• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

আটকানো হরিণখোলা রিংবাঁধ ভেঙ্গে আবারও ঢুকছে লোনা পানি

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৪ জুন ২০২০  

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন খুলনার উপকূলীয় কয়রাবাসী। দুর্গত এলাকার অনেকে ঘর-বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিচ্ছেন উঁচু বাঁধের ওপরে খোলা আকাশের নিচে। খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে উপকূলবাসীর জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সহায়তায় কিছু কিছু এলাকায় সরকারি ত্রাণ পৌঁছালেও বেশিরভাগ দুর্গত এলাকাতেই তা পৌঁছায়নি। গতকাল ৩ জুন সকালের জোয়ারে কয়রা সদর ইউনিয়নের হরিণখোালা রিংবাধ ভেঙ্গে আবারও পানি প্রবেশ করছে। এতে করে স্থানীয় অধিবাসিরা রয়েছে সংকিত।

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তান্ডবে খুলনার উপকূলীয় কয়রা এলাকার বিভিন্ন স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধ ১৪ টি বাঁধ ভেঙে মাছের ঘের ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া কয়রার ৭ টি ইউনিয়নের হাজার হাজার গাছপালা উপড়ে পড়েছে। বেড়িবাঁধ ভেঙে কয়রায় লবণ পানি ডুকে পুকুর ও ঘেরের মাছ ভেসে গেছে। গত ২০ মে ঝড়ের পর বেশ কয়েকদিন বৃষ্টি হওয়ার কারণে দুর্গতদের ভোগান্তি আরও বেড়েছে। প্রতিদিন জোয়ারে পানি উঠে যাওয়ায় বানভাসিদের বেঁচে থাকাতে সংগ্রাম করতে হচ্ছে। ঝড়ে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া বাড়ি-ঘর মেরামতের আর্থিক সঙ্গতি হারিয়ে ফেলেছেন তারা। পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না থাকায় মেরুদন্ড ভেঙে গেছে এসব প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর।

বিচিত্র জীবনে রূঢ় বাস্তবতার সঙ্গে প্রতিনিয়ত বেঁচে থাকার সংগ্রাম করছেন এ উপজেলার তিন লাখ মানুষ। দুর্গত এলাকার এসব মানুষ সহায়-সম্বল হারিয়েছে বেঁচে থাকার সংগ্রামে এখন দিশেহারা। এসব বানভাসি ক্ষতিগ্রস্ত পানি বন্দি মানুষের মধ্যে চলছে শুধু হাহাকার। ইউপি সদস্য হরেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়েছে। তবে চাহিদার চেয়ে ত্রাণ অপ্রতুল। কয়রার মানুষ পানি বন্দি হলেও বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে। গো-খাদ্যের সংকট তাদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, ইতিমধ্যে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে এলাকাবাসী বাঁধ নির্মাণের কাজ করছেন। কয়রা ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ পরিদর্শন করেছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী চিংড়ি ঘেরের জন্য ওয়াপদা কেটে বা ছিদ্র করে যত্রতত্র অবৈধ পাইপ বসিয়ে পোল্ডারে লবণ পানি উত্তোলন বন্ধে স্থানীয়দের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলে তিনি বেঁড়িবাধ থেকে নির্দিষ্ট দূরে বিকল্প বাঁধ দিয়ে ঘের করার নির্দেশনা দিয়েছেন। কয়রা-পাইকগাছর-সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু,বলেন কয়রার ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ ইতিমধ্যে কয়েকটি সংস্কার করা হয়েছে। বাকিগুলোর আটকানোর কাজ অব্যাহত রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা