• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০১৯  



খুলনার কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিজয় কুমার সরদারের দূর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে ইউনিয়নের সাতজন সদস্য, গ্রামপুলিশ ও স্থানীয় জনসাধারণ অংশ নেয়। 

ইউপি চেয়ারম্যান বিজয় কুমার সরদার কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি। 

এর আগে তার বিরুদ্ধে লোকাল গভর্নেন্স সাপোর্ট প্রকল্পের (এলজিএসপি) ২০ লাখ টাকা আত্মসাত, ভাতাভোগীদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা আদায় ও গ্রামপুলিশকে মারধরের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাঠানো হয় খুলনা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর। 

অভিযোগে জানা যায়, এলজিএসপি’র আওতায় ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ইউনিয়নের বাসিন্দাদের খাবার পানি সংগ্রহে ট্যাংকি বিতরণ বাবদ ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ইউপি চেয়ারম্যান বিজয় সরদার পরিষদের সদস্যদের অগোচরে ওই টাকা ইউনিয়ন পরিষদের ব্যাংক হিসাব থেকে উত্তোলন করেন। পরে ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে এক হাজার লিটারের ২০টি ট্যাংকি বিতরণ করে রেজ্যুলেসনে ২০ লাখ টাকা খরচ দেখিয়েছেন। এছাড়া ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে ইউনিয়নের রাস্তা সংস্কারে বারাদ্দ এলজিএসপি’র ২৫ লাখ টাকার কোন কাজ করা হয়নি। ওই টাকাও চেয়ারম্যানের নিজ ব্যাংক হিসাবে জমা করা হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর পরিষদের সভায় সদস্যরা প্রতিবাদ করলে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরে এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ শেষে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন ইউপি সদস্যরা। 
প্রতিবাদ সমাবেশে ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মহাশীষ সরদার বলেন, চেয়ারম্যান রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপটে পরিষদের সদস্যদের মূল্য দিতে চান না। সব বিছুই তার একক সিদ্ধান্তে চালাতে চান। তার স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদ করলে তাকে পরিষদে আসতে নিষেধ করেন। 

ইউপি সদস্য আনসার আলী কবির বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান পরিষদের সভা না করে নামমাত্র কয়েকটি পানির ট্যাংকি বিতরণ দেখিয়ে এলজিএসপি প্রকল্পের ২০ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন। এছাড়া তিনি ভিজিডি, ভিজিএফ, বিধবা ও বয়স্ক ভাতার সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা আদায়ে গ্রাম পুলিশদের ব্যবহার করে থাকেন। এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করায় গ্রাম পুলিশ হিমাদ্রী রায়কে পরিষদের কক্ষে আটকে রেখে মারধর করেন ইউপি চেয়ারম্যান। 

ইউপি চেয়ারম্যান বিজয় কুমার সরদারের ব্যবহৃত (০১৯৮৯৪৪৪০০) মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউনিয়নের কয়েকজন ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশ নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে ভিত্তিহীন অভিযোগ দিচ্ছেন। স্থানীয় একজন রাজনৈতিক প্রতিপেক্ষের ইন্ধনে তারা এসব করছে বলে তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন। 

এদিকে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে লিখিত অভিযোগের তদন্ত করছেন কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিমুল কুমার সাহা। তিনি বলেন, ঘটনার তদন্তে পৃথক পৃথকভাবে অভিযোগকারিদের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষ না হলে কিছু বলা যাবে না।  
  

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা