• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

এক ধরনের অদৃশ্য দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে: চম্পা

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২৭ জুলাই ২০১৯  

চম্পা। বরেণ্য অভিনেত্রী। বাংলাভিশনে প্রচার হচ্ছে তার অভিনীত ধারাবাহিক নাটক 'সোনালি দিন'। এ ছাড়া তিনি চলচ্চিত্র অভিনয় নিয়েও ব্যস্ত সময় পার করছেন। কথা হলো তার সঙ্গে-

দীর্ঘদিন ধরে 'সোনালি দিন' নাটকটি প্রচার হচ্ছে। এটি নিয়ে দর্শক প্রতিক্রিয়া জানার সুযোগ হয়েছে কি-না?

টেলিভিশনের চেয়ে অনলাইন মাধ্যম ইউটিউবের দর্শকদের কাছ থেকেই বেশি সাড়া পাচ্ছি। যারা নাটক দেখছেন তারা কোনো না কোনো মন্তব্য করছেন। তাদের মন্তব্য থেকে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, নাটকটি অনেক দর্শকের ভালো লাগছে। দর্শকের কাছে ভালো ভালো মন্তব্য পাওয়ায় মনে হচ্ছে, চরিত্রটি পর্দায় যেভাবে তুলে ধরতে চেয়েছি, তার কিছুটা হলেও পেরেছি।

এটি পারিবারিক গল্পের একটি ধারাবাহিক। এতে পরিবারের কোন বিষয়গুলো উঠে এসেছে?

প্রতিটি পরিবারেরই যেমন আলাদা গল্প থাকে। এ সময়ের এখনকার পরিবারগুলোর দিকে তাকালে দেখতে পাই, সবাই সবার কাছ থেকে দিন দিন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে এক ধরনের অদৃশ্য দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে। এই সমস্যা পরিবার ও সমাজে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। নির্মাতা রোকেয়া প্রাচী এ নাটকে বিষয়টি তুলে ধরেছেন।

সম্প্রতি 'বিশ্বসুন্দরী' ছবির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন...

ছবির গল্প ও চরিত্র সম্পর্কে জেনেই অভিনয়ের জন্য সম্মত হয়েছি। আমাদের বয়সী অভিনয়শিল্পীদের প্রাধান্য দিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে খুব একটা চলচ্চিত্র নির্মাণ হয় না। তবে 'বিশ্বসুন্দরী' চলচ্চিত্রে দর্শকরা আমাকে যেভাবে দেখবেন, এর আগে সেভাবে পর্দায় দেখা যায়নি। সিয়াম ও পরীমনির সঙ্গে কাজ করে ভালো লাগছে। নাট্যনির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র 'বিশ্বসুন্দরী'র কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন রুম্মান রশীদ খান।

'রিকশাগার্ল' ছবির কাজ কতদূর এগোল?

কিছুদিন আগে 'রিকশাগার্ল'-এ দৃশ্য ধারণ শেষ হয়েছে। এতে রিকশা গ্যারেজের পরিচালনার দায়িত্বে থাকা এক নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছি। এ ছবিতে যুক্ত হয়ে আমি ভীষণ তৃপ্ত। কারণ অমিতাভ রেজার সঙ্গে কাজ করার দীর্ঘদিনের ইচ্ছা ছিল। তার নির্মাণশৈলীর মধ্যে এক ধরনের ম্যাজিক আছে। ছবিটি মুক্তি পেলে দর্শক তা দেখতেও পাবেন।

চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা কেমন মনে হয়?

দেশের মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্ন মধ্যবিত্তরা তো হলে গিয়ে ছবি দেখাই বন্ধ করে দিয়েছেন। দর্শক কেন টাকা খরচ করে আড়াই ঘণ্টা ছারপোকার কামড় খাবে? এ অবস্থা থেকে উত্তরণ খুবই জরুরি। চলতি বছর ছবি নির্মাণের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। আর মানসম্পন্ন ছবির সংখ্যা কমে গেছে। তবে বেশ কিছু ছবি সম্প্রতি আশার আলো জাগিয়েছে। এটা চলচ্চিত্রের একটি ইতিবাচক দিক। ছবির গল্পে আরও বৈচিত্র্য প্রয়োজন। গল্পে প্রাণ ফিরিয়ে আনতে হবে। তবে আমি আশাবাদী মানুষ। আমরা যদি হাতে হাত মিলিয়ে একাত্ম হয়ে এগিয়ে যাই, আমাদের চলচ্চিত্র নিশ্চয়ই সাফল্যের মুখ দেখবে। চলচ্চিত্রের সুদিন আমরা আবার ফিরে পাব।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা