• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

ঘনঘন প্রকল্প পরিচালক বদলি নয় :প্রধানমন্ত্রী

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০২০  

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) বৈঠকে সভাপতিত্বকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবনে থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন তিনি। মন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষ থেকে বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠকে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন নির্দেশনা গণমাধ্যমকে জানান পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম।

 

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সড়ক তৈরির সময় পানি চলাচল ব্যাহত না হওয়ার বিষয়টি মাথায় রাখার নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন, অনেক সময় পানি চলাচলের জন্য রাস্তা কাটতে হয়। তার জন্য সড়ক তৈরির সময় পানি চলাচলের জন্য প্রয়োজনে কালভার্টের ব্যবস্থা রাখতে হবে। বিল হাওড়, বাঁওড় বাঁচিয়ে রেখে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ধরে রাখতে হবে। এছাড়াও প্রকল্প বাস্তবায়নে মামলাজনিত সমস্যা থাকলে তা দ্রম্নত নিষ্পত্তি করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

 

বৈঠক থেকে ৫ হাজার ১৯০ কোটি টাকা ব্যয়ের তিনটি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি নতুন প্রকল্প, বাকি দুটি সংশোধিত প্রকল্প। এই ব্যয়ের মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় ২ হাজার ৯১৯ কোটি জোগান দেওয়া হবে। বাকি ২ হাজার ২৭০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা প্রকল্প সহায়তা হিসেবে পাওয়া যাবে।

 

সভায় গুরুত্বপূর্ণ সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের ব্যয় ৪ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা বেড়েছে। এই ব্যয় বৃদ্ধির ফলে প্রকল্পটির মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা। একইসঙ্গে প্রকল্পটির মেয়াদ আরও চার বছর বৃদ্ধি করে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে শেষ করার নতুন লক্ষ্য ঠিক হয়েছে।

 

পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, প্রকল্পটিতে ভূমি অধিগ্রহণ বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণ তিন গুণ হওয়ায় ব্যয় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই প্রকল্পটির সংশোধনের প্রয়োজন হয়েছে।

 

প্রকল্প প্রস্তাবনায় দেখা যায়, প্রকল্পটিতে ভূমি অধিগ্রহণের পরিমাণ ১২৭ হেক্টর বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২০১৭ সালের ভূমি অধিগ্রহণ আইন অনুযায়ী জমির ক্ষতিপূরণ তিন গুণ হারে নির্ধারিত হওয়ায় ব্যয় গেছে বেড়ে। শুধু ভূমি অধিগ্রহণ খাতেই ২ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা এবং পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় ব্যয় বেড়েছে প্রায় ২২৭ কোটি টাকা।

 

নতুন করে প্রকল্পটির আওতায় সড়কের দুই পাশে পৃথক করে ধীরগতির যানবাহনের লেন নির্মাণ করা হবে। ১৯০ কিলোমিটার রুটের যেখানে যানজট বেশি হবে, এমন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নির্মাণ করা হবে ফ্লাইওভার। যার দৈর্ঘ্য হবে ২ হাজার ৬৩৫ মিটার। এসব কারণে প্রকল্পটি ৪ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা ব্যয় বাড়িয়ে সংশোধন করা হয়েছে বলে পরিকল্পনা সচিব জানান।

 

অপর প্রকল্পটি হলো সোনাপুর (নোয়াখালী)-সোনাগাজী (ফেনী)-জোয়ারগঞ্জ (চট্টগ্রাম) সড়ক উন্নয়ন (দ্বিতীয় সংশোধন) প্রকল্প। প্রকল্পটির মূল খরচ ছিল ১৭২ কোটি ৬৫ লাখ, প্রথম সংশোধনীতে হয় ১৮৫ কোটি ৯৬ লাখ এবং দ্বিতীয় সংশোধনে ব্যয়ের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াল ২৯৩ কোটি পাঁচ লাখ টাকা। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ২০১৮ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলে এখন তা বাড়িয়ে করা হয় ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত।

 

নতুন প্রকল্পটি হলো স্থানীয় সরকার, পলস্নী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের 'ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার ট্রাফিক অবকাঠামো উন্নয়নসহ সড়ক নিরাপত্তা'। এতে খরচ হবে ৩১৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা। ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

 

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা