• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

চবিতে একাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৪ অক্টোবর ২০১৯  

ক্লাসে উপস্থিতির হার ৩০ শতাংশ। দুই বার আবেদন করেও বিভাগীয় একাডেমিক কমিটি থেকে মিলেনি পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি। কিন্তু একাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) স্নাতকোত্তর ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের ১১ শিক্ষার্থীকে প্রক্টরের সুপারিশে ২০১৮ সালের স্নাতকোত্তরের নিয়মিত পরীক্ষা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতর।

এদের মধ্যে দুইজন অনিয়মিত শিক্ষার্থী। বিনিময়ে ওই ১১ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে তিন হাজার টাকার পে-অর্ডার জমা নিয়েছে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতর। শুধু তাই নয়, পরীক্ষার ফরম পূরণ না করেও ওই ১১ শিক্ষার্থী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয় স্নাতকোত্তর নিয়মিত পরীক্ষায় কোনো শিক্ষার্থীর ক্লাসে উপস্থিতির হার (অ্যাটেন্ডেন্স) ৩০ শতাংশের কম হলে তাকে পরীক্ষার অনুমতি দেয়া হবে না। শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় পুনরায় বিষয়টি উঠলেও অনুমতি না দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

পরে ওই ১১ শিক্ষার্থী বিভাগের সভাপতির মাধ্যমে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরে আবেদন জানালে বৃহস্পতিবার সকালে বিভাগকে পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়ে চিঠি দেয় দফতরটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সুপারিশের ভিত্তিতে অনুমতি দেয়া হলেও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরে তিন হাজার টাকার পে- অর্ডার করতে বলা হয় ওই ১১ শিক্ষার্থীকে।

এদিকে একাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্ত না মেনে পরীক্ষার অনুমতি দেয়ায় ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বিধি মোতাবেক এ অনুমতি’- তা জানতে চেয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরকে চিঠি দিয়েছেন বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির সদস্য ও নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. খাদিজা মিতু। তবে চিঠি প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. এনএম সাজ্জাদুল হক বলেন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরের চিঠি পেয়ে পরীক্ষা কমিটিকে পরীক্ষা নিতে বলা হয়েছে। অতীতেও এ রকম অনেক শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এমনকি শূন্য শতাংশ উপস্থিতির হার নিয়েও পরীক্ষা দেয়ার নজির রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) চৌধুরী আমীর মোহাম্মদ মুছা বলেন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে। শিক্ষার্থীদের আবেদনটি উপাচার্য মহোদয়ের নিকট উপস্থাপন করা হলে তিনি প্রক্টরকে এ বিষয়ে মতামত ও সিদ্ধান্ত দিতে বলেন। কয়েক শতাংশ উপস্থিতির হারের (অ্যাটেন্ডেন্স) জন্য শিক্ষার্থীরা একটি প্রোগ্রাম থেকে বাদ হয়ে যাবেন তা হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিষয়টি বিবেচনা করেছেন। তিনি চাইলে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা