টাঙ্গাইলে এনজিও কর্মীর মরদেহ উদ্ধার, ২ সহোদর আটক

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর রণজিৎ কুমার পাল (৩০) নামে এক এনজিও কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের দুল্লা মুনসুর গ্রামের এক ব্রিজের নীচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় দুল্লা মুনসুর গ্রামের ছানোয়ার ও আনোয়ার নামে দুই সহোদরকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত রণজিৎ ‘দিশা’ নামে একটি এনজিও’র সিনিয়র ক্রেডিট অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ঠাকুরগাঁও জেলার পোশামণ্ডলপল গ্রামের অতুল পালের ছেলে।

পুলিশ জানায়, এনজিও কর্মী রণজিৎ পাল মঙ্গলবার সকালে প্রতিদিনের ন্যায় সঞ্চয় ও কিস্তি আদায়ের জন্য বের হন। কয়েকটি সমিতির সঞ্চয় ও কিস্তি আদায় শেষে দুল্লা মুনসুর গ্রামের ছানোয়ার ও আনোয়ারের বাড়িতে কিস্তি তুলতে যান। এরপর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায় বলে ওই এনজিও শাখা ম্যানেজার রওশন আলম জানান।

যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুল্লা মুনসুর গ্রামের সমিতির সদস্যদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেন। বিকেল ৪টার দিকে ছানোয়ারের বাড়ির পাশে এক দোকান ঘরের পাশে রণজিৎ পালের ব্যবহৃত বাইসাইকেল ও ব্যাগ পাওয়া যায়। এদিকে সমিতির কর্মী রণজিৎ পালের খোঁজ না পেয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মির্জাপুর থানায় এক সাধারণ ডায়েরি করে এনজিও কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার সকালে এলাকাবাসী দুল্লা মুনসুর গ্রামের ব্রিজের নীচে এক মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে গলায় রশি বাঁধা অবস্থায় রণজিৎ পালের মরদেহ উদ্ধার করে।

মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.সায়েদুর রহমান মরদেহ উদ্ধারের কথা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুল্লা মুনসুর গ্রামের আকবর হোসেনের দুই ছেলে সানোয়ার হোসেন ও আনোয়ার হোসেনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।