• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

কেশবপুরে অভ্যন্তরীণ ছোটনদী ও খাল পুনঃখননের কাজ চলছে

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২ আগস্ট ২০১৯  

জেলার কেশবপুর উপজেলার বন্যা ও জলাবদ্ধতা দূরীকরণের লক্ষ্যে ৫০ কোটি টাকা ব্যায়ে অভ্যন্তরীণ ছোট নদী ও খাল পুনঃখননের কাজ এগিয়ে চলছে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলার অভ্যান্তরে আপার ভদ্রা, হরিহর, বুড়িভদ্রা ও পার্শ্ববর্তি খালগুলোর পার্শ্ববর্তি এলাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণের লক্ষ্যে সরকার ৪৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকার প্রকল্প গ্রহণ করে। বিগত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।

চলতি অর্থবছরে এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১৪ কোটি টাকা। এই অর্থবছরে ভৌত অবকাঠামো নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা ২৮ ভাগ। চলতি অর্থবছরে আর্থিক অগ্রগতি ৮ কোটি ৭৫ লাখ ২৪ হাজার টাকা। যার ইতোমধ্যে প্রায় ২৪ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে।

প্রকল্প সমূহের মধ্যে রয়েছে হরিহর নদী বড়েঙ্গা হতে জামতলা পর্যন্ত পুনঃখনন ১৫ কিলোমিটার, বুড়িভদ্রা নদী বড়েঙ্গা হতে মজিদপুর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার, আপার ভদ্রা নদী পুনঃখনন ১৯ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার।

এছাড়াও আটটি খাল পুনঃখনন করা হবে।এগুলো হলো- কন্দর্পপুর, বারোপিট, গড়ালিয়া, পাথরা, বুড়–লি, আগরহাটি, ডহুরী ও খোজাখাল। এই প্রকল্পের আ্ওতায় ৯টি স্লুইস গেট মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বরাদ্দ রয়েছে।

বর্তমানে বুড়িভদ্রা নদীর ১০ কিলোমিটার, হরিহর নদীর ১৫ কিলোমিটার ও আপার ভদ্রা নদীর ৭ কিলোমিটার এলাকায় খনন কাজ চলমান। এছাড়াও আপার ভদ্রার বাকি ১২ কিলোমিটার অংশের টেন্ডার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। চারটি স্লুইস গেট, নর্ণিয়া ৪ ভেন্ট, বুড়–লি ৩ ভেন্ট, পাথরা ৪ ভেন্ট, খোজাখালি ৪ ভেন্ট মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে। কাশিমপুরে একটি ক্লোজার নির্মাণ করা হয়েছে।

পাশাপাশি, ৫ টি সুইস গেটের জামতলা ৩ ভেন্ট, গড়ালিয়া ৩ ভেন্ট, মধ্যকুল ২ ভেন্ট, আগরহাটি ২ ভেন্ট ও ভরত-ভায়না ১ ভেন্ট মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়াও খোজাখাল, বারপিট, বুড়–লি, পাথরা, গরালিয়া খালের খনন কাজ চলমান রয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ ২০২১ সালের জুনমাস নাগাদ সম্পন্ন হবে।

এ ব্যাপারে যশোরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-ব্যবস্থাপক মুন্সী আছাদুল্লাহ জানান, উপজেলায় অভ্যন্তরীণ নদী ও খাল পুনঃখননের কাজ গতিতে এগিয়ে চলেছে এবং যা আগামি ২০২০-২১ অর্থবছরের মধ্যে তা সম্পন্ন হবে।’ চলতি বর্ষা মৌসুমে উভচর স্কেভেটার মেশিন দিয়ে খননকাজ অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা