খুলনা বিশ্ববিদ‌্যালয়ের প্রোভিসি হলেন ড. হোসনে আরা

প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরাকে চার বছরের জন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৯০ এর ১৩ (১) ধারা অনুসারে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর এ নিয়োগ দেন। দীর্ঘ ৮ বছর ৯ মাস পর এ পদটি পূরণ হলো।

সোমবার (১২ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব নীলিমা আফরোজ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। 

প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন ডিসিপ্লিনের প্রধান হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর। 
এদিকে, নবনিযুক্ত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা সোমবার বেলা পৌণে ১২টায় এ পদে যোগদানের মাধ্যমে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। 

পরে বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান, ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, ডিনবৃন্দের পক্ষে প্রফেসর ড. রায়হান আলী, শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি প্রফেসর শরীফ হাসান লিমন, অফিসার্স কল্যাণ পরিষদের সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান। 

সূচনা বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। 
ভাইস-চ্যান্সেলর আশা করেন, দীর্ঘদিন পর প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর পদটি পূরণ হওয়ায় এবং তা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্য থেকে নিয়োগ লাভে একাডেমিক ও প্রশাসনিকসহ সার্বিক কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে সহায়ক হবে। 
নবনিযুক্ত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা বলেন, ‘সম্মিলিত প্রচেষ্টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জিত সুনাম ও শিক্ষার গুণগতমান রক্ষার পাশাপাশি ভাবমূর্তি বৃদ্ধি করাই আমাদের সকলের উদ্দেশ্য। ’

তিনি ভাইস-চ্যান্সেলর, ট্রেজারারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারিসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। 
প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা ১৯৭০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি গোপালগঞ্জ সদরে জন্মগ্রহণ করেন। যশোর বোর্ড থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পাসের পরে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রযুক্তি বিভাগে অনার্সে ভর্তি হন। সেখান থেকে রসায়নে বিএসসি (অনার্স), এমএসসি এবং পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। খুলনা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে তিনি বিএড ডিগ্রি প্রাপ্ত হন। 

তিনি ১৯৯৮ সালের ১৯ অক্টোবর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফএমআরটি ডিসিপ্লিনে রসায়নের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন এবং পরে রসায়ন ডিসিপ্লিন চালু হলে তাঁর পদটি সেখানে স্থানান্তরিত হয়। ২০১০ সালের ২৯ ডিসেম্বর তিনি প্রফেসর পদে যোগদান করেন। তিনি ২০১৪ সাল থেকে যৌন নিপীড়ন নিরোধ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের (স্বাশিপ) সভাপতি। এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য, প্রভোস্ট এবং শিক্ষক সমিতির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।