• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

উত্তরণের উপায় অবশ্যই আছে : সোহেল রানা

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর ২০১৯  

মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা। বরেণ্য অভিনেতা, প্রযোজক ও নির্মাতা। বেশ কিছুদিন বিরতির পর আবারও চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেছেন তিনি। এ সময়ের ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হয় তার সঙ্গে-

অনেকদিন পর চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন। এবারের ছবিগুলো কেমন হবে বলে আপনার ধারণা?

অভিনয়ের বিষয়ে কবরীর সঙ্গে আমার বোঝাপড়া বেশ ভালো। আমার প্রথম ছবি 'মাসুদ রানা' থেকে শুরু করে বেশি কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছে সে। তখন থেকেই জানি, কাজের বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি অনেকের চেয়ে আলাদা। যদিও সময় ও প্রেক্ষাপট বদলে গেছে, তারপরও গল্প নির্বাচন এবং নির্মাণে কবরী ভালো করবে- এটুকু বিশ্বাস আছে। একেএম জাহাঙ্গীর খান প্রযোজনায় ফিরে এসেছেন। মুভি মোগলখ্যাত এই প্রযোজকও চাইছেন নতুন ধরনের ছবি নির্মাণ করতে। সেইসঙ্গে চাইছেন তার ছবিতে যেন আমি অভিনয় করি। একে তো বন্ধু, তার ওপর ভালো কিছু করার চেষ্টা করছেন বলে তার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতে পারিনি। এর পাশাপাশি আরও দু'জন পরিচালক প্রস্তাব দিয়েছেন অভিনয়ের। তারাও চাইছেন সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করতে। তাই আশা করছি, অনেক সংকটের মধ্যেও ভালো কিছু করে দেখাতে পারবেন তারা।

পছন্দসই গল্প ও চরিত্র পাননি বলেই কি এতদিন অভিনয় থেকে দূরে সরেছিলেন?

অনেকটা তাই। এদেশে তো অভিনয়শিল্পীর বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে গল্প লেখা হয় না। যে কারণে আমাদের জন্য তারা বাবা বা দাদার চরিত্রই নির্দিষ্ট করে রাখেন- এই বিষয়টা সমর্থন করতে পারিনি। বাবা কিংবা দাদার চরিত্রে অভিনয়ে আপত্তি নেই। কিন্তু সেসব চরিত্রের গুরুত্ব থাকতে হবে। অন্যান্য দেশের ছবিগুলো দেখুন, তারা বয়স্ক চরিত্রগুলো নিয়েও কীভাবে কাজ করছে। মেধার পরিচয় তো তখনই মিলবে, যখন নতুন কিছু করে দেখাতে পারবেন। এই জায়গায় আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। শুধু গল্প নির্বাচন নয়, নির্মাণের বিষয়ে আরও ভাবতে হবে। তা হচ্ছে না বলেই হয়তো চলচ্চিত্র এখন লাইফ সাপোর্টে রাখার মতো অবস্থায় চলে এসেছে।

চলচ্চিত্রের এই মন্দা সময় থেকে উত্তরণের কোনো উপায় আছে বলে কি আপনার মনে হয়?

উত্তরণের উপায় অবশ্যই আছে। মানুষ যদি কঠিন অসুখে ভুগে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসতে পারে, তবে চলচ্চিত্রের উন্নয়ন কেন সম্ভব নয়। অবশ্যই সম্ভব। সবার আগে সিনেমা হল বাড়াতে হবে। হল না বাড়লে চলচ্চিত্রের দুর্দিন কাটবে না। সেইসঙ্গে নজর দিতে হবে মানসম্পন্ন ছবি নির্মাণের। ডিজিটাল ছবি নির্মাণ করা হচ্ছে, অথচ সেসব ছবি দেখানোর জন্য হল নেই, যা আছে হাতেগোনা কয়েকটি তা দিয়ে তো দেশের সব দর্শকের চাহিদা পূরণ সম্ভব নয়। এর চেয়ে বড় বিষয় হলো- বিএফডিসি ও চলচ্চিত্রের উন্নয়নের জন্য সঠিক লোক নির্বাচন করা। স্বাধীনতার পর ত্রিশজনের বেশি বিএফডিসির এমডি হয়েছেন। যারা ছিলেন সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তারা প্রত্যেকে মেধাবি কিন্তু বেশির ভাগ ছিলেন চলচ্চিত্র সম্পর্কে অজ্ঞ। তারা চলচ্চিত্র উন্নয়নে কী করা যায়, সে উদ্যোগ নেওয়ার আগেই বদলি হয়ে গেছেন। এভাবেই একের পর এক এমডি আসা-যাওয়ায় কাজের কাজ কিছুই হয়নি। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সরকারের সঠিক নজরদারি প্রযোজন। বেশি না, মাত্র দু-তিনটি উদ্যোগ নিলেই সংকট কাটবে বলে আমার ধারণা।

অভিনয়ের মতো চলচ্চিত্র প্রযোজনায় ফিরে আসবেন?

প্রযোজনায় আর আসতে চাই না। কারণ মাত্র একশ' ত্রিশটা হল থেকে লগ্নির টাকা তুলে আনা কঠিন।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা