• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

দাবানলের গ্রাসে ৫০ কোটি বন্যপ্রাণী!

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৪ জানুয়ারি ২০২০  

দাবানলের আগুনে দাউদাউ করে জ্বলছে অস্ট্রেলিয়ার বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল। সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বিধ্বংসী দাবানলের জেরে পুড়ে গেছে প্রায় কয়েক লক্ষ একর জমি। ভস্মীভূত হয়েছে প্রায় দু'শরও বেশি বাড়ি। কয়েকশো কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। গত বুধবারই দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। পরিস্থিতির জেরে নিউ সাউথ ওয়েলসে সপ্তাহব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করেছে প্রশাসন। এর মাঝেই জানা গেল এই ভয়াবহ দাবানলের জেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বন্যপ্রাণীদেরও। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি জন্তুর।

এক আন্তর্জাতিক সংস্থা গত বৃহস্পতিবারই এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে। 

সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিদদের দেওয়া তথ্য বলছে, সেপ্টেম্বর থেকে এ যাবৎকাল প্রায় ৫০ কোটি স্তন্যপায়ী, পাখি ও সরীসৃপের মৃত্যু হয়েছে দাবানলে ঝলসে গিয়ে। যার সংখ্যা আগামী দিনে আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পরিবেশবিদরা। 

সেই তথ্য থেকেই জানা গেছে, দাবানলে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে প্রায় হাজার হাজার কোয়েলা। প্রায় বিলুপ্তির তালিকায় থাকা এই প্রজাতির বেশিরভাগেরই বাস ছিল অস্ট্রেলিয়ার বনাঞ্চল। যা বর্তমানে দাবানলে ছারখার হয়ে গিয়েছে। মূলত, নিউ সাউথ ওয়েলসের মধ্য-দক্ষিণ উপকূলবর্তী অঞ্চলে বসবাসরত প্রায় আট হাজার কোয়েলার মৃত্যু হয়েছে। যা এই অঞ্চলের কোয়ালা-সংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও এবং একাধিক ছবিতেও দেখা গিয়েছে যে, অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূলবর্তী অঞ্চলে দাবানলের লেলিহান শিখা থেকে বাঁচার আপ্রাণ চেষ্টা করছে ক্যাঙারুরা। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিভিন্নস্থানে অসংখ্য প্রাণী পুড়ে মরে গিয়েছে। কাকাতুয়া-সহ অন্য অনেক পাখির মৃতদেহও গাছের নিচে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। বিধ্বংসী দাবানল থেকে বাঁচতে যেসব কৃষক আগুন থেকে বাঁচার জন্য অন্য স্থানে আশ্রয় নিয়েছিলেন, পরে বাড়ি ফিরে তাঁরা দেখেন পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে ফসলি জমি এবং গৃহপালিত প্রাণীরা।

পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের পরিবেশবিদ মার্ক গ্রাহাম জানান, দাবানলের জেরে সৃষ্টি হওয়া তীব্র গরম এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়া আগুনে ঝলসে মারা গিয়েছে অসংখ্য প্রাণী। বিশাল এলাকা এখনও জ্বলছে। যাতে ভবিষ্যতে মৃত বন্যপ্রাণীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

 

 

 

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা