• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

জন্মের পর সড়কে, থানা হয়ে আদালত, শেষে হাসপাতালে

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২ ডিসেম্বর ২০১৯  

ফুটফুটে নবজাতক কী অপরাধ করেছিল? কেন তাকে মহাসড়কের পাশে ফেল রাখা হলো? জন্ম নেয়াই কি আজন্ম পাপ? কে এমন কাজ করলো? রংপুরে এমন হাজার প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হচ্ছে একটি নবজাতককে ঘিরে।

রোববার সকালে নগরীর হাজীরহাট থানা এলাকার হজ্ব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের পাশে কে বা কারা এই নবজাতককে (ছেলে) রাস্তার পাশে ফেলে চলে যায়। এক থেকে দুই দিন বয়সী ছেলে নবজাতককে স্থানীয় এক নারী উদ্ধার করে তার শ্বশুরকে জানান। পরে শিশুটিকে হাজিরহাট থানায় হস্তান্তর করা হয়।

থানায় নেয়া হলে অনেকেই দেখার জন্য ছুটে আসেন। অনেকেই দত্তক নেয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন। পরে নবজাতককে রংপুর মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। কিছুটা সুস্থ হলে বিকেলে রংপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এ পাঠানো হয়।

নবজাতকটিকে দত্তক চেয়ে আদালতে আবেদন করেন তারাগঞ্জ মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও কুর্শা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মো. কামরুজ্জামান।

সন্ধ্যায় আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর আলম নবজাতককে রংপুর মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসার জন্য প্রেরণের নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হাজির হাট থানার ওসি, জেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভাপতি ও সমাজ সেবা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেয়া হয়। আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ১০ ডিসেম্বর ধার্য  করেন আদালত।

আদালত চত্বরে কামরুজ্জামান বলেন, আমার ১৭ বছরের  বিবাহিত জীবন। আমার স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের কোনো সন্তান নেই। রাস্তার পাশে পাওয়া নবজাতককে দত্তক চেয়ে আদালতে আবেদন করেছি। প্রয়োজনে আমি আমার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি লিখে দিতে রাজি। আদালত আমার দায়িত্বে নবজাতককে দিলে আমি মানুষ করব।

হাজিরহাট থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান জানান, নবজাতকের বয়স আনুমানিক এক থেকে দুইদিন হবে। তাকে কেন রাস্তার পাশে এভাবে ফেলে রাখা হলো- বিষয়টি পুলিশ দেখছে। তদন্ত করা হচ্ছে। জিডি করা হয়েছে।
 

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা