• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

গ্যাস সিলিন্ডারের গুদাম থাকায় আতঙ্কে থাকেন সবাই

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৬ নভেম্বর ২০১৯  

প্রতিদিন বইভর্তি ব্যাগ কাঁধে ঝুলিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করে শিশুরা। কিন্তু ক্লাসে মন বসে না তাদের। বইয়ের চেয়ে স্কুলের পাশে থাকা গ্যাসের সিলিন্ডার রাখার গুদাম ঘরের দিকে খেয়াল বেশি তাদের। একটু শব্দেও তাদের বুক কেঁপে ওঠে। এই বুঝি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হলো। পুরো সময় শিক্ষকরা থাকেন আতঙ্কে, অভিভাবকরা থাকেন উৎকণ্ঠায়।

এ অবস্থা ঝিনাইদহ পৌর এলাকার ভূটিয়ারগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। এর পাশেই একটি গ্যাস সিলিন্ডারের গুদাম থাকায় এ আতঙ্কজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

ওই বিদ‌্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, ঝিনাইদহ পৌর এলাকার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত ভূটিয়ারগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ও গ্যাস সিলিন্ডারের গুদামের দূরত্ব মাত্র ১০ হাত। এমন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলছে। ছুটির ঘণ্টা পড়তেই বাড়ির উদ্দেশে ছুটতে শুরু করে শিক্ষার্থীরা। প্রায় সবাইকে বিদ্যালয় থেকে পার্শ্ববর্তী গ্যাসসিলিন্ডারের গুদামের প্রাচীর ঘেঁষে ছোট রাস্তা ধরে বের হতে হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একের পর এক ট্রাকে করে গ্যাস সিলিন্ডার এখানে এনে জমা করা হয়। সামান্য অসতর্কতায় যেকোনো সময় ঘটতে পারে বিস্ফোরণ। এতে স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও আশপাশের এলাকার মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে।

কয়েকজন অভিভাবক বলেন, স্কুলটি অনেক বছরের পুরনো। এর পাশে কীভাবে গ্যাস সিলিন্ডারের গুদাম করা হলো? গুদামটি এখান থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে অনেকবার বলার পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এখন সন্তানদের স্কুলে পাঠাতেই ভয় হয়। যেকোনো সময় বিস্ফোরণ হয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক শাহানারা খাতুন বলেন, বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়কে জানিয়েছি। কিন্তু কোনো ফল হয়নি। এই ঝুঁকির মধ্যে থেকেই বাচ্চাদের পড়াতে হচ্ছে।

গ‌্যাস সিলিন্ডারের গুদামের ব্যবস্থাপক মতিয়ার রহমান জানান, এখানে তারা অল্পসংখ্যক সিলিন্ডার রাখেন। এগুলো সুরক্ষিত থাকে। দুর্ঘটনার আশঙ্কা নেই।

ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা দিলীপ কুমার সরকার জানান, এখানে গ্যাস ভরা হয় না। শুধু গ্যাসের সিলিন্ডার রাখা হয়। পরে সেগুলো বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। এতে খুব বেশি ঝুঁকি নেই।

এ বিষয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এটা অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু স্থানীয় লোকজন কেন এটার প্রতিবাদ করেন না, তা আমি জানি না। জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা