• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

খুমেক অভ্যন্তরে নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন মাল্টিপারপাস ভবন

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০২১  

জনবলের তুলনায় রোগীর চাপ বাড়ছে প্রতিনিয়ত। রোগীর সেবা দিতে গিয়ে ডাক্তারদের অনেক সময় হাফিয়ে উঠতে হয়। বিশ্রামবিহীন অবস্থায় চলতে হয় তাদের। যার প্রভাব পড়ে অন্য রোগীদের ওপর। এজন্য রোগীর সেবা স্বাভাবিক রাখা এবং ওষুধ ও অন্যান্য মেডিকেল যন্ত্রপাতি যতœ সহকারে রাখতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন মাল্টিপারপাস ভবন। প্রায় নয় কোটি টাকা ব্যায়ে পাঁচ তলার এ ভবনটির নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর(এইচইডি)। বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে এটি। দেড় বছরের সময় নিয়ে ভবনটি নির্মিত হলেও ইতোমধ্যেই এর অর্ধেক কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। অর্থাৎ সর্বোচ্চ এক বছরের মধ্যেই ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা সম্ভব হবে বলে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছেন।
ভবনের পরিচিতি তুলে ধরে এইচইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আশুতোষ কর্মকার বলেন, খুলনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মধ্যবর্তী স্থানে অর্থাৎ কলেজ গেটের পশ্চিম পাশে নির্মিত হচ্ছে ভবনটি। এর নিচ তলায় থাকছে রোগীর দর্শনার্থীদের জন্য বসার জায়গা এবং ক্যাফেটেরিয়া, একটি ভ্যারাইটি বা জেনারেল ষ্টোর। দ্বিতীয় তলায় থাকবে ওষুধ ও অন্যান্য মেডিকেল যন্ত্রপাতি রাখার ষ্টোর। তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় থাকবে ডাক্তারদের ডরমেটরী এবং একটি কমন হলরুম। মাল্টিপারপাস ভবনের ৫ম তলায় থাকবে পাঁচ তারকা মানের ছয়টি স্যুট ও একটি কনফারেন্স রুম। ভবনটির ছাদ হবে আধুনিক মানের এবং টাইলস বসিয়ে নকশা করা হবে। ভবনের নিচেও থাকবে ফুল বাগান।
সূত্রটি বলছে, ১৮ মাসের সময় নিয়ে গত বছর ১৭ আগষ্ট ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। যার মেয়াদ রয়েছে আগামী বছর ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। কিন্তু বিগত আট মাসেই এর নির্মাণ কাজের অর্ধেক সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে এইচইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, আগামী জুন মাসের মধ্যে ৮০ভাগ কাজ সম্পন্ন হবে এবং এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই সম্পূর্ণ কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলছে, দেশের ১০টি জেলায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অভ্যন্তরে এমন ১০টি মাল্টিপারপাস ভবন নির্মাণ হচ্ছে। ১০টির মধ্যে খুলনা, গোপালগঞ্জ ও রংপুরের কাজ মেয়াদের আগেই শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। প্রতিটি ভবনই একই ডিজাইনের হবে উল্লেখ করে সূত্রটি বলছে, সাড়ে পাঁচ হাজার বর্গফুটের আয়তন নিয়ে ভবনগুলো তৈরি হচ্ছে। এটিও স্বাস্থ্যসেবায় আর একটি মাইলফলক বলেও সূত্রটি উল্লেখ করে।
খুলনা মাল্টিপারপাস ভবনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মাজেদা এন্টারপ্রাইজের প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার মারুফ হোসেন শাকিল বলেন, ভবন নির্মাণ ছাড়াও বৈদ্যুতিক উপ-কেন্দ্রের কাজ তারা সম্পন্ন করবেন। তবে ভবনে একটি লিফটের জায়গা থাকলেও আপাতত সিডিউলে সেটি না থাকায় লিফট্ স্থাপন সংক্রান্ত কাজটি তারা করছেন না।
এ প্রসঙ্গে এইচইডির সূত্রটি জানায়, ভবন নির্মাণ হওয়ার পর লিফট স্থাপনের জন্য আবারো টেন্ডার আহবান করা হবে। এরপরই পরিপূর্ণতা পাবে ভবনটি।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা: বিধান চন্দ্র ঘোষ বলেন, মাল্টিপারপাস ভবন নির্মাণ হলে হাসপাতালের ভান্ডারের মালামাল রাখার পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি হবে। সেই সাথে ডাক্তাররাও সুন্দর পরিবেশে থাকার সুযোগ পাবেন। এতে রোগীদের সেবার মান বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া দর্শনার্থীরা মনোরম পরিবেশে অপেক্ষার সুযোগ পাবেন।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা