• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

খালের পেটে ৩ কিলোমিটার রাস্তা, হাজারো মানুষের দুর্ভোগ

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

ঝালকাঠি পৌর এলাকার কিস্তাকাঠি আবাসন থেকে বাদামতলী খেয়া ঘাট হয়ে বাসন্ডা সেতু পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার পথ বাসন্ডা খালের ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ৬ ও ৭নং ওয়ার্ডের কয়েক হাজার বাসিন্দা।

শহরের কিফাইতনগর ও বাসন্ডা এলাকায় খালের পশ্চিম পাড়ের রাস্তা ভেঙে বিলীন হয়ে গেছে। রাস্তা খালের মধ্যে চলে যাওয়ায় শতাধিক পরিবারের লোকজনকে হাঁটা-চলার ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তারা একাধিক স্থানে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশ দিয়ে সাঁকো বানিয়ে কোনোরকমে চলাচল করছেন। পাশাপাশি নদীর পাড় ভেঙে যাওয়ায় স্বাভাবিক জোয়ারের পানি ঢুকে বসতবাড়ি তলিয়ে যাচ্ছে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সাবেক মেয়র আফজাল হোসেন সড়ক নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন করেনি। এমনকি এলাকার বর্তমান কাউন্সিলরও এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেননি। তাদের দাবি বর্তমান মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণসহ একটি রাস্তা তৈরির উদ্যোগ নেবেন।

পশ্চিম ঝালকাঠি এলাকার বাসন্ডা খাল পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, হাঁটার পথ খালে বিলীন হওয়ায় স্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে মানুষের বসতভিটা তলিয়ে যাচ্ছে। কোনো কোনো স্থানে সামান্য কিছু হাঁটার পথ থাকলেও বেশিরভাগই ভেঙে খালের মধ্যে চলে গেছে।

লবন শ্রমিক জলিল মাঝি বলেন, আমরা ঝালকাঠির বর্ধিত পৌর এলাকার নাগরিক হলেও আমাদের হাঁটাচলার কোনো রাস্তা নেই। বাসন্ডা খালের ভাঙন না থামায় নদীর পাড়ও ভাঙছে। আমরা স্বেচ্ছাশ্রমে মাটি কেটে বাঁধ দিয়ে সাঁকো বানিয়ে এভাবে কত দিন চলব?

গৃহবধূ বেলা রানী পাল বলেন, নির্বাচন এলেই মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থীরা আমাদের প্রতিশ্রুতি দিলেও নদী ভাঙন প্রতিরোধ করে সড়ক নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেয় না। সাবেক মেয়র আফজাল হোসেন আমাদের এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও তার বাস্তবায়ন দেখিনি।

মাটির হাঁড়ি পাতিল বিক্রেতা দেবাশিষ পাল বলেন, রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় কেউ অসুস্থ হলে আমরা তাকে ঠিক সময়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারি না। মাটির তৈজসপত্র পোড়ানোর তাফাল ঘর একবার ভিতরে সরিয়ে এনেছি। নদী ভাঙনের কারণে আবার সরাতে হবে।

তারা জানান, বর্ষাকালে জোয়ারের আগেই এবং অতি বৃষ্টির কারণে এই এলাকা তলিয়ে যায়। তখন ঘর থেকে নামার কোনো উপায় থাকে না। নদীর পাড় পিচ্ছিল হওয়ায় সেখান দিয়ে হাঁটা যায় না।

মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার জানান, পশ্চিম ঝালকাঠির কিস্তাকাঠি আবাসন প্রকল্প থেকে সরাসরি বাসন্ডা সেতু পর্যন্ত নদীর পাড় হয়ে একটি সড়ক নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। আশা করছি প্রকল্পটি পাশ হলে এ সমস্যার সমাধান হবে।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা