• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

কয়রায় সোনালী ব্যাংকে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

সোনালী ব্যাংক কয়রা শাখায় গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। নতুন ব্যাংক হিসাব খোলাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা নিতে গ্রাহকদের দিনের পর দিন ঘোরানো হচ্ছে। বিশেষ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন নিতে ব্যাপক হয়রানির শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহার রঞ্জন রায় নামের ব্যাংকের এক সিনিয়র কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শিক্ষক হয়রানির এমন অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। গ্রাহকদের অভিযোগে ওই কর্মকর্তাকে অন্যত্র বদলি করা হলেও কয়েক মাস আবার ফিরে এসেছেন।  

জানা গেছে, খুলনার কয়রা উপজেলা সদরে অবস্থিত সোনালী ব্যাংকে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা কর্মচারীর বেতন, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীর বেতন, অবসর ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, ব্যবসায়িক লেনদেনের টিটি, ডিডিসহ সাধারণ মানুষের বিভিন্ন লেনদেন হয়ে থাকে।

এ সকল লেনদেনে ব্যাংক কর্মকর্তাদের আচার আচারণ ও রূঢ় ব্যবহারে প্রতিনিয়ত গ্রাহকরা হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। লোকা সরকারি বিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমএম কামরুজ্জামান জানিয়েছেন প্রতি মাসে শিক্ষকদের বেতন ভাতা পেতে ভোগান্তি পোহাতে হয়। নিহার রঞ্জন রায় নামের ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা বিভিন্ন অজুহাতে শিক্ষকদের বেতন আটকে রেখে অনৈতিক সুবিধা আদায় করেন। এছাড়া শিক্ষকদের চেক বন্ধক রেখে চড়া সুদের ব্যবসা করেন তিনি। কয়রা সদরে বাড়ি হওয়ায় ব্যাংকের অন্যন্য কর্মকর্তা কর্মচারিরা তার ভয়ে তটস্থ থাকে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিহার রঞ্জন রায় বলেন, শিক্ষকদের সব অভিযোগ সঠিক নয়। অনেক শিক্ষকের টাকার প্রয়োজন হওয়ায় তারা বিভিন্ন সময় টাকা ধার নেন। পরে বেতন পেয়ে শোধ করে দেন। 
গ্রাহকদের অভিযোগ ব্যাংকের অফিসার ও কর্মচারিরা শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচরণ করে থাকেন। সে কারণে অনেক শিক্ষক তাদের ব্যাংক একাউন্ট সোনালী ব্যাংক থেকে পরিবর্তন করে পাশ্ববর্তী কৃষি ব্যাংক ও জায়গাীরমহল অগ্রনী ব্যাংকে স্থানান্তরিত করেছেন। 

মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ মালী অভিযোগ করে বলেন, আমার মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ও আমার স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকার মাসিক বেতন সোনালী ব্যাংকে উত্তোলন করতে গেলে প্রায় সময় হয়রানি হতে হয়। ব্যাংক অফিসারদের ব্যবহারে আমরা ক্ষুব্ধ।

কয়রা সদর বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, ব্যাংকের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারিকে দিয়ে ব্যাংক ম্যানেজার নতুন ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খোলাসহ ক্যাশ লেনদেনের কাজ করিয়ে থাকেন। এছাড়া ওই কর্মচারির মাধ্যমে ডিডি ও টিটি করাতে হলে সময় ক্ষেপন ও নানা অজুহাতে টাকা দাবী করেন। তার আচারণে অধিকাংশ গ্রাহক ক্ষুব্ধ। 

এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংক কয়রা শাখার ব্যবস্থাপক তরুন জ্যোতি মন্ডল বলেন, সোনালী ব্যাংকের কোন অফিসার গ্রাহকদের সাথে খারাপ আচারণ করে থাকলে তা খতিয়ে দেখে বিষয়টির সুষ্ঠ সমাধান করার চেষ্টা করবো।
 

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা