• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

জাপা এমপি জিন্নাহ ও বিএনপি নেতা শোকরানাকে দুদকের চিঠি

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

বগুড়া-২ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির নেতা শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ্ ও বিএনপি নেতা ব্যবসায়ী মো. শোকরানার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। তাদের সম্পদের বিবরণী চেয়ে পৃথকভাবে নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের দুজনকেই আগামী ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদের হিসাব দাখিল করতে বলা হয়েছে।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম অবৈধ সম্পদের অভিযোগটি অনুসন্ধান করছেন বলে জানা গেছে। দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত  নোটিশটি এমপির বগুড়ার নিজ ঠিকানা বরাবর পাঠানো হয়েছে।

সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে তাঁকে নোটিশটি দেওয়া হয়। জাপার এই সংসদ সদস্য ও জেলা সভাপতি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ্ ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।  এদিকে বগুড়া জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. শোকরানার সম্পদের হিসাব চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। চিঠিতে দুদক বলেছে, প্রাথমিক অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ থাকার তথ্য মেলায় এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

 

দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, মঙ্গলবার সংস্থার পরিচালক কাজী শফিকুল আলমের সই করা নোটিশ শোকরানার বগুড়া সদরের ছিলিমপুর ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে। নোটিশে তাঁকে আগামী ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদবিবরণী দাখিল করতে বলা হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিক অনুসন্ধান করে কমিশনের স্থির বিশ্বাস জন্মেছে যে তিনি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত স্বনামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন। তাই নোটিশ পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তার নিজের, নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণ নির্ধারিত ফরমে দাখিল করতে বলা হয়েছে। বিএনপির এই নেতার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছেন দুদকের বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান।

উল্লেখ্য ১৯৭২ থেকে ’৭৫ পর্যন্ত শোকরানা যুবলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। বগুড়ার কিবরিয়া হত্যার ঘটনায় তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। ওই মামলায় তিনি সোয়া ছয় বছর জেল খেটেছেন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট তিনি গ্রেফতার হন। ১৯৮১ সালে বিচারপতি আবদুস সাত্তার ক্ষমতায় এলে তিনি সাধারণ ক্ষমায় ‘মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে মুক্তি পান। পরে ১৯৯৯ সালে তারেক রহমানের হাত ধরে বিএনপিতে যোগ দেন শোকরানা। এদিকে জেলা জাপার সভাপতি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ্ ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই এলাকায় উন্নয়নের নামে অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। ২য় মেয়াদে আবারো এমপি হয়ে পূর্বের মত তিনিসহ তার স্ত্রী ও সন্তানকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বানিয়ে নিয়োগ বাণিজ্য করে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠে। তাকে দুদক’র নোটিশ দেয়ার খবরে বগুড়ার সচেতন মানুষের মাঝে স্বস্তি দেখা গেছে। 

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা