• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

তারেকের নির্দেশেই পরিবহন ধর্মঘটে বিএনপির সমর্থন প্রদান

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০১৯  

জন ভোগান্তির পরিবহণ ধর্মঘটে প্রকাশ্য সমর্থন দিয়েছে বিএনপি। লন্ডনে পলাতক তারেক রহমানের নির্দেশেই এ সমর্থন দেয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। একই সাথে সোস্যাল মিডিয়ায় গুজব-অপপ্রচারের নেতৃত্ব দেয়া হচ্ছে লন্ডন থেকেই। আগুন সন্ত্রাস, নাশকতা, জঙ্গি তৎপরতা চালিয়ে ব্যর্থ  হওয়ার পর এবার গুজব ও অপপ্রচারের মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে শাসন ক্ষমতায় যাওয়ার বাসনা থেকেই এ কাজগুলো করছেন তারেক রহমান।

 

এদিকে, দেশের সাধারণ মানুষ মনে করছেন, জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি-জামায়াত কখনোই জনগণের স্বার্থে রাজনীতি করে না এবং দেশে বিশৃংখলা সৃষ্টির মাধ্যমে উন্নয়ন ও শান্তি বিঘ্নিত করতে চায়। ধর্মঘটে সমর্থন প্রদানের মাধ্যমে তা আরো একবার প্রমানিত হলো। 


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম গত মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সমাবেশে এ ঘোষণা দেন। বিএনপির এ সমর্থন প্রদানে সাধারণ মানুষের মনে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। 


সূত্র জানায় পরিবহণ সেক্টরে শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে ও সড়ক নিরাপত্তা রক্ষায় সরকার একটি নতুন আইন প্রনয়ন করে। এই আইনে গাড়ীর ফিটনেস, ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ বিবিধ বিষয়ে আইনের ব্যত্যয় ঘটালে উচ্চহারে জরিমানার বিধান রাখা হয়। একই সাথে এই আইনে কারাদন্ডের বিধানও আরোপ করা হয়। সড়কে সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা বিধানের জন্য প্রণীত আইনটি সর্বমহলে গ্রহণযোগ্যতা পেলেও একশ্রেণীর পরিবহন মালিকের স্বার্থহানী ঘটায় তারা সুকৌশলে পরিবহণ শ্রমিকদের আন্দোলনে নামায়। আর এ আন্দোলনে নেপথ্যে রসদ যোগায় বিএনপি-জামায়াত। 


অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেশে চলাচলকারী পরিবহন তথা বাস-ট্রাক-মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন যানবাহনের অধিকাংশেরই ফিটনেস নেই। চালকদের লাইসেন্স নেই। অধিকাংশ চালকই ট্রাফিক আইন মানেন না। পথচারীদেরও সচেতনতার অভাব রয়েছে। সম্প্রতি দেশে সড়ক দূর্ঘটনার হার বেড়ে যাওয়ায় আইনটি প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন করা সময়ের দাবি হয়ে দাড়াঁয়। গত বছর ২৯ জুলাই সড়ক আইন সংস্কারের দাবিতে সারাদেশে শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমেছিল। মাসব্যাপী এ আন্দোলনে সাধারণ মানুষ স্বত:স্ফুর্তভাবে তাদের পাশে দাড়িঁয়েছিল। সরকারের পক্ষ থেকে ওই সময় বলা হয়েছিল, সড়ক আইনকে অচিরেই যুগোপযোগী করা হবে। সার্বিক বিবেচনায়, সময়ের প্রয়োজনেই আইনটি প্রণয়ন করা হয়। আজ আন্দোলনে সমর্থন দেয়া বিএনপি নেতারাও সেদিন সরকারের প্রতি কঠোর আইন প্রনয়নের আহবান জানিয়েছিলেন।

 

চলতি নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আইনটি কার্যকর করা হয়। তবে নতুন হওয়ায় সরকার আইনটি প্রয়োগের ক্ষেত্রে শুরুতে কিছুটা ছাড় প্রদান করে। কিন্তু আইনটি যথাযথ প্রয়োগ শুরু হলেই দেখা দেয় পরিবহণ সেক্টরে বিশৃংখলা। 

 

অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, দেশের পরিবহন সেক্টরের বড় একটি অংশ নিয়ন্ত্রন করছে জামায়াত-বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ীরা। শুধু নিয়ন্ত্রন নয়, মালিকানাও রয়েছে তাদের হাতে। কাজেই শ্রমিক উত্তেজনা সৃষ্টি করে পরিবহণ সেক্টরে বিশৃংখলা তৈরী করা তাদের জন্য খুবই সহজ কাজ। বিষয়টি হয়েছেও তেমন। কোনো প্রকার পূর্ব ঘোষণা না দিয়েই ধর্মঘটে নেমে পড়ে বিএনপি-জামায়াত ঘরানার পরিবহন মালিক ও তাদেও অনুসারীরা। এতদিন নেপথ্যে থাকলেও বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খানের সমর্থন প্রদানের মাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়ে। 

 

বোদ্ধা মহল বলছেন, পরিবহন ধর্মঘটে ব্যবসায়ীদের লাভ রয়েছে। ধর্মঘট হলে তারা নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে অধিক মুনাফা লুটতে পারবেন। অন্যদিকে, ক্ষমতার লোভে লালায়িত বিএনপি-জামায়াত দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির সুযোগ পাবে। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতেই তাদের এ অপপ্রয়াস।  

 

আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপি-জামায়াত সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে ক্ষেপিয়ে তুলতে পরিবহণ ধর্মঘটের নাটক মঞ্চস্থ করছে বলেই মনে করছেন সাধারণ মানুষ। পরিবহণ ধর্মঘটের কারণে যে জনদূর্ভোগ দেখা দিয়েছে, আওয়ামীলীগকে নয় বরং নেপথ্যে থাকা বিএনপি-জামায়াতকেই এর মূল্য দিতে হবে।   

    


 
 

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা