• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

চরিত্র বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার সুযোগ আছে: রুনা খান

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৬ আগস্ট ২০১৯  

রুনা খান। অভিনেত্রী ও মডেল। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত চলচ্চিত্র 'কালো মেঘের ভেলা'। কবি নির্মলেন্দু গুণের উপন্যাস অবলম্বনে মৃত্তিকা গুণ পরিচালিত এ চলচ্চিত্র, বতর্মান ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে- 

যে প্রত্যাশা নিয়ে 'কালো মেঘের ভেলা' ছবিতে অভিনয় করেছেন, তা কতটুকু পূরণ হয়েছে বলে মনে করেন?

অভিনয়ের জায়গা থেকে যেটুকু প্রত্যাশা ছিল তা পূরণ হয়েছে। নির্মলেন্দু গুণের মতো বড় মাপের সাহিত্যিকের গল্পে অভিনয় করা যে কারও জন্য আনন্দের। এর চেয়ে বড় বিষয় হলো, আমার রোজী চরিত্র যতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল, ঠিক তেমনই সুযোগ ছিল পর্দায় নিজেকে নতুন রূপে তুলে ধরারও। ছবির কাজ শেষ হওয়ার পর প্রতীক্ষায় ছিলাম কবে এটি মুক্তি পাবে। একটু দেরিতে হলেও ছবিটি মুক্তি পেয়েছে- এটাই সবচেয়ে আনন্দের। এখন দর্শক ছবি দেখুক, তাদের ভালো-মন্দ লাগার কথা প্রকাশ করুক- এটাই চাই। 

'সিটকিনি', 'হালদা', 'গহিন বালুচর' থেকে 'কালো মেঘের ভেলা' ছবির রোজী চরিত্র কতটা আলাদা বলে মনে হয়েছে? 

কিছুটা হলেও আলাদা। 'সিটকিনি' ছবিতে জীবন সংগ্রামের যে চিত্র কিংবা 'হালদা'য় জুঁই এবং 'গহিন বালুচর' ছবিতে শামীমার যে চরিত্র- তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে চেহারায় চেনাজানা মানুষের ছায়া খুঁজে পাওয়া যাবে। একইভাবে 'কালো মেঘের ভেলা' ছবির রোজী সংগ্রামী এক মায়ের প্রতিচ্ছবি হয়ে পর্দায় উঠে এসেছে। কিন্তু প্রতিটি ছবির চরিত্রই আলাদা। ছবির গল্পই আসলে একেকটি চরিত্রকে আলাদা করে তুলে ধরেছে। 'কালো মেঘের ভেলা' ছবির রোজীকে দেখা যায়, সে রেললাইনের পাশের বস্তিতে থাকে। সমাজের অবহেলিত নারীদের একজন সে। তার আট বছরের ছেলে দুখু রাস্তার টোকাই। কিন্তু এক সবজি বিক্রেতা মায়ের সন্তান দুখুর মনোজগৎ একেবারে আলাদা। 

ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার পর থেকে 'সাপলুডু' ছবি নিয়ে নানা আলোচনা শোনা যাচ্ছে। এই ছবি নিয়ে কী প্রত্যাশা করছেন?

গোলাম সোহরাব দোদুলের সঙ্গে অনেক নাটক ও টেলিছবিতে কাজ করেছি। সে অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, অন্য সবার চেয়ে তার গল্প বলার ভঙ্গি একটু আলাদা। 'সাপলুডু' তার পরিচালনার প্রথম ছবি হলেও দর্শক মনে ছাপ ফেলবে- এমন আশা করাই যায়। অনেকের মতো ছবির ট্রেলার দেখে আমিও মুগ্ধ হয়েছি। যদিও ছবিতে অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছি, তার পরও অভিনয় করে আমি তৃপ্ত। পর্দায় আমার চরিত্রটি অল্প সময় দেখা গেলেও গল্পের প্রয়োজনে তা বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। 

এ সময়ের কী কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন?

ঈদের বেশকিছু নাটক ও টেলিছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছি। প্রায় প্রতিদিনই শুটিং করতে হচ্ছে। এর বাইরে ধারাবাহিক নাটকের কাজ তো আছেই। এর মধ্যে 'ফ্যামিলি ক্রাইসিস', 'জোছনাময়ী', 'দ্য গুড দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি'সহ আরও বেশকিছু ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেছি। 

অসংখ্য ধারাবাহিক নাটক নির্মিত হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বাছবিচার করে কাজ করার সুযোগ কতটুকু পান?

সুযোগ সবসময় পাওয়া যায় তা নয়। কোনো নাটকে গল্পের ধারাবাহিকতা হারিয়ে যায়, যেজন্য দর্শক নাটক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। অনেক সময় গল্প ভালো হলেও নির্মাণ মনের মতো হয় না। তার পরও অনেকে ভালো কাজ করছেন, স্বল্প বাজেটেও ভালো কিছু করে দেখানোর চেষ্টা থেমে নেই। 

আমরা যারা শিল্পী তারাও ভালো কাজই করতে চাই। যেখানে নিজের চরিত্র বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার সুযোগ আছে সেটাকে গুরুত্ব দিই। অভিনয় আমার পেশা ও নেশা। অভিনয় দিয়েই দর্শকের কাছে গল্প ও চরিত্র বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে হবে- এটাই মেনে চলি। ভালো-মন্দের বিচারক দর্শক। তাই কোনটা ভালো, কোনটা মন্দ, তা আগেই নির্ধারণ করাও কঠিন। তাই যে গল্প ও চরিত্র ভালো লাগে এবং যেসব নির্মাতার কাজে নিজস্বতার ছাপ আছে, তাদের প্রাধান্য দিই।

আপনাকে আবার কবে মঞ্চে দেখা যাবে? 

'নামগোত্রহীন- মান্টোর মেয়েরা' ও 'দেওয়ান গাজীর কিসসা' মঞ্চস্থ হলেই আমার দেখা পাবেন। এই দুটি নাটকে নিয়মিত কাজ করছি। তবে শো কবে হবে তা নির্ভর করে দলের ওপর।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা