• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

ডুমুরিয়ায় নোংরা পরিবেশে জবাই করা হচ্ছে গরু-ছাগল

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১ আগস্ট ২০১৯  

ডুমুরিয়া উপজেলার প্রত্যেকটি হাট বাজারের গরু-ছাগল জবাই এখন ওপেন সিক্রেট। গবাদী পশু জবাই ও মাংস বিক্রির ক্ষেত্রে সরকারি বিধি নিষেধ সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষিত হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ডুমুরিয়া সহ বিভিন্ন হাট-বাজারে জবাই করা হচ্ছে রোগাক্রান্ত ও দূর্বল গরু। খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে উপজেলার অধিকাংশ হাটবাজারে নির্দিষ্ট কোন কোন জবাইখানা না থাকায় যেখানে সেখানে নোংরা স্থানে গবাদী পশু জবাই করা হচ্ছে। যেখানে জবাই করা হয় সেই জায়গাটি সাধারণ মানুষ দেখলে মাংস কেনা ইচ্ছা পোষণ করবে না বলে ডুমুরিয়ার সচেতন মানুষের অভিমত। কষাইখানা না থাকায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য হচ্ছে হুমকির সম্মুখীন।

ডাক্তারী পরিক্ষা ছাড়াই উপজেলার প্রতিটি হাটবাজারে গরু ছাগল জবাই করা হচ্ছে। দৈনন্দিন চাহিদা অনুযায়ী ডুমুরিয়া উপজেলাসহ খর্ণিয়া বাজার, আঠারো মাইল বাজার, শাহপুর বাজার, শরাফপুর বাজার, থুকড়া বাজার, কাঁঠালতলা বাজার, মিকশিমিল বাজার, শোলগাতিয়া বাজার, নতুন রাস্তা বাজার, জামিরা বাজার, কৈয়া বাজারসহ বিভিন্ন ছোট বড় হাট বাজারে বিভিন্ন মোড়ে ৩০-৪০ গরু ও অসংখ্য ছাগল জবাই হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন সময়ে হালের বলদ, দুগ্ধবটী, গর্ভবতী গাভীও জবাই করা হয় বলে জানা গেছে। স্থানীয়ভাবে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আর এই পশুগুলি জবাই করা হয় সূর্যোদয়ের আগে। যাতে সাধারণ মানুষ জবাই দেখতে না পারে। এইভাবে প্রতিদিনই খোলা আকাশের নিচে নোংরা পরিবেশে গরু ছাগল জবাই করা হচ্ছে।

সরকারি আইন অনুসারে মাংস বিক্রেতাদের সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জন কর্তৃক স্বাস্থ্য পরিক্ষা করে সনদ নেওয়ার কথা থাকলেও তা মানছে না কেউ। জবাই করা মাংস কাটার যাবতীয় সরঞ্জাম ব্যবহারের ক্ষেত্রে জীবানুমুক্ত করা, খোলা জায়গায় মাংস বিক্রি না করা। মাংস বিক্রির দোকানে স্যানিটেশন ব্যবহারের নির্দেশ থাকলেও কোন বিক্রেতাই পালন করছে না। গবাদী পশু জবাই করার আগে পশু সবল কিনা তা উপজেলা পশু সম্পদ অফিসে পরিক্ষা করে সীলমোহরের নিয়ম থাকলেও ঐসব নিয়মকানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে রোগা অসুস্থ, দূর্বল গরু ছাগল জবাই করে অবাদে খোলা বাজারে বিক্রয় করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সুধী সমাজ ও সচেতন মহলের ধারনা আইন যেন অঘোরে ঘুমাচ্ছে। এ ব্যাপারে কথা হয় বিশিষ্ট গরু ব্যবসায়ী রানাই গ্রামের রেজার সাথে এলাকার যারা গরুর কষাইয়ের মাধ্যমে মাংস বিক্রি করে তার দূর্বল, রোগাক্রান্ত গরু কমদামে কিনে জবাই করে। যা সাধারণ মানুষ দেখলে তারা কোনদিন মাংস খাবে না।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, আমি সমস্ত কষাইদের অফিসে ডেকে নির্দেশ দিয়েছি, যেহেতু ডুমুরিয়া কষাইখানা না থাকায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন সুন্দর পরিবেশ পশু জবাই করে মাংস বিক্রয় করবেন। এর ব্যতয় ঘটলে ২০১০ সালের প্রাণি সম্পদ আইন মোতাবেক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা