• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

তিন মাস পরপর পাঠাতে হবে অগ্রগতির তথ্য

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

চলতি অর্থবছর (২০১৯-২০) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) সর্বোচ্চ বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর সরকার। এক্ষেত্রে শতভাগ বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে পরিকল্পনা কমিশন। এ কারণে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবের কাছে চিঠি দিয়ে প্রতি তিন মাস অন্তর তাদের আওতায় বাস্তবায়নাধীন সকল উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি নির্ধারিত ছকে বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগে (আইএমইডি) পাঠানো নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব আবুল মনসুর মো. ফয়েজউল্লাহ স্বাক্ষরিত চিঠিতে সম্প্রতি বলা হয়েছে, ‘সকল মন্ত্রণালয় বা বিভাগের আওতাভুক্ত চলমান প্রকল্পসমূহের অনুকূলে ২০১৯-২০ অর্থবছরে এডিপি-তে প্রদত্ত বরাদ্দের বিপরীতে বাস্তবায়ন অগ্রগতির তথ্য আইএমইডি ছকে অর্থবছরের প্রতি তিন মাস শেষে আইএমইডিতে প্রেরণের বিষয়ে সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য। এতে অর্থবছরের শেষান্তে প্রকল্প বাস্তবায়নের দ্রুততা বিবেচনা করা যাবে। একই সঙ্গে ত্রৈ-মাসিকভিত্তিক অগ্রগতির হার অনুসারে বাস্তবায়ন পার্যবেক্ষণ করা সহজতর এবং প্রকল্প নির্দিষ্ট সময়ে বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।’

সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘আপনি অবগত আছেন যে, গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৯৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ। যা বিগত পাঁচ বছরের গড় অগ্রগতির তুলনায় সর্বোচ্চ। এ অগ্রগতি অর্জনে সম-অংশীদার হিসেবে আপনাকে অভিনন্দন।’

এতে বলা হয়, ‘বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) বিভিন্ন উপন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়মিত পরিবীক্ষণের মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়ন ত্বরান্তিতকরণে সহায়ক ভূমিক রাখে। আপনার মন্ত্রণালয় বা বিভাগের আওতায় বাস্তবায়নাধীন সকল উন্নয়ন প্রকল্পের ২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)-তে প্রাপ্ত বরাদ্দের বিপরীতে অর্থবছরের শুরুতেই আইএমইডি ছকে এবং অর্থবছরের প্রতি তিন মাস শেষে একই ছকে তথ্য আইএমইডিতে প্রেরণ করা হলে অর্থবহ পরিবীক্ষণে তা সহায়ক হবে।‘

‘এমতাবস্থায় আপনার মন্ত্রণালয় বা বিভাগের আওতাভুক্ত চলমান প্রকল্পসমূহের অনুকূলে ২০১৯-২০ অর্থবছরে এডিপি-তে প্রদত্ত বরাদ্দের বিপরীতে বাস্তবায়ন অগ্রগতি তথ্য আইএমইডি ছকে অর্থ বছরের প্রতি তিন মাস শেষে আইএমইডিতে প্রেরণের বিষয়ে সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য। এতে অর্থবছরে শেষান্তে প্রকল্প বাস্তবায়নের দ্রুততা পরিহার করা যাবে। একই সঙ্গে ত্রৈ-মাসিকভিত্তিক অগ্রগতির হার অনুসারে বাস্তবায়ন পার্যবেক্ষণ করা সহজতর এবং প্রকল্প নির্দিষ্ট সময়ে বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।’

এদিকে এডিপির সর্বোচ্চ বাস্তবায়নে আটটি কৌশল নির্ধারণ করেছে সরকার। এগুলো হচ্ছে- মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোর (এমটিবিএফ) মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকে প্রকল্প গ্রহণ, নতুন প্রকল্প গ্রহণ বা অনুমোদনে অগ্রাধিকার তালিকা নির্ধারণ, সমাপ্তির জন্য নির্ধারিত প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন, চলমান প্রকল্প যথাসময়ে সংশোধন ও মেয়াদ বাড়ানো, প্রকল্পের ব্যয় খাত সংশোধন ও পুনঃউপযোজন, বৈদেশিক অর্থায়নপুষ্ট প্রকল্পের বাস্তবায়ন বাড়ানো, প্রকল্প বাস্তবায়ন মনিটরিং এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নপুষ্ট প্রকল্পের বাস্তবায়ন বৃদ্ধি করা।

সম্প্রতি রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, এডিপির মানসম্পন্ন বাস্তবায়নের জন্য আমরা প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। এক্ষেত্রে যেসব কৌশল গ্রহণ করলে এডিপির সর্বোচ্চ বাস্তবায়ন নিশ্চিত হবে, আমরা সেসব কৌশলই নিচ্ছি। চলতি অর্থবছরও বিভাগীয় পর্যায়ে প্রকল্প পরিচালকদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক হবে। এছাড়া বিশেষ প্রকল্পের ক্ষেত্রে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের ঢাকায় ডেকে আলোচনা করা হবে। সেই সঙ্গে খাতভিত্তিক প্রকল্প ধরে ধরে আলোচনা করা হবে। এক কথায় প্রকল্পের মানসম্মত বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে এডিপির সর্বোচ্চ বাস্তবায়ন আমাদের প্রধান লক্ষ্য।

জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের এডিপিতে ৩৫৫টি প্রকল্প সম্পন্নের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত রয়েছে। এর মধ্যে বিনিয়োগ প্রকল্প রয়েছে ৩৪১টি এবং কারিগরি সহায়তা প্রকল্প রয়েছে ১৪টি। এসব প্রকল্প নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সমাপ্ত করে জনগণের কাছে সুফল পৌঁছে দিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা সংস্থাগুলোকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা