• মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

গাদ্দাফিকে হত্যায় ফ্রান্সের হাত থাকার ঘটনা ফাঁস!

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০১৯  

২০১১ সালে সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের কাছে পাঠানো তিন হাজার গোপন ইমেইল থেকে লিবিয়ার সাবেক একনায়ক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে হত্যার ঘটনায় ফ্রান্সের হাত থাকার ঘটনা ফাঁস হয়ে গেছে।

ওই তিন হাজার ইমেইলের সারসংক্ষেপ হচ্ছে- আফ্রিকা মহাদেশের ওপর নিজের আধিপত্য বজায় রাখা এবং লিবিয়ার তেলসম্পদের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করার লক্ষ্যে ফ্রান্স গাদ্দাফি সরকারের পতন ঘটানোর লক্ষ্যে ন্যাটো জোটের সামরিক শক্তিকে ব্যবহার করেছে।

ওই তিন হাজার ইমেইল ২০১১ সালে তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনকে পাঠানো হয়েছিল। খবর পার্সটুডের।

২০১১ সালে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে গণঅভ্যুত্থান হয় এবং এর জের ধরে কয়েকটি দেশের সরকারের পতন ঘটে।

হিলারি ক্লিনটনের কাছে পাঠানো ইমেইলগুলোতে বলা হয়েছে, ফ্রান্সের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি পাঁচটি লক্ষ্য সামনে রেখে ন্যাটোর মাধ্যমে লিবিয়ায় হামলা চালিয়েছিলেন।

লক্ষ্যগুলো হচ্ছে- লিবিয়ার তেলসম্পদের ওপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠা, উত্তর আফ্রিকার সাবেক উপনিবেশগুলোতে ফ্রান্সের প্রভাব ধরে রাখা, সারকোজির আঞ্চলিক সুনাম বাড়ানো, ফ্রান্সের সামরিক শক্তিমত্তা প্রদর্শন এবং পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে গাদ্দাফির প্রভাব ক্ষুণ্ন করা।

উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর বেনগাজি থেকে গাদ্দাফি সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আন্দোলন শুরু হয়। এ সময় গাদ্দাফি ওই আন্দোলন দমন করতে বেনগাজির দিকে যে বিশাল সামরিক বহর পাঠান, বিমান হামলা চালিয়ে সে বহরকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয় ন্যাটো বাহিনী।

ফলে গাদ্দাফি সরকারের ওপর যে আঘাত আসে তা সামলে ওঠা ত্রিপোলির পক্ষে সম্ভব হয়নি এবং এর জের ধরে সরকারের পতন ও গাদ্দাফি ‘বিক্ষুব্ধ জনতা’র হাতে ধরা পড়ে নিহত হন।

দৃশ্যত গণঅভ্যুত্থানে গাদ্দাফি সরকারের পতন হলেও এ ঘটনায় মূল অনুঘটকের কাজটি ন্যাটো জোট করে দেয়, যে জোটের নামে মূল হামলাটি চালিয়েছিল ফ্রান্সের সেনাবাহিনী।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা