• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

দাকোপে বাঁধ ভেঙে তরমুজসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১ এপ্রিল ২০২১  

দাকোপে পৃথক দু’টি স্থানে বেড়ী বাঁধে ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। খলিষা এলাকায় জোয়ারের পানি ঢুকে তরমুজসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। কৃষকের প্রায় ২১ লক্ষ টাকারও বেশি মূল্যের ফসলের ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে স্থানীয় জনগণ ও প্রশাসনের সহযোগিতায় পানি আটকানো সম্ভব হয়েছে।

জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩১ নং পোল্ডারের অধীন পানখালী ইউনিয়নের খলিষা এলাকায় গত সোমবার আনুমানিক ৩শ’ মিটার বেড়ী বাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দেয়। বুধবার সকাল পর্যন্ত ওই স্থান দিয়ে নদীর পানি ঢুকে পানখালী ইউনিয়ন এবং চালনা পৌর এলাকার ৪ টি গ্রামের ফসলের মাঠ লবন পানিতে তলিয়ে যায়। এ ছাড়া ভাঙন এলাকায় বিপুল রায় এবং অনাদী রায় নামের দু’টি পরিবারের বসত বাড়ী নদীর অংশ হয়ে যায়। এতে চাষিদের আনুমানিক ১ হাজার বিঘা জমির ধানসহ তরমুজ এবং সব্জির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

সূত্র মতে, পানি উন্নয়ন বোর্ড ওই এলাকায় বিকল্প বাঁধ নির্মানের জন্য বেশ আগেই ঠিকাদার নিয়োগ দেয়। কিন্তু যথা সময়ে কাজ শুরু না হওয়ায় এবং স্থানীয়দের অসহযোগিতায় মাটি না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত বাঁধ ভেঙে এলাকায় লবন পানি ঢুকে ক্ষয়ক্ষতি হয়। বুধবার সকালে দাকোপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিন্টু বিশ্বাস ঘটনাস্থলে থেকে বাঁধ নির্মান কাজ তদারকি করেন। এ সময় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ আবুল হোসেন, চালনা পৌরসভার মেয়র সনত কুমার বিশ্বাস, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল কাদের, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শেখ আব্দুল কাদের, পাউবোর শাখা কর্মকর্তা মধুসুধন মল্লিক, ইউপি সদস্য জ্যোতি শংকর রায় উপস্থিত ছিলেন।

ইতিমধ্যে পানি আটকানো সম্ভব হয়েছে বলে জানা গেছে। অপরদিকে একই পোল্ডারের অধীন তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের ঝালবুনিয়া এলাকায় বেড়ী বাঁধ ভেঙে যায়। তবে সেখানে বড় ধরনের ক্ষতির আগেই পানি আটকানো সম্ভব হয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ৩৬ জন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের তরমুজ ২.৬৯ হেক্টর মুগডাল ০.৬৭ হেক্টর, ধান ১ হেক্টর, ভূট্টা০.১০ হেক্টর ফসলি জমির ফসল নদীর পানিতে ডুবে ২১২৮৮০০ টাকা পরিমান কৃষকদের ক্ষতি সাধন হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিন্টু বিশ্বাস বলেন, ভেঙে যাওয়া বাঁধ আটকানো সম্ভব হয়েছে। ফলে আপাতাত পানি ঢোকার সম্ভবনা নাই। স্থায়ীভাবে বাঁধটি টেকসই করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে দাবী করে তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারসহ চাষিদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা