• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

খুলনার সেই ডা. তারিমের কোচিং থেকে ২৮০ জন উত্তীর্ণ, চলছে তদন্ত

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০১৯  

মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষার প্রশ্ন কারসাজিতে অভিযুক্ত খুলনার থ্রি ডক্টরস কোচিং সেন্টার থেকে এ বছর (২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ) ২৮০ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন সরকারী মেডিকেল কলেজে চান্স পাওয়ায় বিস্ময়েয় সৃষ্টি হয়েছে। এতে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। তারা জানাচ্ছেন ওই কোচিং সেন্টার ও পরিচালকে ডা. তারিমের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ ও তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার পরে মঙ্গলবার প্রকাশিত ফলাফলে ওই কোচিং থেকে ২৮০ জন বিভিন্ন সরকারী মেডিলেকে চান্স পেয়েছে বলে জানা গেছে। কোচিংয়ের পরিচালক ডা. ইউনুস খান ওরফে তারিম প্রবর্তনকে বলেন, ‘অতীতের ন্যায় আমাদের সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পেরেছি। এবার আমাদের কোচিং থেকে ২৮০ জনের মধ্যে ১৭ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) চান্স পেয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় মেধা তালিকায় ২য়, ১৯ তম, ২০ তম ও ৩২ তম হয়েছে আমাদের কোচিংয়ের শিক্ষার্থীরা।’

গত বছর (২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ) খুলনার থ্রি ডক্টরস কোচিং সেন্টার থেকে কোচিং করেছেন—এমন ২৮ জন ঢাকার মুগদা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান।  মোট ২৭৩ জন শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন সরকারি মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে ১৮ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং ৮৬ জন ঢাকার অন্য চারটি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। এর আগের বছর কোচিং সেন্টারটি থেকে বিভিন্ন মেডিকেলে ২৬৪ জন ভর্তি হয়েছিলেন। প্রতি বছরই সরকারী মেডিকেলে এখানকার শিক্ষার্থীদের ভর্তির সংখ্যা বাড়্ছে। ডা. তারিম প্রচারণা মূলক পোষ্টার ও হ্যান্ড বিলে নিজেকে চার হাজার ডাক্তার গড়ার কারিগর হিসেবে দাবী করে থাকেন।

সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “থ্রি ডক্টরস কোচিং সেন্টারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষার উত্তরপত্রে কারসাজি করে কয়েক বছর ধরে শিক্ষার্থী ভর্তি করে আসছে। খুলনা মহানগরের কেন্দ্রস্থলে ফুল মার্কেটের কাছে একটি বহুতল ভবনে এই কোচিং সেন্টার অবস্থিত। বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে কারসাজি করে শিক্ষার্থী ভর্তি করার ব্যাপারে এ কোচিং সেন্টারটি জড়িত। যা গত বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) একটি জাতীয় পত্রিকার প্রতিবেদনে ছাপা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, “ঢাকার মুগদা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়া এমন কিছু শিক্ষার্থী সম্পর্কে শিক্ষকেরা বলেছেন, মেডিকেলে পড়ার ন্যূনতম মানও তাঁদের নেই। ভর্তি পরীক্ষায় কীভাবে তাঁরা উত্তীর্ণ হয়েছেন, সেটা তাঁরা বুঝে উঠতে পারছেন না।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা