• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না খুলনা আধুনিক রেল স্টেশনের যাত্রীরা

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০১৯  

সম্প্রতি উদ্বোধন হওয়া খুলনা আধুনিক রেল স্টেশনে নানা সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা থাকলেও যাত্রীরা কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ওয়েটিং রুম, টিকিট কাউন্টার অধিকাংশ সময় বন্ধ থাকে। নিরাপত্তার জন্য বসানো হয়নি সিসি ক্যামেরা। রয়েছে খাবার পানি ও পরিচ্ছন্নতা সংকট। কর্তৃপক্ষ বলছে, জনবল সংকটের কারণেই যাত্রীদের যথাযথ সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩ মার্চ সার্কিট হাউজের জনসভায় খুলনা আধুনিক রেল স্টেশনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর গত ২৫ নভেম্বর নবনির্মিত এই স্টেশন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ট্রেন। এদিন সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় ‘চিত্রা এক্সপ্রেস’। এরপর থেকেই নতুন এই স্টেশন থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। আধুনিক রেল স্টেশনের নতুন ভবন, ছয়টি টিকিট কাউন্টার, তিনটি বিশ্রামাগার, রেস্টুরেন্ট, কিচেন রুম, ব্যাংক বুথ, নতুন প্লাটফর্ম, পার্কিং সুবিধা, স্টেশন মাস্টারসহ বিভিন্ন কর্মকর্তাদের পৃথক কক্ষসহ নানা সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। যাত্রীদের এমন নানা সুযোগের ব্যবস্থা থাকলেও বর্তমানে তারা কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

যাত্রী আমজাদ হোসেন বলেন, ‘স্টেশনটি অনেক সুন্দর। আধুনিক স্টেশনের বিশ্রামাগার সকালে বেশির ভাগ সময়ই বন্ধ থাকে। এখানে আসার পর লাগেজ, ব্যাগসহ পরিবার নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।’

অপর এক যাত্রী নাছিমা আক্তার বলেন, ‘ওয়েটিং রুমের বাথরুমগুলো থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। প্লাটফর্মটা আরও উঁচু হলে যাত্রীদের ট্রেনে ওঠা-নামার ক্ষেত্রে সুবিধা হতো।’

আছিয়া খাতুন নামে এক যাত্রী বলেন, ‘স্টেশনে টিকিট কাউন্টার রয়েছে ছয়টি। কিন্তু সন্ধ্যায় চালু থাকে মাত্র দুটি। নারী কাউন্টার থাকলেও সেখানে কেউ থাকে না। বন্ধ থাকছে কাউন্টারটি। এছাড়া আধুনিক রেল স্টেশনে প্লাটফর্ম থেকে ট্রেনের বগির সিঁড়ির উচ্চতা বেশি। এ কারণে বয়স্ক ও রোগীদের ওঠা-নামায় সমস্যা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে খুলনা রেল স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার বলেন, ‘আধুনিক রেল স্টেশনে জনবল সংকট রয়েছে। এ কারণে কাঙ্ক্ষিত যাত্রীসেবা প্রদানে সমস্যা হচ্ছে। এ কারণে তিনটি কাউন্টার খোলা রাখা হচ্ছে। এর মধ্যে একটি কাউন্টার ভারতগামী যাত্রীদের জন্য থাকছে। বর্তমানে সাতজন কর্মী থাকলেও ছয়টি কাউন্টার চালু রাখতে আরও ছয়জন প্রয়োজন। আর ওয়েটিং রুমের জনবল মাত্র দুজন। সেখানে আরও দুজন প্রয়োজন।’

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা