• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

খুলনায় হোম কোয়ারেন্টিন থেকে মুক্ত ১৫২৭, আইসোলেশনে ২

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৩ এপ্রিল ২০২০  

খুলনায় শুক্রবার (০৩ এপ্রিল) পর্যন্ত বিদেশফেরত ১৮৭১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। এর মধ্যে কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ১৫২৭ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে খুলনায় হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৩৪৪ জন।

শুক্রবার (০৩ এপ্রিল) দুপুরে খুলনা সিভিল সার্জনের দপ্তর থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

হোম কোয়ারেন্টিনে যাদের রাখা হয়েছে তারা সম্প্রতি ভারত, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, ইতালি, কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ফিরেছেন।  এপর্যন্ত খুলনার দাকোপে ১১৭ জন, বটিয়াঘাটায় ৯৫ জন, রূপসায় ১০৭ জন, তেরখাদায় ৪৫ জন, দিঘলিয়ায় ৫৫ জন, ফুলতলায় ৭০ জন, ডুমুরিয়ায় ৯৭ জন, পাইকগাছায় ১৬০ জন, কয়রায় ২৩৭ জন ও খুলনা মহানগরীতে ৮৮৮ জনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল।

তবে কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ ১৪ দিন পার হওয়ায় ১৫২৭ জনকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে আছেন খুলনার দাকোপে ৭০ জন, বটিয়াঘাটায় ৫৮ জন, রূপসায় ৮৯ জন, তেরখাদায় ৩৬ জন, দিঘলিয়ায় ৪৪ জন, ফুলতলায় ৬২ জন, পাইকগাছায় ১১৯ জন, কয়রায় ১৬৮ জন ও খুলনা মহানগরীতে ৮৮১ জন।

এছাড়াও এ পর্যন্ত ১২ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। এর মধ্যে গত ২৬ মার্চে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত এক রোগীর মৃত্যু হয়েছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সন্দেহ করেছিল ওই রোগী করোনায় আক্রান্ত ছিল। তবে আইইডিসিআরের পরীক্ষায় ওই ব্যক্তির দেহে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে ২৯ মার্চে ৭০ বছর বয়স্ক আরেক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল আইসোলেশনে ইউনিটে। তবে তিনি যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত থাকায় আইইডিসিআর জানিয়েছিল তার নমুনা পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। সে কারণে তার পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছিল। বর্তমানে খুমেকের করোনা ইউনিটে তিন জন আইসোলেশনে আছে। এর মধ্যে আইইডিসিআরের পরীক্ষায় একজনের ফলাফল নেগেটিব এসেছে। তাকে আগমীকাল ছাড়পত্র দেওয়া হবে। সেই হিসেবে এখন পর্যবেক্ষণে আছেন দুই জন। বাকি ৭ জনকে পূর্বে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

খুমেকের আবাসিক ফিজিশিয়ান (মেডিসিন) ও করোনা ইউনিটের মূখপাত্র ডা. শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, ‘এ পর্যন্ত খুমেকের আইসোলেশনে মোট ১২ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন তিন জন। এর মধ্যে আইইডিসিআরের পরীক্ষায় একজনের ফলাফল নেগেটিব এসেছে। তাকে আগমীকাল ছাড়পত্র দেওয়া হবে। বাকি দুইজনের সর্দি-কাঁসির উপসর্গ বৃদ্ধি পেলে টেষ্ট করা হবে।’

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যপক ডা. এস এম তুষার আলম বলেন, ‘আমাদের সকল কার্যক্রম শেষ হলে আগামী সপ্তাহের শেষের (বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার) দিকে খুমেকে করোনা টেস্ট করতে পারবো। তখন এক দিনের মধ্যেই আইসোলেশনে থাকা রোগী করোনায় আক্রান্ত কিনা তা শনাক্ত করা যাবে।’

খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ জানান, ‘বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের তাদের বাড়িতেই থাকতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। চিকিৎসক দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেছে, তারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নন। তারপরও অন্তত ১৪ দিন তাদের বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করা করেছিলাম। বর্তমানে অনেকের হোম কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষের পথে। যাদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে তাদেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে বলা হচ্ছে।’

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা