• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

ক্ষমা চেয়ে পার পেলেন ভোলার এসপি

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২০ আগস্ট ২০১৯  

হাইকোর্টে বিচারক বরাবর নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে ক্ষমা পেয়েছেন ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়সার।

আজ বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির হয়ে লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি।

একটি অস্ত্র মামলার আসামি জীবিত না মৃত- এ বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে সরাসরি বিচারক বরাবর প্রতিবেদন পাঠানোর ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি।

লিখিত ক্ষমা প্রার্থনা করে আদালতকে তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে আর এ ধরনের ভুল হবে না।’ পরে আদালত ক্ষমার আবেদন মঞ্জুর করে ভোলার এসপিকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।

আদালতে এসপির পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন। এর আগে গত ১৭ জুলাই ভোলার পুলিশ সুপারকে (এসপি) তলব করেন হাইকোর্ট।

তেজগাঁও থানার একটি অস্ত্র মামলার আসামি জুলহাস জীবিত না মৃত, সে বিষয়ে ডিএমপি কমিশনারকে গত ৩ জুলাই প্রতিবেদন আকারে জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে দাখিল করা প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলহাস ওরফে জুয়েল গত ১০/১২ বছর আগে পরিবার নিয়ে ভোলায় চলে গেছেন। অন্যদিকে, ভোলার পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে হাইকোর্ট বিভাগের দু'জন বিচারপতির বরাবরে সরাসরি খামে পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়, ভোলায় জুলহাস নামে কোনো ব্যক্তি নেই, তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ভোলা সদর এলাকায় পশ্চিম বাপতা নামে কোনো গ্রামও নেই।

এ মামলার এক আসামি রাবেয়া খাতুন (৯০) গত ১৮ বছর ধরে আদালতে ঘুরছেন। তার আইনজীবী আশরাফুল আলম নোবেল আদালতকে জানান, ২০০৪ সালের ১ নভেম্বর ফার্মগেটের পশ্চিম তেজতুরিবাজার এলাকায় জুলহাসকে দুস্কৃতকারীরা গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় তার মা নূরজাহান বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলটি ঢাকার আদালতে বিচারাধীন।

এ পর্যায়ে আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘তাহলে পুলিশ কী প্রতিবেদন পাঠাল। এসব প্রতিবেদন পরস্পরবিরোধী। এখানে পুলিশের গাফিলতি রয়েছে।’

আদালত আরো বলেন, ‘ভোলার পুলিশ সুপার (এসপি) যেভাবে প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন, সেখানে কোনো অফিসিয়াল ডেকোরাম অনুসরণ করা হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ে না পাঠিয়ে খামের ওপর ভুলভাবে আমাদের (বিচারপতি) ঠিকানা লিখে সরাসরি প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। এখানে কোনো পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়নি।’ পরে ভোলার এসপি সরকার মো. কায়সারকে তলব করেন হাইকোর্ট।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা