা, খাওয়ার সোডা। বাণিজ্যিকভাবে একাত্তর সালের পর থেকে আমি পাঁপড়ের সঙ্গে জড়িত।
কুলসুম নামে এক নারী জানান, পাঁপড় তৈরি ও শুকানোর কাজে নারীরাই মূলত যুক্ত বেশি। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্বশুরালয়ের পাশের মাঠে প্রায় এক শতাধিক নারী পাঁপড় শুকায়। বছরের বৈশাখী ও চৈত্র-সংক্রান্তির মেলায় বেড়ে যায় পাঁপড়ের চাহিদা। এছাড়া বছরজুড়েই পাঁপড়ের চাহিদা থাকে।
ইদ্রিস মোল্লা নামে আরেক পাঁপড় শ্রমিক বলেন, এক একজন মহাজনের প্রায় ২০ জন শ্রমিক রয়েছেন। তারা পাঁপড় তৈরি, শুকানো ও বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। ১২ মাস পাঁপড় তৈরি করা হয়। বৃষ্টি হলে একটু কষ্ট করে শুকাতে হয়।
দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিভিন্ন ধরনের পাঁপড়ের বিভিন্ন দাম। এক নম্বর পাঁপড় ১০০ টাকা কেজি। দু’নম্বর পাঁপড় ৮০ টাকা। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকাররা এসে কিনে নিয়ে যায়। আবার তাদের অর্ডার মতো পাঠানোও হয়।ফুলতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আকরাম হোসেন বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই দক্ষিণডিহি, নাওদাড়ি ও তত্তিপুর গ্রাম পাঁপড়পল্লি হিসেবে গড়ে উঠেছে। এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত উদ্যোক্তা ও শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহযোগিতা দিলে পাঁপড় শিল্পের সম্ভাবনাকে আরও প্রসারিত করা সম্ভব।
- টিসিবির জন্য কেনা হবে সাড়ে ৬১ কোটি টাকার মসুর ডাল
- সিঙ্গাপুর থেকে ২ কার্গো এলএনজি কিনবে সরকার
- জিআই স্বীকৃতির সঙ্গে পণ্যের গুণগত মান বজায় রাখতে হবে:শিল্পমন্ত্রী
- সাতক্ষীরায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আরোহী নিহত
- বাগেরহাটে বালু বোঝাই ট্রলির ধাক্কায় মা-ছেলে নিহত
- গুচ্ছভর্তি পরীক্ষা: খুবি উপকেন্দ্রে ৮৮৮৬ পরীক্ষার্থী
- খুলনা যুবলীগ সভাপতির ছাতা পেয়ে নৌকার মাঝিরা খুশি
- খুলনার ১৪৩তম জন্মদিন আজ
- ১৪৩তম খুলনা দিবস পালিত
- হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়ছে আরও তিন দিন
- শপথ নিলেন নবনিযুক্ত আপিল বিভাগের তিন বিচারপতি
- আমার শরীর সুন্দর, তাই তারা পিছু ছাড়ে না : নোরা ফাতেহি
- ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
- গরমে মাথায় হাত মুরগি খামারির, আম চাষিরাও চিন্তায়
- স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত শনিবার
- মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলো ২৮৮ সেনা-বিজিপিকে
- দুবাইয়ের পর এবার মক্কা-মদিনায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস
- হজ পারমিট দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব
- উপজেলা ভোট ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্র ব্যর্থ হবে
- নিজেকে এখন প্রাণভরে দেখি : পরীমণি
- বিএনপি আন্দোলনেব্যর্থ হয়ে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে:কাদের
- ১৫ বছরে আমাদের চাল আমদানি করতে হয়নি: এলজিআরডি মন্ত্রী
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- বিএসইসির আদেশ জারি
৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না - বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান : মেয়র, ডিএসসিসি
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- ব্যাংক একীভূত হলেও আমানত সুরক্ষিত থাকবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- টেলিযোগাযোগ আইনের খসড়া
আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- আমি আসলাম আর আপনি চলে যাচ্ছেন: নাসিরকে পরীমনি
- আজ থেকে শুরু ফিরতি ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি
- পায়ুপথে পেটের ভেতর ২৫ ইঞ্চি কুঁচিয়া মাছ, জ্যান্ত উদ্ধার
- ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই একে একে মৃত্যুর কোলে ৪
- ৫০ বছর পর মা-মেয়ের মিলন
- দেশের জনগন সন্ত্রাস দমন ওআইনশৃঙ্খলার উন্নাতি হওয়ায় সুফল ভোগ করছেন
- কেসিসির ৩৭ কর্মচারী চাকরিচ্যুত
- বগুড়ায় সিনেমা হলে টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি
- শিকলে বেঁধে ২৫ দিন ধরে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ
- ইতিকাফের জন্য যেসব শর্ত মানতে হবে
- ডুমুরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- ভালো শিক্ষার্থী হলেই হবে না, আদর্শবান মানুষ হতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
- ‘অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার সুস্থ আছেন, তার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে’
- খুলনায় বাসে তল্লাশি, ১২ স্বর্ণের বারসহ যুবক আটক
- অনলাইনে ঝুঁকছেন ক্রেতারা
- তাপদাহ নিয়ে যা জানালেন হিট অফিসার
- হার্টের ২৩ ধরনের রিংয়ের দাম কমলো
- বিশ্বের সব দেশেই পরকীয়ার অস্তিত্ব আছে...
- স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা
- দাদার সাথে কী কথা হলো মুস্তাফিজের?