খুলনা রেঞ্জে গত মাসে কোটি টাকার মাদক উদ্ধার

খুলনা রেঞ্জ পুলিশের আওতাভুক্ত থানাগুলোতে অক্টোবর মাসে বিভিন্ন খাতে ১৭১৩ টি মামলা রুজু হয়েছে। পাশাপাশি ১ কোটি ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬শ’ টাকার মাদক জব্দ করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (২০ নভেম্বর)  বেলা ১১টায় রেঞ্জ ডিআইজি সম্মেলন কক্ষে এক মাসিক সভা এ সব তথ্য জানান রেঞ্জ ডিআইজি ড. খঃ মহিদ উদ্দিন। এসময়ে অপরাধ রোধ, মামলা তদন্ত ও নিষ্পত্তির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।

এছাড়াও তিনি,  খুলনা রেঞ্জে আইন-শৃঙ্খলা, ট্রাফিক আইন-২০১৮ কার্যকর এবং কমিউনিটি পুলিশিংসহ থানা, ফাঁড়ি, তদন্ত কেন্দ্র, ক্যাম্পের কার্যক্রম জনবান্ধবরূপে গড়ে তোলার এবং পুলিশি সেবা জনসাধারণের দৌড়গোড়ায় পৌঁছানোর বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন।

পর্যাপ্ত লবন মজুদ থাকা সত্বেও সাম্প্রতিক সময়ে লবনের সংকট ও মূল্য নিয়ে গুজব সৃষ্টিকারী, প্রচারকারী এবং বাজার মূল্যের অতিরিক্ত দামে লবন বিক্রয়কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন।

জঙ্গীবাদ, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বহাল রেখে কার্যকরী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এবং মাদক, জঙ্গীবাদ দমন ও নিয়ন্ত্রণে সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে নিয়ে কাজ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।

সভায় জানানো হয়, অক্টোবর মাসে বিভিন্ন খাতে মোট ১৭১৩ টি মামলা রুজু হয়েছে। এর মধ্যে মাদক মামলা ৬২১ টি।  জব্দকৃত মাদকদ্রবের মূল্য ১ কোটি ১৪লাখ ৭৯ হাজার ৬শ’ টাকা। গেল মাসে পরোয়ানা নিষ্পত্তি হয়েছে ১০ হাজার ৮০৬ টি।

সভায়, অক্টোবর মাসে শ্রেষ্ঠত্বের ভিত্তিতে তদন্তাধীন মামলা নিষ্পত্তি ও ওয়ারেন্ট নিষ্পত্তিতে খুলনা জেলা পুলিশ প্রথম স্থান এবং তদন্তাধীন মামলা নিষ্পত্তিতে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ ২য় স্থান ও ওয়ারেন্ট নিষ্পত্তিতে নড়াইল জেলা পুলিশ ২য় স্থান অর্জন করায় পুলিশ সুপারদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। একই সময় যশোর জেলার পুলিশ সুপার মঈনুল হক অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত হওয়ায় ডিআইজি’র পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। ডাকাতি, দস্যুতা, খুন ও মানব পাচার মামলা হ্রাস পাওয়া এবং পরোয়ানা নিষ্পত্তির হার বৃদ্ধি, মাদকদ্রব্য উদ্ধার বৃদ্ধি সহ সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল থাকায় পুলিশ সুপার যশোরসহ সকল পুলিশ সুপারদের ধন্যবাদ প্রদান করেন ডিআইজি।

এছাড়াও সভায়, বাল্য বিবাহ, শিশু নির্যাতন, কিশোর গ্যাংসহ কিশোর অপরাধ দমন ও গুজব প্রতিরোধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি জনসচেতনতামূলক কর্মসূচী গ্রহণের জন্য সকল জেলাকে নির্দেশনা ও পুলিশ সদস্যদের অপরাধে জড়িত হওয়ার বিষয়ে কঠোর হুশিয়ারী বার্তা প্রদান হয়। একই সাথে চলমান জুয়া, ক্যাসিনো, মাদক বিরোধী অভিযান আরও বেগবান করতে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়। আর গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন ও ওয়ারেন্ট তামিল করণ তথা পুলিশি তৎপরতা আরও বৃদ্ধির জন্য সকল পুলিশ সুপার’গণকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত ডিআইজি(অ্যাডমিন এন্ড ফিন্যান্স) মোঃ হাবিবুর রহমানসহ রেঞ্জের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, রেঞ্জাধীন জেলাসমূহের পুলিশ সুপারগণ, কমান্ড্যান্ট(এসপি), আরআরএফ, খুলনা, সিআইডি, পিবিআই, এপিবিএন এর পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ।