• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

গেঁটের ব্যথায় বাঁচতে যা করবেন

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮  

আজকাল আমাদের অনেকেরই গেঁটে বাত বা গিঁটে গিঁটে ব্যথার মতো একাধিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। মূলত, শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের উচ্চ মাত্রার উপস্থিতির ফলে এমনটা হয়ে থাকে। এ ছাড়া ইউরিক অ্যাসিডের উপস্থিতির ফলে হতে পারে উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি সমস্যাসহ নানা জটিল অসুখ।

যে কারণে বৃদ্ধি পায় ইউরিক অ্যাসিড :

স্বাভাবিকভাবে মূত্রের মাধ্যমে যে পরিমাণ ইউরিক অ্যাসিড বেরিয়ে যায়, তার চেয়ে আমাদের যকৃত যখন বেশি পরিমাণ ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করে, তখনই রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে থাকে। এ ছাড়াও স্বাভাবিক অবস্থায় খাবার থেকে উৎপন্ন ইউরিক অ্যাসিড রক্তে মিশে গিয়ে তা কিডনিতে পৌঁছায় এবং কিডনি এই টক্সিক উপাদানকে ছেঁকে শরীর থেকে বের করে দেয়।

কিন্তু আমরা দৈনন্দিন ব্যস্ততার চাপে এমন অনেক খাবার প্রায়ই খাই, যা রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা এতটাই বাড়িয়ে দেয় যে কিডনি সেই অতিরিক্ত অ্যাসিড শরীর থেকে বের করতে পারে না। ফলে ক্রমশ শরীরের বাড়তে থাকে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা। এর ফলে স্বাভাবিক ভাবেই শরীর অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হাঁটুসহ বিভিন্ন অস্থিসন্ধিতে ইউরিক অ্যাসিড জমা হতে থাকে এবং তাতে অস্থিসন্ধি ফুলে যায় এবং ব্যথা হতে থাকে। উচ্চ মাত্রায় চিনি খাওয়াও হতে পারে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির একটা বড় কারণ।

শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে যা করবেন -

স্বাভাবিকভাবে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের নির্দিষ্ট মাত্রা হলো, পুরুষের ক্ষেত্রে ৩.৪–৭.0 mg/dL এবং নারীদের ক্ষেত্রে ২.৪–৬.0 mg/dL। এর চেয়ে বেশি হলে তা নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুবই কার্যকর একটি উপাদান হলো অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার।

প্রথমে এক গ্লাস জলের সঙ্গে ১ চা চামচ ভিনেগার মিশিয়ে নিন। দিনে অন্তত দুই থেকে তিনবার এই মিশ্রণ পান করুন নিয়মিত। অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার শরীর থেকে যেকোনো দূষিত পদার্থ বের করে দিতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

বিশুদ্ধ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারে থাকে ম্যালিক অ্যাসিড, যা ইউরিক অ্যাসিডের ক্রিস্টালগুলোকে ভেঙে দেয় এবং তাদের শরীরে গাঁটগুলোতে জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। তা ছাড়া প্রতিদিন অন্তত তিন লিটার জল খেতে পারলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড জমা হতে পারে না।

আসলে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় খাবার-দাবারে তেমন একটা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন নেই। উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার, যেমন মাছ-মাংস, মুসুড়ির ডাল, রাজমা, কিছু সবুজ সবজি (পালং শাক) এড়িয়ে চলুন। অতিরিক্ত পিউরিনযুক্ত খাবার যেমন-লাল মাংস (রেড মিট), লাল মদ (রম) বা সামুদ্রিক মাছ কম খেতে হবে।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা