• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

খুলনা উপকূলে শুষ্ক মৌসুমেও ভাঙছে বাঁধ, আতংকে মানুষ

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০  


শুষ্ক মৌসুমে হঠাৎ করেই খুলনার কয়রা উপজেলার মদিনাবাদ লঞ্চঘাট এলাকার বাঁধে ভাঙন শুরু হয়েছে। রোববার রাতে সেখানে প্রায় ১০০ মিটার বাঁধ ধসে গেছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে সরকারি অফিস, তিনটি গ্রামের ঘর বাড়ি ও মাছের ঘের।
স্থানীয়রা জানায়, কপোতাক্ষ নদীর পূর্ব পাশে কয়রা উপজেলা পরিষদ থেকে দেড় কিলোমিটার দুরে মদিনাবাদ লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকার বাঁধ ১০০ মিটারের মত ধসে গেছে। বাঁধের চার ভাগের তিন ভাগ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় বড় জোয়ারে নদীর পানি প্রবেশের আশংকা দেখা দিয়েছে। রোববার রাতে ও সোমবার সকাল থেকে স্থানীয় গ্রামবাসি নদীর চরের মাটি কেটে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করছে। গ্রামবাসি জানায়, এর আগে বর্ষা মৌসুমে গোবরা এলাকার বাঁধের প্রায় ২শ মিটার ধসে যায়। সেখানেও গ্রামবাসি কাজ করে কোন প্রকারে নদীর পানি প্রবেশ ঠেকিয়ে রেখেছে। স্থায়িভাবে আজও পদক্ষেপ নিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। 
কয়রা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ূন কবির বলেন, ধসে যাওয়া বাঁধের ওই অংশ সরকারিভাবে দ্রæত মেরামতের উদ্যোগ না নিলে হয়তো বড় দূর্ঘটনা ঘটবে। এতে উপজেলা পরিষদসহ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হবে। তিনি দ্রæত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান। 

উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানের বেড়িবাঁধে ফাটল দেখা দেয়

 

স্থানীয় ইউপি সদস্য আঃ গফ্ফার ঢালী জানান, গত কয়েক বছর ধরে মদিনাবাদ লঞ্চঘাট থেকে শুরু করে গোবরা ও হরিণখোলা পর্যন্ত কপোতাক্ষ নদের আগ্রাসনে অব্যাহতভাবে বাঁধ ভাঙছে। ফলে পাশ^বর্তি তিনটি গ্রামের প্রায় দেড়শ পরিবার তাদের ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। অনেকেই বাঁধের ঢালে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ভাঙন ঠেকাতে স্থায়ি কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলে জানান তিনি।  
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিমুল কুমার সাহা জানিয়েছেন, রোববার রাতে বাঁধের ওই স্থান ধসে যাওয়ায় স্থানীয় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তাৎক্ষনিকভাবে সেখানে কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে পদক্ষেপ নেওয়ায় বড় ধরনের বিপত্তি ঘটেনি। 
তিনি বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিকল্পনামাফিক মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া দরকার। তা নাহলে কপোতাক্ষের পানিতে প্লাবিত হতে পারে উপজেলা পরিষদসহ কয়েকটি গ্রাম। 
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড সাতক্ষীরা-২ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খান আরিফুজ্জামান বলেন, কয়রা উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ সকল বাঁধ মেরামতের জন্য একটি বড় পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। যেটি পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে। এ প্রকল্পটি অনুমোদন হয়ে আসলে স্থায়ি একটি সমাধান হবে বলে আশা করছি। তবে এ মূহুর্তে যেসব স্থানে ধসে যাচ্ছে অথবা ভেঙে যাচ্ছে সেগুলো জরুরীভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। 

 

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা