• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

"গণ স্বাস্থ্যের কিট রাজনীতির বাইরে থাকুক"

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০২০  

নভেল করোনা ভাইরাসে প্রভাবে থমকে গেছে গোটা বিশ্ব।বিশ্ব যুদ্ধ করছে এক অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে।যার বৈজ্ঞানিক নাম কোভিড ১৯। গত কয়েকমাস যাবত গোটা বিশ্ব ধাপিয়ে বেরিয়েছে এই করোনা যাহা চলমান।বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রের ওষুধ বিজ্ঞানীরা দিন রাত লড়াই করে যাচ্ছেন এই অদৃশ্য শক্তিকে মোকাবেলায় এর প্রতিষোধক অবিষ্কারের জন্য। মহা বিশ্বের এই যুদ্ধ পরিচালক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO এই কয়েক মাসে সংবাদ সম্মেলন এসে বিশ্বের এই করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্ভেগ প্রকাশ ছাড়া কিছু ই করতে পারেনি। এর মধ্য যে যার দেশের জনমানব রক্ষায় যে যার নীতিতে হাটছে। বিশ্বের সর্বোচ্চ শক্তিধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র বারাবরের মতো বিশ্বের এই পরিস্থিতির জন্য করোনার উৎপত্তিস্থল চীনকে দায়ী করে আসছে এবং সেই ক্ষোভে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO কে দেয়া অর্থিক সহযোগিতা না দেয়ার ঘোষনা দিয়েছে ইতিপূর্বে। পৃথিবীর দেশগুলো যে যার শক্তি অনুযায়ী এই মহামারি কে মোকাবেলা করার চেষ্টা করছে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO এর মতে এই মহামারিকে মোকাবেলা করতে হলে সবাইকে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে যার ফলস্বরূপ বিশ্বের করোনা আক্রান্ত প্রায় সকল দেশ ই লকডাউন করেছে দেশ যা অনুসারণ করে ইতিপূর্বে বাংলাদেশ সরকারও লকডাউন করেছেন। কিন্তু এই সংক্রামক রোগ থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে আক্রান্ত লোকদের ভাগ করে আলাদা করতে হবে। যার জন্য প্রয়োজন অধিক হারে টেষ্ট করা।কিন্তু বাংলাদেশের জনসংখ্যা অনুযায়ী প্রয়োজন মত টেষ্ট করার সক্ষমতা নেই তা ইতিপূর্বে প্রমানিত হয়েছে। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রতিষ্ঠিত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত আন্তর্জাতিক মানের বিজ্ঞানী ড.বিজন কুমার শীল এর নেতৃত্বে একদল গবেষক করোনা পরিক্ষা করার কীট আবিষ্কার করেছেন তা দাবি করে আসছিলেন ড.জাফরুল্লাহ চৌধুরী এবং সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন। গত২৫ শে এপ্রিল নিজেদের উদ্ভাবন করা করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নির্ণায়ক (করোনা টেস্টিং কিট) এর নমুনা হস্তান্তরের জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। সেই অনুষ্ঠানে সরকারের কোনও প্রতিনিধির উপস্থিত না থাকা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিপূর্বে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছেন। সাধারণ মানুষদের কথা গণস্বাস্থ্যের কীট ওষুধ প্রশাসন গ্রহণ করেনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বি,এন,পির রাজনীতির সাথে থাকায়। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলছেন গণস্বাস্থ্য ঘুষ দেয়নি বলে গণস্বাস্থ্যের কীট গ্রহণ করেনি ওষুধ প্রশাসন। ওষুধ প্রশাসন বলছেন এটা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO অনুমোদন দেননি যার কারনে আমরা গ্রহণ করেনি। এখন প্রশ্ন হলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শুরুতে বলেছিল মাস্ক না পড়ার জন্য কিন্তু বর্তমানে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করছেন। গত কয়েকদিন আগে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম প্রকাশ করেছেন নরওয়ের একদল গবেষক করোনার ওষুধ আবিষ্কার করেছেন যা তিনটি ধাপের প্রথম ধাপ ইতিপূর্বে সফল হয়েছে এবং বলেছেন পরবর্তী ধাপ দুটো সফল হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। তাদের চিন্তা তারা এখন ওষুধটি বাজারজাত করার অনুমতি যত দ্রুত আনতে পারে কিনা। তার মানি তারা চাচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব ওষুধ বাজারে আনার জন্য। বিশ্ব এক কঠিন যুদ্ধ করছে তাই সব কিছু ই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দিকে চেয়ে থাকলে তো আর হবে না। যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO. র্যাপিড টেস্টের অনুমতি দেয়নি সেখানে ভারত সহ বিশ্বের অনেক দেশ র্যাপিড টেষ্ট করে যাচ্ছেন। চীনের কিট মানহীন হওয়ায় নিজের দেশে আবিস্কারকৃত কিট দ্বারা র্যাপিড টেস্ট করে যাচ্ছেন ভারত। সেখানে আমার দেশের আন্তর্জাতিক মানের গবেষক ড.বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে আবিস্কৃত কীট ওষুধ প্রশাসন গ্রহণ করেনি। ধরে নিলাম র্যাপিড টেস্টে ৫% ফলাফল মিথ্যা আসে সেখানে না করার থেকে তো এই র্যাপিড টেস্ট করা ভালো। আমরা চাইবো দ্রুত এর কার্যকারিতা পরীক্ষা হবে। রাজনীতির কারণে যেন ডা. জাফরুল্লাহর গণস্বাস্থ্যের কিটকে ফিরিয়ে না দেয়া হয়। কার্যকারিতা বিবেচনায় এই কিট অনুমোদন না পেলে তা নিয়ে যেন রাজনীতি না হয়।

আবিদ হাসান সোলায়মান (মঠবাড়িয়া সরকারি কলেজ,অনার্স ২য় বর্ষ, বাংলা বিভাগ)

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা