তামাকের খামারে কাজ করেও তিনি মার্কিন রাষ্ট্রপতি!
আজকের খুলনা
প্রকাশিত: ৯ মার্চ ২০২০
জর্জ ওয়াশিংটন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাষ্ট্রপতি। তাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গঠনের প্রধান বলে উল্লেখ করা হয়। এই মার্কিন রাষ্ট্রপতি তার জীবদ্দশায় এবং এখনো সেখানকার জাতির জনক হিসেবে পরিচিত।
তার মৃত্যুর পর ভার্জিনিয়ার তৃতীয় হেনরি লি ওয়াশিংটনের প্রশংসা করে বলেন, যুদ্ধে প্রথম, শান্তিতে প্রথম এবং তার জনগণের হৃদয়ে প্রথম। তিনি জীবিত অবস্থায় এবং মৃত্যুর পরও পরম পূজণীয়। সমালোচকদের এবং জনগণের উপর করা জরিপের ফলাফলে তিনি সবসময় যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সেরা তিন রাষ্ট্রপতির একজন হিসেবে স্থান অধিকার করেছেন।
মার্কিন এই রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে কতটুকু জানেন আপনি? প্রথম জীবনে জর্জ ওয়াশিংটন জীবিকা নির্বাহ করেছেন তামাকের খামারে কাজ করে। এছাড়াও তার দাঁত ছিল হাতির আর গরুর। অবাক হচ্ছেন? এমনসব অদ্ভুত তথ্য আরো রয়েছে। যা জানলে আপনার চোখ প্রায় কপালে উঠার উপক্রম হবে। ডেইলি বাংলাদেশের সাতরংয়ের পাঠকদের জন্য আজ থাকছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাষ্ট্রপতি জর্জ ওয়াশিংটনের নানা অজানা দিক।
অভাবী শৈশব
১৭৩২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ভার্জিনিয়ার এক ধর্নাঢ্য পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ওয়াশিংটন। তার পরিবার তামাক চাষ এবং দাস ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত ছিল। মাত্র ১১ বছর বয়সেই তিনি তার বাবাকে হারান। এরপরই তার পরিবার দারিদ্র্যতার কষাঘাতে পড়ে। ফলে এই বয়সেই তিনি পরিবারের হাল ধরতে কাজ খুঁজতে বেরিয়ে পড়েন।
তখনই তার লেখাপড়ার পাঠ চুকে যায়। জর্জের মা খুব কম বয়সেই বিধবা হন। পরবর্তীতে তিনি আর বিয়েও করেননি। জর্জ ছিলেন তার বাবার দ্বিতীয় পক্ষের সন্তান। ফলে সম্পদের তেমন কিছুই তিনি পাননি। জীবিকা নির্বাহ করতে তাই তিনি তামাকের খামারে কাজ শুরু করেন। এরপর ১৬ বছর বয়সে ভূমি সমীক্ষক হিসাবে প্রথম কাজ নেন। কারণ তার কোনো স্কুল সার্টিফিকেট ছিল না।
বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে পরকিয়া
জর্জ ওয়াশিংটনের বাল্য বন্ধু ছিলেন জর্জ ফেয়ারফ্যাক্স। তিনি ভার্জিনিয়ার জমি অধিপতিদের অন্যতম একজনের পুত্র ছিলেন। ফেয়ারফ্যাক্স এবং ওয়াশিংটন ছিলেন খুবই ভালো বন্ধু। একসময় ওয়াশিংটন তার বন্ধুর স্ত্রী সেলি ফেয়ারফ্যাক্সের প্রেমে পড়েন। ১৭৫৫ সালে তারা একসঙ্গে কার্লাইল হাউজে নেচেছিলেন। একথা ওয়াশিংটন তার বাগদত্তা মার্থা কাস্টিসকে বিয়ের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই চিঠিতে জানান।
জর্জ ওয়াশিংটনের দাঁত রহস্য
আখরোটের শাঁস দাঁতের সাহায্যে ফাটানোর অভ্যাসে ওয়াশিংটনের দাঁতগুলো নষ্ট হয়ে যায়। এরপর তাকে কৃত্রিম দাঁত লাগাতে হয়েছিল। আর এজন্য তিনি ব্যবহার করেন হাতি আর গরুর দাঁত। আর কিছু দাঁত ছিল দরিদ্র দাস এবং শ্রমিকদের। এছাড়াও কিছু দাঁত শিশা থেকে তৈরি করে হয়েছিল। নকল দাঁতগুলো নিয়ে ওয়াশিংটন খুবই অস্বস্তিতে থাকতেন। এমনকি এ দাঁতের জন্য তিনি খুব কমই হাসতেন। খেতেও খুব অসুবিধা হতো তার। বেশিরভাগ সময় তিনি তরল আর ছোট টুকরা খাবার খেতেন।
ওয়াশিংটন ছিলেন দুর্দান্ত স্পাই মাস্টার
ওয়াশিংটন বিপ্লব যুদ্ধের সময় সেনাবাহিনীতে ছিলেন। সেখানে তিনি তার অসাধারণ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছিলেন। এজন্য অবশ্য যোগ্য পুরস্কারও পান তিনি। কাজের দক্ষতা আর পটুতায় তিনি ভার্জিনিয়ার সেনাবাহিনীর প্রধান হয়েছিলেন। এছাড়াও ওয়াশিংটন সে সময় প্রথম গোপন গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের উপর নির্ভর ছিলেন। তার গুপ্তচররা তাকে সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করেছিল। তিনিই প্রথম অদৃশ্য কালিতে চিঠি লেখার প্রচলন শুরু করেন। যা শত্রুদের নজর এড়িয়ে ঠিক জায়গায় পৌঁছে দিত।
ওয়াশিংটন রাষ্ট্রপতি হতে চাননি
সেনাবাহিনীতে থাকাকালীন যুদ্ধে কাজের দক্ষতা আর পটুতা দেখান। এজন্য তাকে ভার্জিনিয়ার সেনাবাহিনীর প্রধান করা হয়েছিল। যুদ্ধক্ষেত্রে আট বছর থাকার পরে ওয়াশিংটন বাড়ি ফেরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। পরিবারের সঙ্গে থাকতে চেয়েছিলেন তিনি। এ কারণেই ওয়াশিংটন প্রথমে রাষ্ট্রপতি হতে রাজি হননি। পরবর্তী ১৩ বছর পর অবশ্য তিনি এ পদে নিযুক্ত হন তিনি।
অনেকেরই পিতা ছিলেন
ওয়াশিংটনের নিজের কোনো সন্তান ছিল না। এজন্য অবশ্য তার শারীরিক নানা সমস্যাকে দায়ী করা হয়। ওয়াশিংটন বহুদিন যক্ষ্মায় আক্রান্ত ছিলেন। তবে যখন ওয়াশিংটন ধনী, যুবতি ও বিধবা মার্থা কাস্টিসকে বিয়ে করেন, তখন তিনি তার দুই ছোট সন্তানের আইনী অভিভাবক হন। চার বছর বয়সী জন পার্ক কাস্টিস (জ্যাকি নামে পরিচিত) এবং দুই বছরের মার্থ পার্ক কাস্টিসের (প্যাটসি নামে পরিচিত) বাবা হন তিনি। তাদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক ছিল খুবই মধুর। মাত্র ১৭ বছর বয়েসে প্যাটসি মৃগী রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। যার শোক ওয়াশিংটন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত করেছিলেন।
ওয়াশিংটন ছিলেন পশুপ্রেমী
জানেন কি? ওয়াশিংটন কেবল আমেরিকার প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন না। তিনিই আবিষ্কার করেছিলেন খচ্চর। যা ঘোড়া এবং গাধার শংকর জাত। মূলত কৃষিকাজে ব্যবহারের জন্যই তিনি খচ্চরের আবিষ্কার করেন। কারণ এটি খুব পরিশ্রমী প্রাণী হওয়ায় কৃষকদের কাজ সহজ করে দেবে। ওয়াশিংটনের মনে ছিল প্রচণ্ড পশুপ্রেম। তিনি কুকুর এবং পাখি খুবই পছন্দ করতেন। খচ্চরই একমাত্র প্রাণী নয় যে, সে প্রজনন ঘটিয়েছিল।
এমনকি পাখির বিভিন্ন জাতের পাশাপাশি তিনি ডালমাটিস, ইংলিশ ফক্সহাউন্ডস, ফরাসি হ্যান্ডস, গ্রেহাউন্ডস, ইতালিয়ান গ্রেহাউন্ডস, মাস্টিফস, নিউফাউন্ডল্যান্ডস, পয়েন্টারস, স্প্যানিয়ালস এবং টেরিয়ারসহ অনেকগুলো কাইনিন জাত রাখে। এছাড়াও তিনি কয়েক বছর ধরে বেছে বেছে শিকারের জন্য কুকুরেরও প্রজনন করেছিলেন। এদের তিনি মিষ্টি ঠোঁট, ভেনাস, ট্র্যালোভ, টেস্টার, টিপ্পলার, ড্রোনকার্ড এবং ম্যাডাম মুস এর মতো নাম দেন।
মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা
ওয়াশিংটন ছিলেন একজন লম্বা ও শক্তিশালী মানুষ। তিনি একাধিকবার মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন। ডিপথেরিয়া, যক্ষ্মা, গুটি, ম্যালেরিয়া, পেট্র, কুইন্সি, শর্করা এবং নিউমোনিয়া ছাড়াও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। বরফ জমে থাকা নদীতে ডুবে যাওয়ার পরও বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও তিনি ফোর্ট নেসেসিটির গণহত্যার সময়ও প্রাণ নিয়ে ফিরেছিলেন।
সেসময় তাকে যে কয়টি গুলি করা হয়েছিল তার চারটি গুলি তার পোশাক ভেদ করে বেরিয়ে যায়। ফলে তিনি বেঁচে যান। এছাড়াও তিনি মৃত্যুর আগে গলার সংক্রমণে ভুগেছিলেন। অনেক ইতিহাসবিদ মনে করেন তার শারীরিক কষ্ট দেখে তাকে জীবিত সমাহিত করা হয়েছিল। তবে মৃত্যুর তিনদিন পর ওয়াশিংটনকে দাফন করা হয়েছিল। যদিও ইতিহাসবিদরা একথা মানতে রাজি হননি।
এছাড়াও জর্জ ওয়াশিংটনের রয়েছে নানা অজানা তথ্য। এগুলো আগে জানতেন কি? বিখ্যাত এসব ব্যক্তিদের ব্যাপারে সবারই কম বেশি কৌতূহল থাকে। আর এমনই সব মজার আর তথ্যবহুল অজানা খবর জানতে ডেইলি বাংলাদেশের সঙ্গেই থাকুন।
- এবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল যাবে পাইপ লাইনে
- রাজস্ব ফাঁকি ঠেকাতে ক্যাশলেস পদ্ধতিতে যাচ্ছে এনবিআর
- বাংলাদেশে দূতাবাস খুলছে গ্রিস: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- বঙ্গবন্ধু টানেলে জরুরি যানবাহনের টোল মওকুফ
- সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আসছেন আরও ৪ লাখ মানুষ
- ৫০ বছরে দেশের সাফল্য চোখে পড়ার মতো
- চালের বস্তায় জাত, দাম উৎপাদনের তারিখ লিখতেই হবে
- প্রাণী ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাত এগিয়ে আসুক
- খুলনা ৪০ ডিগ্রী ছাড়িয়েছে, সর্বোচ্চ চুয়াডাঙ্গা ৪১ দশমিক ৩
- বাগেরহাটে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- জলবায়ু পরিবর্তনে অধিক ঝুঁকিতে বাংলাদেশ
- ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর অস্বীকার ইরানের
- ভোট দিতে একসঙ্গে ঢালিউডের ‘তিন কন্যা’, জানালেন প্রত্যাশা
- কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনে উৎপাদিত শাক-সবজি উপহার শেখ হাসিনার
- বিশ্বে বাংলাদেশের গুরুত্ব বাড়ছে কেন
- জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন
- বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কোন মামলা নেই:প্রধানমন্ত্রী
- বিশ্বের সব দেশেই পরকীয়ার অস্তিত্ব আছে...
- ঘরে বসে আয়ের প্রলোভন, পলকেই নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ
- টানা দুইদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়, হিট এলার্ট জারি
- আমি আসলাম আর আপনি চলে যাচ্ছেন: নাসিরকে পরীমনি
- খুলনায় দেশের শ্রেষ্ঠ ২ জাতের ধান চাষে বাম্পার ফলন
- সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা সিন্দাইনী আর নেই
- নগরীতে ভবন নির্মাণে মাটি খুঁড়তে গিয়ে মিললো গ্রেনেড
- বাগেরহাটে প্রাণি সম্পদ মেলা
- বিছানার ভেলায় চড়ে সদাই কিনছেন শারজাহবাসী
- সন্ত্রাসী যে দলেরই হোক, বিচারের মুখোমুখি হতে হবে: কাদের
- ৫ লাখ টাকায় সালমানের বাসায় গুলির নির্দেশ!
- দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি
- তেরখাদায় বাংলা নববর্ষ ও ঈদ পুর্নমিলনী অনুষ্ঠানে সালাম মূর্শেদী
- আজ থেকে শুরু ফিরতি ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি
- পায়ুপথে পেটের ভেতর ২৫ ইঞ্চি কুঁচিয়া মাছ, জ্যান্ত উদ্ধার
- ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই একে একে মৃত্যুর কোলে ৪
- ৫০ বছর পর মা-মেয়ের মিলন
- চলন্ত মেট্রোতে দুই তরুণীর রং মাখামাখি, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি
- দেশের জনগন সন্ত্রাস দমন ওআইনশৃঙ্খলার উন্নাতি হওয়ায় সুফল ভোগ করছেন
- কেসিসির ৩৭ কর্মচারী চাকরিচ্যুত
- শিকলে বেঁধে ২৫ দিন ধরে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ
- মসজিদের ভেতর ৫৪০ বছরের পুরোনো ‘জিনের মসজিদ’
- ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত কতটুকু পানি পান করবেন
- এ বছরের ফিতরা কত জানাল ইসলামিক ফাউন্ডেশন
- ডুমুরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- ইতিকাফের জন্য যেসব শর্ত মানতে হবে
- ‘অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার সুস্থ আছেন, তার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে’
- ভালো শিক্ষার্থী হলেই হবে না, আদর্শবান মানুষ হতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
- রমজান মাসে কি কবরের আজাব মাফ থাকে?
- অনলাইনে ঝুঁকছেন ক্রেতারা
- হার্টের ২৩ ধরনের রিংয়ের দাম কমলো
- রাসুল (সা.) রোজা অবস্থায় যেসব কাজ পরিহার করতে বলেছেন
- দাদার সাথে কী কথা হলো মুস্তাফিজের?