• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

তাদের সামর্থ্য নিয়ে আমার কোনো প্রশ্ন নেই : সোহেল রানা

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৭ আগস্ট ২০১৯  

মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা। বরেণ্য অভিনেতা, প্রযোজক ও নির্মাতা। কবরীর পরিচালনায় 'এই তুমি সেই তুমি' সিনেমার মাধ্যমে আবারও চলচ্চিত্রে অভিনয়ে দেখা যাবে তাকে। নতুন ছবি ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হলো তার সঙ্গে- 

দীর্ঘ সময় পর আবারও অভিনয়ে ফিরছেন। কেমন লাগছে?

ভালো লাগছে। আমার প্রথম ছবি মাসুদ রানার নায়িকা ছিলেন কবরী। প্রায় চার দশক পর আবারও তার সঙ্গে কাজের সুযোগ হয়েছে। সত্তরের দশকে সর্বশেষ একসঙ্গে সিনেমায় অভিনয় করেছি। যদিও এবার প্রেক্ষাপট কিছুটা ভিন্ন। কবরী ছবিটি পরিচালনা করবেন, আর তাতে আমি অভিনয় করব। ছবিটি নিয়ে আমি আশাবাদী। কারণ আমাদের দু'জনের বোঝাপড়া ভীষণ ভালো।

অভিনয়ের প্রস্তাব কীভাবে পেয়েছিলেন? 

প্রথম ছবি থেকেই আমরা পরস্পরের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছি। আমাদের সময়কার একজন সহশিল্পী ছবি বানাচ্ছেন, কয়েকদিন আগে এক আড্ডায় ছবির প্রসঙ্গও এলো। সেখানেই কবরী আমাকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেয়। ভাবলাম অভিনয়ের সূত্র ধরে যদি মাঝে মধ্যে দেখা হয় কিংবা আড্ডা দেওয়া যায় মন্দ হয় না। তাই ছবির চরিত্র প্রসঙ্গে বেশি কিছু জানতে চাইনি। নিশ্চয় আমার সঙ্গে মানায় এমন একটি চরিত্রেই কাজ করব। কবরী যে আমার কথা মনে রেখেছেন, সেটা ভেবে ভালো লেগেছে। মনে হচ্ছে, এই কাজের ফাঁকে পুরনো শিল্পীদের সঙ্গে চমৎকার আড্ডা দেওয়া যাবে।

প্রায় সাত বছর পর প্রযোজক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রযোজক হিসেবে নতুন কমিটির কাছে প্রত্যাশা কী?

নতুন কমিটি মানেই নতুন প্রত্যাশা। তবে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান যে পরিস্থিতি, নতুন কমিটি যে হুট করেই সব বদলে দেবে এমনটা প্রত্যাশা করা উচিত নয়। এবারের কমিটির প্রত্যেকে আমার পূর্বপরিচিত। তাদের সামর্থ্য নিয়ে আমার কোনো প্রশ্ন নেই। কিন্তু সামর্থ্যের কতটুকু তারা দেখাতে পারেন, সেটিই আসল চ্যালেঞ্জ। 

যৌথ প্রযোজনার ছবি নির্মাণ হচ্ছে। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি এ থেকে কতটুকু সুফল পাচ্ছে?

'যৌথ প্রযোজনা' বলতে সাদা চোখে আমরা যা বুঝি, তা আসলে কতটুকু মানা হচ্ছে, এ বিষয়ে আমার প্রশ্ন আছে। যারা এসব চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন, যদি তারা নিজস্ব সংস্কৃতিকে ভালোবেসে করতেন, ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভালো হতো। কারণ একতাই শক্তি। যৌথ প্রযোজনার জায়গায় যদি তিন বা ততোধিক দেশ মিলে সিনেমা নির্মাণ করা হয় তো আরও ভালো হয়। পৃথিবীতে বহু ছবি তিন দেশ, চার দেশ মিলেও নির্মাণ করা হয়েছে। বাংলাদেশে বেশিরভাগ যৌথ প্রযোজনা ছবির শুরুতেই অসৎ উদ্দেশ্য কাজ করে। খেয়াল করলে দেখবেন, সে জন্য বেশিরভাগ যৌথ প্রযোজনার ছবি মান ও ব্যবসার নিরিখে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। সরকার যৌথ প্রযোজনার যে নীতিমালা করেছে, সে নিয়মকানুন ফাঁকি দিয়ে কীভাবে ইঁদুরের মতো জাল কেটে টাকার থলি নিয়ে বের হয়ে আসা যায়, সে চেষ্টাই চলছে। 

চলচ্চিত্রের দুরবস্থার জন্য অনেকে হল সংকটকে দায়ী করেন। এটি কতটুকু সত্য?

আমি এর সঙ্গে পুরোপুরি একমত নই। ভালো চলচ্চিত্র যদি নির্মিত হয়, তাহলে দর্শক হলে গিয়ে ছবি দেখবে। তাহলে দর্শক চাহিদার কথা চিন্তা করে হলের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে সবার আগে চিন্তা থাকে, কীভাবে ভালো ব্যবসা করা যায়। তাহলে মানসম্মত চলচ্চিত্র নির্মাণ হবে কীভাবে? আসলে চলচ্চিত্রে অর্থ নয়, মেধা সংকটও চলছে। তাই অনেকে ঢালাওভাবে হল সংকটকে দায়ী করে নিজের সীমাবদ্ধতাকে লুকানোর চেষ্টা করে।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা