• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

ডেডলাইন ১২ ডিসেম্বর : মতবিরোধে পর্যুদস্ত বিএনপির হাইকমান্ড

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৯ ডিসেম্বর ২০১৯  

আগামী ১২ ডিসেম্বর দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন না মঞ্জুর হলে পরবর্তী রাজনৈতিক কর্মসূচি নির্ধারণ নিয়ে হিসাব-নিকাশ কষছে বিএনপির হাইকমান্ড। রায় বিপক্ষে গেলে শান্তিপূর্ণ নাকি আক্রমণাত্মক প্রক্রিয়ায় প্রতিক্রিয়া জানাবে তা নিয়েও মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে দলের অভ্যন্তরে। তবে শেষ পর্যন্ত লন্ডনের নির্দেশনা অনুযায়ী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে নেতারা বাধ্য হবেন বলেই মনে করছেন অনেকেই।

বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রের বরাতে ১২ ডিসেম্বরকে ঘিরে পরিকল্পনা ও সম্ভাব্য করণীয় নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বমূলক পরিস্থিতির বিষয়ে জানা গেছে।

বিএনপির আইনজীবীদের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলছে, বেগম জিয়ার মুক্তিতে বিএনপির একটি বড় অংশ রাজপথের সহিংসতায় জড়াতে চায় না। বরং আদালতের উপর আস্থা রেখেই আইনি প্রক্রিয়ায় বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে চায়। এছাড়া জোরপূর্বক ধ্বংসযজ্ঞ, বিশৃঙ্খলা, হরতাল-অবরোধ তথা জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে বেগম জিয়াকে মুক্ত করলে দেশ ও বিদেশে বিএনপি ও বেগম জিয়ার গ্রহণযোগ্যতা হারাবে বলে মনে করছেন তারা। এছাড়া ১১ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা ভঙ্গুরপ্রায় বিএনপির সাংগঠনিক শক্তির সামর্থ্য বিবেচনায় অন্তত আইনজীবী নেতারা কঠোর আন্দোলনকে প্ল্যান বি হিসেবে দেখছেন। আদালতে চূড়ান্ত পরাজয় ঘটলে তবেই তারা প্ল্যান বি এর বাস্তবায়ন করতে চান।

এদিকে ১২ ডিসেম্বর বেগম জিয়ার মুক্তির বিষয়ে বিএনপির সম্ভাব্য কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ১২ ডিসেম্বর আদালতের রায়ে বিএনপির ভবিষ্যৎ রাজনীতির ভাগ্য নির্ধারিত হবে। দলের মধ্যম সারি ও তৃণমূল নেতারা খালেদা জিয়ার কারামুক্তির জন্য রাজপথের আন্দোলনে নামতে চাইলেও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিতে হচ্ছে আমাদের। বিএনপি এখনই কঠোর কোনও কর্মসূচিতে গেলে তাড়াহুড়োর ফাঁকে ‘নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের’ সুযোগ নিতে পারে স্বার্থান্বেষী মহল। ২০১৪ সালের ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে চাই না আমরা।

তিনি আরো বলেন, সত্যি বলতে- অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা ও আন্দোলন করে দাবি আদায়ের ব্যর্থতায় সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বড় ধরণের কর্মসূচি পালন করতে কিছুটা ভয় পাচ্ছেন। মামলা-গ্রেফতারের আতঙ্ক জেঁকে বসেছে অনেকের মনে। এ কারণে তারা আন্দোলন নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যেও রয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ১২ ডিসেম্বরের জয়-পরাজয় নিয়ে আমাদের কিছু কৌশল আছে, পরিকল্পনা আছে। সরকারের অবস্থান নিয়ে বিএনপিকে ভাবতে হচ্ছে। কিছু বহিঃরাষ্ট্র ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বিএনপিকে ‘সহিংসতা’ বাদ দিতে কড়াকড়ি পরামর্শ দিয়েছে। এবার অন্তত আমরা ‘পলিটিক্যাল মিসটেক’ করতে চাই না। বিএনপি শান্ত থাকবে নাকি অশান্ত হবে সেটি পরিস্থিতি নির্ভর। আপাতত এই বিষয়ে আর কিছু বলতে চাই না।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা