পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণকারীর হার বাড়ছে
আজকের খুলনা
প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯
জেলায় গত ১০ বছরে (২০০৯-১৮) পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণকারীর হার বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১৪ ভাগ। বর্তমান সরকারের এ খাতে জনবল নিয়োগ, ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা ও সঠিক কর্ম পরিকল্পনার কারণেই অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে নারীদের খাবার বড়ি, পুরুষের কনডম, নারীদের ইনজেকটেবল (ইঞ্জেকশন), নারীদের আইইউডি, ইমপ্লান্ট ও স্থায়ী পদ্ধতি। মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে এসব সামগ্রী বিতরণ করে আসছেন। এতে করে এখানকার জনসংখ্যার আধিক্য, মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার কমে এসছে। তাই সাধারণ মানুষের মধ্যে পরিকল্পিত পরিবার গঠনের আগ্রহ বাড়ছে।
জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সূত্র জানায়, ‘দুটি সন্তানের বেশি নয় একটি হলে ভালো নয়’ এ স্লোগান নিয়ে জেলায় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিবছরই জেলায় পদ্ধতি গ্রহণের হার বাড়ছে। ২০০৯ সালে এর হার ছিলো ৬৮.৭২ ভাগ। পরের বছর ২০১০ সালে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭০.৪৪। ২০১১ সালে ছিলো ৭৩.৪১। ২০১২ সালে হয়েছে ৭৫.৩০। ২০১৩ সালে এ হার দাঁড়িয়েছে ৭৪.৮৮। ২০১৪ হয়েছে ৭৬.৯৩।
একইভাবে ২০১৫ সালে ৭৯.৮২। ২০১৬ সালে হয়েছে ৮০.৭৮ ভাগ। ২০১৭ সালে ব্যবহারকারীর হার ৮১.৯৪ ও ২০১৮ সালে বেড়ে হয়েছে ৮২.৩৪ ভাগ। বর্তমানে জেলায় এর গ্রহণযোগ্যতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদুল হক আযাদ বাসস’কে বলেন, বর্তমান সরকারের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার ফলে এ খাতে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বিশেষ করে বর্তমানে মানুষ সচেতন হওয়ায় প্রায় অধিকাংশ নতুন দম্পতি জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করছেন। মানুষ দিন দিন অজ্ঞতা ও কৃসংস্কার থেকে বেড়িয়ে আসছেন। ফলে নারীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিও কমে আসছে। অনেকটাই রোধ করা সম্ভব হয়েছে শিশু ও মাতৃ মৃত্যু।
তিনি আরো বলেন, পূর্বে যেখানে একজন মা গড়ে ৬টির বেশি সন্তান প্রসব করতেন। আর এখন ২ টি অথবা ১টি সন্তান জন্ম দেন। পরিবার পরিকল্পনার মাধ্যমে আমাদের জনসংখ্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। যার সুফল ইতোমধ্যে আমরা ভোগ করছি।
পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ভোলা দ্বীপ জেলা হওয়ায় এখানে ধর্মীয় গোড়ামী ও কুসংস্কারচ্ছন্ন মানুষের সংখ্যা ও কম নয়। বিগত দিনে জন্ম নিয়ন্ত্রণকে পাপ বলে মনে করতো অনেকে। কেউ কেউ আবার লজ্জা বা জড়তায় প্রকাশ করতে পারতো না। একাধিক সন্তান জন্ম গ্রহণ করায় দরিদ্র পরিবারগুলোর অভাব লেগেই থাকতো। অধিক সন্তান প্রসবের কারণে অতি মাত্রায় স্বাস্থ্যহীনতায় ভুগতেন মায়েরা।
তারা আরো জানান, যদিও বর্তমান সরকারের আমলে মানুষ এখন অনেক সচেতন হয়েছে। শিক্ষার হার বেড়েছে, জীবনমান উন্নত হয়েছে। ব্যাপক প্রচারণা ও কর্মকান্ডের সম্প্রসারণে পরিবার পরিকল্পনা বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিশেষ করে অবহেলিত গ্রামঞ্চলের দরিদ্র পরিবারগুলো বিনামূল্যে ঘরে বসে জন্ম নিয়ন্ত্রণ সামগ্রী হাতে পেয়ে খুশি। অনেকের পক্ষেই অর্থ দিয়ে নিয়মিত এসব কেনা সম্ভব নয়।
দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: অচিন্ত্য কুমার ঘোষ বাসস’কে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে মানুষ জন্ম নিয়ন্ত্রণে আগ্রহী হচ্ছে। এর কারণ হলো আমাদের শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষ যত শিক্ষিত হবে গোড়ামী তত কমে যাবে এবং সচেতনতা তত বৃদ্ধি পাবে। গ্রামের সাধারণ মানুষ আগে মনে করত সন্তান বেশি হলে তাদের কাজে সহায্য করতে পারবে। এখন তারা বুঝতে পেরেছে একটি বা দুটি সন্তান হলে তাদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পুষ্টি নিশ্চিত করা অনেক সহজ হয়। কাজেই সন্তান শিক্ষিত ও সুনাগরিক হলে বাবা-মাকে অনেক বেশি সহায়তা করতে পারে।
সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের দক্ষিণ বালিয়া গ্রামের ৪ নং ওয়ার্ডের বেড়িবাঁধ’র বাসিন্দা সামসুল আলম, আবু হানিফা, কালাম মাঝি বাসস’কে জানান, তারা সকলেই মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাদের পক্ষে অধিক সন্তান পালন অত্যন্ত ব্যয়সাধ্য। তারা দেখেছেন বেশি সন্তান থাকার কুফল। তাই তারা জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন।
শীবপুর ইউনিয়নের শান্তির হাট এলাকার গৃহবধু রোকসানা বেগম, লাইজু বেগম, সফুরা খাতুন ও সেফালী বেগম বলেন, আগে না বুঝলেও এখন তারা বুঝতে পেরেছেন ছোট পরিবারেই সূখ বেশি। সন্তান কম থাকলে তাদের মানুষ করতে সহজ হয়। ফলে তারা এখন সচেতন ও পদ্ধতি গ্রহণ করেন।
- স্কুলছাত্র হত্যা চেষ্টায় ১০ কিশোর গ্রেফতার, দু’জনের স্বীকারোক্তি
- সাতক্ষীরায় গোডাউন থেকে ১৯৯ বস্তা চিনি জব্দ, ব্যবসায়ীকে জরিমানা
- খুলনায় বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধ উদ্ধার, একজনকে কারাদন্ড
- পতিত জমিতে সূর্যমুখীর বাম্পার ফলন
- মোংলায় হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে বলগেট ডুবে নিখোঁজ ১
- তেরখাদায় ক্লাইমেট-স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান
- শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্টমার্টিনে ভেসে আসছে গোলাগুলির শব্দ
- উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও অফিস খোলা রাখার নির্দেশ
- আইপিইউর এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের চেয়ারম্যান হলেন স্পিকার
- দুর্নীতি করব না, প্রশ্রয়ও দেব না: দীন মোহাম্মদ
- ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার
- ইফতারে ছোলা খেলে পাবেন ৬ উপকার
- ডি মারিয়ার পরিবারকে হত্যার হুমকিদাতারা গ্রেফতার
- কৈলাশটিলায় প্রতিদিন ২ কোটি ঘনফুটের বেশি গ্যাস উৎপাদন করা হবে
- ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার ফল জানা যাবে যেভাবে
- আজ ১৭ রমজান ঐতিহাসিক বদর দিবস
- বিমানবন্দরে গুলিতে আত্মহত্যার চেষ্টা নিরাপত্তারক্ষীর
- ৯ বছর পর রোমে বিমান
- ৫০ বছর পর মা-মেয়ের মিলন
- সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১১ প্রকল্প অনুমোদন
- হুন্ডির একটি চক্রই পাচার করেছে ৪০০ কোটি টাকা, গ্রেফতার ৫
- শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালুর অপেক্ষা
- ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
- কূপ খননে তিন বিদেশী কোম্পানি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে যুক্ত হচ্ছে
- পাল্টে যাচ্ছে রাজধানীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেহারা
- ঢাকায় দুদিনের সফরে আসছেন কাতারের আমির
- শিল্পে দ্রুত ইভিসি মিটার দেবে তিতাস
- শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়ার নির্দেশ
- অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে যত পরিকল্পনা
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও ক্ষমতা পাচ্ছে সরকার
- আসছে ১৫০০ টন ভারতীয় পিঁয়াজ
- এই প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ ভিড়ল গাজার উপকূলে
- চলতি সপ্তাহেই ভারত থেকে আসছে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ
- চলন্ত মেট্রোতে দুই তরুণীর রং মাখামাখি, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি
- ভোমরা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের ও দুর্নীতির অভিযোগ
- সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ
- বিমানের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনায় প্রথমবার সবাই নারী
- পায়ুপথে পেটের ভেতর ২৫ ইঞ্চি কুঁচিয়া মাছ, জ্যান্ত উদ্ধার
- ঝিনাইদহ-১ আসনের এমপি আব্দুল হাই মারা গেছেন
- চিরনিদ্রায় শায়িত প্রবীণ আলেম মাওলানা লুৎফর রহমান
- ২৯ ফেব্রুয়ারি, লিপ ইয়ার নিয়ে অজানা সব তথ্য
- আগে যা করেননি, অনন্ত-রাধিকার বিয়েতে সেই কাজ করলেন অক্ষয়
- বাংলাদেশি হত্যার দায়ে ৫ পাকিস্তানির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
- রমজানে ভারতীয় ভিসা আবেদনের নতুন সময়সূচি ঘোষণা
- স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ও বাঙালির গণজাগরণ
- রমজানে প্রাথমিকে শিক্ষা কার্যক্রম ৯ থেকে সাড়ে ৩টা
- কেজিপ্রতি ১৫০ টাকায় মিলবে খেজুর
- ভোমরা স্থলবন্দরে দুর্নীতি, ডেপুটি কমিশনারকে প্রত্যাহারের দাবি
- জাতিসংঘে ইসলামোফবিয়া নিয়ে প্রস্তাব পাস, পক্ষে ভোট বাংলাদেশের
- ইফতার ও সেহরির সময় নিয়ে হাদিসে যে নির্দেশনা এসেছে