• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

ইউপি চেয়ারম্যান দ্বীন ইসলামকে মামলায় জড়িয়ে বেকায়দায় চক্রান্তকারীর

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

তেরখাদা উপজেলার ছাগলাদহ ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি এসএম দ্বীন ইসলামকে ষড়যন্ত্রমুলকভাবে নাঈম হত্যা মামলায় জড়িয়ে উল্টো বেকায়দায় পড়েছে হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামীরাই। মামলায় জড়ানোর বিনিময়ে চক্রান্তকারীদের থেকে প্রতিশ্র“ত অর্থ না পেয়ে হতাশ তারা। এসব নিয়ে তেরখাদায় নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

সূত্রমতে, মামলার এজাহারনামীয় আসামী সহোদর সাইফুল ও খালিদ গংদের সাথে নিহত নাঈমের পিতা পিরুর সাথে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিনের শত্র“তা ছিল। নাঈম হত্যাকান্ডের পূর্বে উভয় পরিবারের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। এসব ঘটনার জেরধরেই গত ৭ আগস্ট গভীর রাতে নাঈম শেখকে কুপিয়ে হত্যা ও তার পিতা পিরু মিয়াকে জখম করে দুর্বৃত্ত্বরা। হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে শেখ সাইফুল ইসলাম ও খালিদ শেখকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। তারা দুই ভাই ষড়যন্ত্রকারীদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ পাওয়ার প্রলোভনে ইউপি চেয়ারম্যান দ্বীন ইসলামকে হত্যাকান্ডের অর্থদাতা ও নির্দেশদাতা হিসেবে আখ্যায়িত করে। সেই অর্থ না পেয়ে হতাশ ব্যক্ত করছে সাইফুল ও খালিদের স্বজনরা।

এলাকাবাসীর মতে, নিহত নাঈম ও তার পিতা পিরু শেখ ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান দ্বীন ইসলামের একানিষ্ঠ কর্মী। বিগত একাধিক নির্বাচনে ইউপি চেয়ারম্যান দ্বীন ইসলামের পক্ষে জীবনবাজী রেখে মিটিং-মিছিল ও সার্বক্ষনিক সঙ্গী ছিল নাঈম ও তার আত্মীয়-স্বজনরা। ফলে ইউপি চেয়ারম্যান দ্বীন ইসলামের পক্ষে কখনোই সম্ভব নয় নাঈম ও তার পিতা পিরু মিয়ার কোন ক্ষতি করা; হত্যা তো দুরের কথা। অন্যদিকে, হত্যার মামলাটির এজাহারভুক্ত আসামী সাইফুল ও খালিদদের সাথে পিরু মিয়া ও নাঈমদের দীর্ঘদিনের শত্র“তা ছিল। এসব বিষয়কে সামনে রেখে একঢিলে দুই পাখি শিকারের ন্যায় নাঈমকে হত্যা ও সেই হত্যাকান্ডে ইউপি চেয়ারম্যানকে ফাঁসানের মিশনে নেমেছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা। ইতোমধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ শহিদুল ইসলাম, ভাইস-চেয়ারম্যান শারাফত হোসেন মুক্তি, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি এফএম অহিদুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক কেএম আলমগীরসহ স্থানীয় সকল জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিক নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলন করে ইউপি চেয়ারম্যান দ্বীন ইসলামকে নির্দোষ দাবি করে নাঈম হত্যা মামলাটির নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন।

স্থানীয়রা বলছেন, দ্বীন ইসলামের ফাঁসির দাবিতে ইতোমধ্যে যারা বিক্ষোভ করেছে, তারা কেউ হত্যাকারীদের শাস্তি দাবি করছে না। অথচ মামলার এজাহারনামীয় আসামীদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ইউপি চেয়ারম্যান দ্বীন ইসলামকে অর্থদাতা ও নির্দেশদাতা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। খুনীদের শাস্তি না চেয়ে নির্দেশদাতার ফাঁসির দাবি? এ কেমন বিচার- বলছেন এলাকাবাসী।

এসব বিষয়ে তেরখাদা উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, “কোন নিরোপরাধীকে মামলায় জড়ালে তদন্তের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। আমরা সকলেই চাই, নাঈম হত্যা মামলাটির সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তে প্রকৃত খুনীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হোক। তবে হয়রানিমুলকভাবে ইউপি চেয়ারম্যান দ্বীন ইসলামকে জড়ানো হয়েছে বলে জানতে পেরেছি; যেটা সময়ের সাথে সাথে আরও স্পষ্ট হচ্ছে।”

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা