• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

চট্টগ্রামে ‘জননিরাপত্তায়’ মাঠে সেনাবাহিনীর পৃথক ১৮ টিম

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১ এপ্রিল ২০২০  

করোনাভাইরাস বিষয়ে নানাবিধ জনসচেতনতামূলক কাজ করছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। কাজ করছে সারাদেশেও। চট্টগ্রাম নগরীসহ জেলায় পৃথকভাবে ১৮টি টিম জীবানুনাশক ছিটানোর কার্যক্রম ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি জনসচেতনতায়মূলক কর্মকাণ্ডের কাজ করছেন। 

প্রধান সড়কগুলোর পাশাপাশি মাইকিং করছেন অলিতে-গতিতেও। চট্টগ্রাম নগরীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকা ছাড়াও নগরীর বিভিন্ন স্থানে থাকা দিনমজুর, গরীব এবং অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন চাল, ডালসহ নানাবিধ খাদ্য সামগ্রী নিয়েও। 

গত ২৬ মার্চ থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে সকাল-বিকাল পৃথকভাবে জনগণের নিরাপত্তার পাশাপাশি জনবসতি এলাকায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পাবর্ত্য চট্টগ্রামসহ চট্টগ্রামে সচেতনতামূলক প্রচারণায় প্রতিনিয়ত করা হচ্ছে মাইকিং। এর আগে জিওসি ২৪ পদাধিক ডিভিশন ও চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল এসএম মতিউর রহমান জনগণের নিরাপত্তায় এসব কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। 

বুধবার চট্টগ্রাম নগরীতে ১১টি টিম এবং জেলায় ৭টি টিমের সমন্বয়ে মোট ১৮টি পৃথক পেট্টোল টিম এসব কর্মকাণ্ডে প্রতিনিয়ত কাজ করছেন বলে নিশ্চিত করেছেন মেজর আবু সাঈদ।

তিনি  বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মাঠে কাজ করছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। পৃথকভাবে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত পর্যন্ত নগরীতে ১১টি টিম কাজ করছেন। এসব টিমের সদস্যরা জনবসতি এলাকা ছাড়াও বহদ্দার হাট, ২ নং গেইট, আগ্রাবাদ, ষোলশহর, চকবাজার, চেরাগীপাহাড় মোড়, কোতোয়ালী, নিউ মাকের্ট মোড়, অক্সিজেন ও পাচঁলাইশসহ বিভিন্ন এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক, শাখা সড়ক ও আবাসিক এলাকার রাস্তাগুলোতে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় জীবানুনাশক ছিটানোর কার্যক্রম ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সচেতনতামূলক কাজ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, নগরী ছাড়াও জেলার সীতাকুন্ড, মিরসরাই, রাউজান, হাটহাজারী, রাঙ্গুনীয়া, আনোয়ারা, বোয়ালখালীতে পৃথক ৭টি টিম কাজ করছেন জনসচেতনতায়। দিনমজুর, গরীব ও অসহায় সাধারণ মানুষদের দেয়া হচ্ছে চাল, ডালসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রীও। তবে মানুষের নিরাপত্তার প্রশ্নে সেনাবাহিনীর সদস্য প্রতিনিয়ত মাঠেই থাকবেন এবং ঊর্ধ্ব দায়িত্বশীল অফিসারের এমনই নির্দেশনা রয়েছেন বলে জানান তিনি।

চট্টগ্রামের ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের দায়িত্বশীল মেজর তৌহিদ বলেন, চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক কাজ করে যাচ্ছে। জীবানুনাশক ছিটানোর কার্যক্রম ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি নানাবিধ কর্মকাণ্ডও পরিচালনা করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রচেষ্টা সবসময় অব্যাহত থাকবেন বলেও জানান তিনি।

জানা গেছে, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে চট্টগ্রামে বাড়ি বাড়ি অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। নগরী ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় কাজ করছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে বিদেশ ফেরতদের বাড়িতে গিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইন মানছেন কি না তা খোঁজ নেন। পাশাপাশি তাদের সচেতনতা বাড়াতে নানা পরামর্শ দেয়া হয়। অন্যদিকে সড়কে জনসাধারণের চলাচল বন্ধে নজরদারি করছেন। অপ্রয়োজনীয় কোনো দোকানপাট খোলা রাখলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। করা হচ্ছে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানাও। তাছাড়া জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গাড়িবহর নিয়ে টহল দিচ্ছেন। টহলরত সেনা সদস্যরা গাড়ি থেকে এবং রাস্তায় নেমে হ্যান্ড মাইকযোগে জনসাধারণকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকতে বিনা প্রয়োজনে মানুষকে ঘরের বাইরে বের না হওয়া, সাবান দিয়ে বারবার হাত ধোয়া, জীবাণুনাশক বা স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ নানা ধরনের সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছেন। প্রচারের পাশাপাশি সেনাবাহিনী বিদেশফেরত ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টাইনে থাকা নিশ্চিত করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন। সেনাবাহিনীর পাশাপাশি জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে শহরে মাইকিং করছে। এদিকে কয়েকদিন থেকে পুরো জেলাজুড়ে বিপণীকেন্দ্র ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। ফলে শহরে লোকসমাগম কম। রিকশা-অটোরিকশা চলাচল ছিল সীমিত।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা